অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৮৩ হইতেই ‘নিরপেক্ষ ভাব’ আসিয়া থাকে। এই ‘নিরপেক্ষ ভাব’ যেরূপ আসিবে, ঈশ্বর-সান্নিধ্যভাবও সেইরূপ হইবে। ইহাকে ‘চকিত দর্শন’, ‘চঞ্চল দর্শন’ ও ‘স্থির দর্শন ইত্যাদি তিন ভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে। চকিত দর্শন’ কেন হয়, তাহার কারণ নির্ণয় করা যায় না। বহুকাল চেষ্টার পর, সহসা হয়ত একদিন কিছু দর্শন হইল, হয়ত বা পূর্বজন্মের কিছু সুকৃতি ছিল তাহার জন্য হইল, কিম্বা কোন মহাপুরুষের আশীর্বাদে হইল, অথবা এই তিনের সংমিশ্রণে হইল বলা যায়। এইরূপ ‘চকিত দর্শন’এর পর মনটা বহুদিন দোদুল্যমান থাকে—যে দর্শন হইয়াছিল সেটী সত্য, না মিথ্যা? এই সময়টায় মনে নানারকম দ্বিধা ভাব। বা সন্দেহ ভাব হয়। বৈষ্ণব শাস্ত্রে ইহাকে ‘বিরহ বলে। অপর শাস্ত্রে ইহাকে ‘তপস্যা’ বা ‘সাধনা বলে। এইজন্য, বৈষ্ণব শাস্ত্রে মিলন অপেক্ষা বিরহের আধিক্য দেখান হইয়াছে। এই অবস্থার পর ‘চঞ্চল দর্শন’ হয়। এই ‘চঞ্চল দর্শন’এ হা’ ও ‘না’ দুই ভাবই থাকে। অর্থাৎ কখনও নিশ্চিত (Positive) ভাব আসিতেছে, কখনও বা অনিশ্চিত (Negative) ভাব আসিতেছে—দুই ভাব পর্য্যায়ক্রমে আসিতেছে। তাহার পর দুই ভাব এক হইয়া যায়নিশ্চিত (Positive) ভাব অনিশ্চিত (Negative) ভাব হইয়া যায়; আর অনিশ্চিত (Negative) ভাব নিশ্চিত (Positive) ভাব হইয়া যায় অর্থাৎ ‘স্থির দর্শন’ হয়। এই অবস্থাটা যে কেবলমাত্র ঈশ্বরলাভ বিষয়ে হয় তাহা নহে,
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৯৯
অবয়ব