৭৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান রাজ্যে কিছুদিনের জন্য যাইতেন এবং সকাল হইতে বেলা দশটা পর্য্যন্ত অতি বিচক্ষণ রাজনীতিজ্ঞের মত সমস্ত কাজ-কর্ম করিয়া দিতেন। দশটা বাজিলেই তিনি উঠিয়া আসিতেন এবং সাধুর। ন্যায় মাধুকরী করিয়া আহার করিতেন; রাজার প্রদত্ত কোন বস্তু গ্রহণ করিতেন না এবং এক বৃক্ষমূলে মৃগচর্ম পাতিয়া সাধুর ন্যায় গীতা পাঠ করিতেন ও নানা শাস্ত্রের কথা কহিতেন। রাজার কর্মচারী বা তাঁহার সংক্রান্ত কোন লােকের তখন তঁাহার কাছে যাইবার অধিকার থাকিত না। এইরূপে তিনি গুজরাটের অনেক স্থানে পরিভ্রমণ করিতেন এবং ছােট ছােট রাজাদের জটিল রাজকার্য সকল করিয়া দিতেন। তাপস রাখাল গৌড়ীয় স্বামীর এই উপাখ্যানটী অতি উৎসাহের সহিত বলিয়াছিল। এই ব্যক্তির সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইয়াছিল কি না আমার জানা নাই। বােধ হয়, সে গৌড়ীয় স্বামীর কথা শুনিয়াছিল মাত্র। স্যর মনিয়র উইলিয়াম-এর (Sir Monier william-এর) হিন্দুইজিম্ (Hinduism) নামক গ্রন্থে এইরূপ একটী উপাখ্যানের উল্লেখ আছে। এস্থলে নরেন্দ্রনাথের জীবনের একটা ঘটনাও উল্লেখযােগ্য। স্বামিজী ‘রতা সাধু হইয়া গুজরাট প্রদেশের নড়িয়ার’ যায় এবং জুনাগড়ের দেওয়ান হরিদাস বিহারীদাসের বাড়ীতে কিছুদিনের জন্য অবস্থান করে। দেওয়ান হরিদাস বিহারীদাস মনে করিয়াছিলেন যে, একটী ‘রতা সাধু আসিয়াছে মাত্র ;
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৯৪
অবয়ব