এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
অজেন্দুমতী । (দ্রুতপদে নেপথ্য পানে ধাবিত ও মহান কোলাহল) (আকাশে দিব্যপুরুষের উদয় ও অজের পুনঃ প্রবেশ ) আজ | — কে হে তুমি ! তোমারে চিনি না জ্ঞানময় ! কি কারণে, এই সামান্য মানবে আজি করিতে বঞ্চন মাতঙ্গম রূপে দেব ! ধরাতে উদয় ? এ প্রপঞ্চ অকিঞ্চনে পারে না বুঝিতে ; দয়া করি কহ দাসে, প্রভু, সেই ত্রিদেবেন্দ্র দেবেন্দ্র কি তুমি ? র্যাহার মায়ায়, পূর্ব্বপিতামহগণ, রহিলেন ভস্মীভূত যুগযুগান্তর } র্যাহার কৌশলে, ব্যর্থ হলো পিতার সে অসামান্য সমর-কৌশল , সেই রূপ, আসিলে কি ছলিতে এ জনে ? অথবা কি তুমি সেই বিশ্বপতি দেব জনার্দ্দন ? পূর্ব্বে যবে জলমগ্ন হইল ধরণী, পৃষ্ঠদেশে তারে ভুমি করিলে বহন ; পুনঃ রসাতলে গেলে বসুন্ধরা, তুমি ভীষণ বরাহমুক্তি ধরি, দন্তপুটুে ধরিত্রীরে করিলে ধারণ , আবার কি মাতঙ্গমরূপে আসিলে, হে জগদীশ ।