৭• অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান বলিত, “বনায় যেমন কলাইয়ের ডাল রান্না হয়, এমন আর কোন জায়গায় খাই নি। আমিও খাইয়া দেখিয়াছি যে, প্রকৃতই বর্ষনায় কলাইয়ের ডাল অতি উপাদেয় হয়। আর একটা জিনিষ রাখাল ভালবাসিত-রাধাকুণ্ড ও শ্যামকুণ্ডের পাপড়ের ডালনা। মঠেও অনেকবার এই জিনিষ করা হইয়াছিল, কিন্তু রাধাকুণ্ড ও শ্যামকুণ্ডতে যেমন হয়, এমনটা অন্য জায়গায় হয় না। আমি রাধাকুণ্ড ও শ্যামকুণ্ডতে এই জিনিষ অনেকবার খাইয়াছি। ‘র’ অবস্থায় অন্যান্য স্থানে রাখাল লক্ষ্ণৌতে কিছুদিন ছিল এবং লক্ষৌয়ের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির সহিত তাহার ঘনিষ্ঠভাবে আলাপ হইয়াছিল ; কারণ, একটা বৃদ্ধ জমিদার বা তালুকদার বেলুড় মঠে আসিলে তাহার সহিত অতি সখ্যভাবে এবং পুরাতন আলাপী হিসাবে অনেক কথাবার্তা কহিতে দেখিয়াছি। লক্ষে অবস্থানকালে তারকদাদাও রাখালের সহিত কয়েকদিন বাস করিয়াছিল। রাখালের হরিদ্বার ও হৃষীকেশ অবস্থানকালে নরেন্দ্রনাথ, বৈকুণ্ঠ সান্ন্যাল মহাশয় প্রভৃতি অনেকেই একত্রিত হইয়াছিলেন। তখনকার হৃষীকেশ নিবিড় জঙ্গলে পূর্ণ ছিল, রাস্তা-ঘাট কিছুই ছিল না। হরিদ্বারেও ভীষণ জঙ্গল ছিল। বুনাে হাতীর ভয় ছিল। তখনও সেখানে রেল হয় নাই। তখন সাহারাণপুর পর্যন্ত রেলপথ ছিল, কিন্তু হরিদ্বার পর্যন্ত রেল খুলে নাই। - ।
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮৬
অবয়ব