পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৮১ বেশ আলাপ হইয়াছিল। এইরূপে সে বােম্বাইয়ে কিছুদিন থাকিয়া আলমবাজার মঠে ফিরিয়া আসিল।

আলমবাজারের মঠে ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে, গ্রীষ্মকালে, তাপস রাখাল আলমবাজার মঠে ফিরিয়া আসিল। দেখিলাম, তাহার পূর্বকার বিষন্নভাব ও নিরাশ্রয়ভাব অনেক পরিমাণে চলিয়া গিয়াছে ; তাহার হৃদয়ে শান্তি আসিয়াছে, মুখ প্রফুল্ল ও বর্ণ উজ্জ্বল, চক্ষের দৃষ্টি স্থির ও ধীর, পদবিক্ষেপ নিশ্চিত ও কথাবার্তা গম্ভীর। পূর্ব্বকার বালকভাব চলিয়া গিয়াছে। এখন সে পূর্ব্বকার লােক আর নয়, একজন শান্তিপূর্ণ-গম্ভীর সাধু। অনেক সময় সাধক নিরপেক্ষ ভাবটী প্রথম লইতে যায়, কিন্তু ইহা করিলে সাধকের অনেক ব্যাঘাত হয়। মন প্রথম অবস্থায় একটা অবলম্বন বা আশ্রয় খু জিয়া থাকে, কোন বাহ্যিক বস্তু অবলম্বন করিয়া দাড়াইতে চায়। ইহাকে ‘সাপেক্ষ ভাব’ বা ‘Inter-dependent idea বলা হয়। গ্রন্থাদি পাঠ, সৎলােকের সহিত সঙ্গ করা ইত্যাদি, এই সকল হইল তখনকার পক্ষে অনুকূল বিষয়। প্রথম অবস্থায় এই সকল না করিলে মন নিতান্ত শুষ্ক হইয়া যায় এবং শীঘ্রই হতাশ হইয়া উঠে। মােটকথা, প্রথম অবস্থায় কোনপ্রকার-কোনপ্রকার বাহ্যিক প্রতীকের আবশ্যক আছে। যাহার যে প্রকার সুবিধা হয়, তাহার রুচি অনুযায়ী সেইরূপ বাহিক