পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* । ৭২ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান হৃষীকেশে সকলে অতি কঠোর তপস্যা করিয়াছিল। কম্বলীবাবার সত্র হইতে কিছু খাইবার জিনিষ আনিত, কারণ, তখন বাজার, লােকালয় ইত্যাদি কিছুই ছিল না এবং একমনে নিবিষ্ট হইয়া তপস্যা করিত। নরেন্দ্রনাথ কোন স্থান হইতে দুই একখানি বই সংগ্রহ করিয়া আনিয়া সকলকে পাঠ করিয়া শুনাইত। নরেন্দ্রনাথ, গুপ্তের (সদানন্দের ) সহিতও এইখানে একবার গিয়াছিল। সেই লইয়া নরেন্দ্রনাথ সম্ভবতঃ তিনবার হৃষীকেশ গিয়াছিল। নরেন্দ্রনাথ হৃষীকেশের এই গল্পটা বলিয়াছিল— তখন লছমন ঝােলায় পুল ইত্যাদি কিছুই ছিল না, দড়ি টাঙানাে ছিল। পার হইবার নিমিত্ত নরেন্দ্রনাথ দুই হাতে দুইটা দড়ি ধরিল এবং নীচেকার দড়িতে পা দিয়া অপর পারে যাইল। তাহার পর একটী বৃদ্ধা মাড়ােয়ারী স্ত্রীলােক অতি কষ্টে ঝােলাটা পার হইয়া যেমনি অপর পারে গিয়াছে, অমনি দড়িটা ছিড়িয়া যাইয়া দুই পাশে সজোরে পড়িল। নরেন্দ্রনাথ বিষন্ন হইয়া মাড়ােয়ারী স্ত্রীলােকটীকে বলিল, “মাঙ্গ অবতােমর যাতী।” বৃদ্ধা নরেন্দ্রনাথের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “মরনেতাে আঈ বাবুজী, ঔর মরনেকা ক্যায়া ডর হৈ।” এই কথা শুনিয়া নরেন্দ্রনাথের মনে ধিক্কার আসিল। নরেন্দ্রনাথ ভাবিল যে, বৃদ্ধা স্ত্রীলােকটা মরিতে দ্বিধা করিতেছে না, আর সে যুবা সন্ন্যাসী—এখনও প্রাণরক্ষার জন্য বিব্রত, ভগবান লাভের জন্য নিজের প্রাণ দিতে পারে না। এই চিন্তা