পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৬৯ তাহার প্রাণ যেন অলক্ষিতে বলিতেছে—Deny thy father, deny thy name, and for that thou losest take all myself-তােমার আত্মীয় স্বজন ত্যাগ কর, তােমার নাম যশ ত্যাগ কর, আর তাহাতে যে ক্ষতি হইবে—সেজন্য পূর্ণভাবে আমাকে পাইবে। বর্ষনার মাঠে বালির মধ্যে নিমফলের মত একরকম ফল হয়। মাঠের ছেলেরা সেইগুলি খায়। আমি মুখে দিয়া দেখিয়াছি যে, সে ফল অতীব অভক্ষ্য। কিন্তু স্মৃতি এমন প্রবল জিনিষ যে, বর্ষনায় রাখালরা শ্রীকৃষ্ণকে এই ফল খাওয়াইয়াছিল, সেইজন্য তাপস রাখাল এই ফল খাইতে ভালবাসিত ও আনন্দ করিয়া খাইত। একটী ছড়া আছে— “ব্রজকা মেবা টেটা, বাজরে কী রােটী, বড়ে গােয়ালে কী বেটী।” ব্রজধামে এই তিনটা জিনিষ পাওয়া যায়—প্রথম হইল, এই অভক্ষ্য ‘টেটা’ বা ‘টেট’ ফল ; দ্বিতীয় হইল, 'বাজর’ বলিয়া পাঁচমিশিলি আটার রুটি অর্থাৎ ছােলা, মক্ক, বাজর এবং যব ইত্যাদির পাঁচমিশিলি আটাতে একটু নুন ও লঙ্কার গুড়া দিয়া তৈয়ারী মােটা রুটি--ইহা বর্ষনায় প্রিয় খাদ্য। আর তৃতীয় হইল, বড় গােয়ালার বেটী” অর্থাৎ রাধিকা। ইহাই এই ছড়ার অর্থ। রাখাল এই সময়কার কথা উল্লেখ করিয়া মাঝে মাঝে