পাতা:অতিথি (প্রথম বর্ষ ১৯৩০).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতিথি ($రిరి প্রস্তুত হ’য়ে ব’সে আছেন কেবল আমারই অপেক্ষায় । বীথি ব'ল্লে—আপনার জন্যই আজ কিন্তু দেরী হ’য়ে গেল । আমি তখন একটু বিস্ময়ের ভাণে বল্লুম-কী রকম ? আমি খুব চটুপটু ব’লেই এত quick হ’তে পেরেছি, নয়তো, এতে| lateএ খবর দিলে, আর কেউ হ’লে হয়ত আসতেই পার্তে না ... .. তারপর বল্লাম—আর ত’ ছাড়া, তুমি যে ষাবে নাট্যমন্দিরে, সে কথা আমি खांन्डांभई मl “ বলবার পরেই দেখলাম বীথির শুভ্র চিকণ টোল-খাওয়া গালের দুটে। পাশ রাঙা হ’য়ে উঠ ল.........শাস্তি যেন কোথায় লুকিয়ে ছিল, দৌড়ে এসে আমার ক্টোচার খুটট ধ'রে বলতে লাগ ল— আজি বীথিদি-ই আমাদের নে যাবে, বিমুদ। ...আমাকে, তোমাকে আর মা’কে !...পরেশ দাকে পর্য্যন্ত নে যাবে না ......আমায় থাকৃতে ব’লেছিল...আমি কিন্তু থাকুতে পারব না... & তারপর বীথির Austin গাড়ীটায় উঠতে গিয়ে, আমি যেন সে কথাটা আর ভুলতে পারলুম না......নিজের অসাবধানেই ব’লে ফেল্লাম...... মনে পড়ে বীথি, সে দিনকার কথা ? বিস্ময়ভরা কী এক অপরূপ মায়া নিয়ে বীথির কাজলকালো অপলক বড় বড় চোখ দুটে। আমার পানে চেয়ে রইল......আমি বল্লাম—“আমি কিন্তু ভুলতে পারছি না, সে দিন সন্ধ্যাবেলাকার এই তোমার Austin গাড়ীটার কথা ? বীথি মৃদু হেসে চোখ নামিয়ে নিলে—যেন কী এক ভুলে-যাওয়া স্বপ্ন নিমেষে তার নিছক সত্য স্পষ্টতাটাকে নিয়ে এসে তা’র চোখ দুটোকে ভারী করে তুল্লো...... ব্যথায় কাতর হয়ে উঠলে আমার স্বভাবকোমল তরুণ হৃদয়খানা......আমি আস্তে তার আরো কাছে স’রে গিয়ে, মুখের কাছেই তার মুখখান আমার নিয়ে গিয়ে বল্লাম— কষ্ট পাও এতে তুমি বীথি ? সে শুধু তা’র সংযত একরাশ কুন্তলভারাবনত মাথাটী নেড়ে ছোট গলায় ছোট কথা ব’ল্পে মধুর পরিষ্কার স্বরে না"......মনে হ’ল ধরণীর যত অন্ধকার সব দূর ক’রে দিয়ে এক ঝলক বিজলী এসে হঠাৎ আঙুল বাড়িয়ে দেখিয়ে দিলে –পথিক এই যে তোমার পথ ’. এমন সময়ে মিসেস বাস্থ এসে দ্রুত-ক্ষিপ্ত-স্বরে ব’লে উঠলেন, এখন তোমরা ওঠনি ? উঠে পড় বিনয়, বীথি উঠে পড় ! শাস্তি ষ্ট্যোরিঙটা নড়াচাড়া কর্ত্তে কর্ত্তে বিশেষ ব্যস্ত-মত্ত স্বরে ব'ল্লে—খুব জোরে, লাল সিং খুব জোরে ......... আমরা সেই অবসরে সকলেই একটু হেসে নিলাম.........সত্যিই কিন্তু লাল সিং প্রায় থার্টি-ফাইভ মাইলস্ স্পিডে গাড়ী হাকিয়ে এনেছিল......শান্তির কথা সে আমান্য ক’রে নি......আমরা যখন গাড়ী থেকে নাম্‌লাম......প্নে তখন মাত্র তিন মিনিট হ’ল আরম্ভ হ’য়ে গেছে । মিসেস্ বাম তার এক মাদ্রাজী বান্ধবীর সাথে গিয়ে ব'মূলেন –শাস্তি ও তার কাছ ছাড়া হ’ল না। আমার তখন একটু যেন কী রকম লাগ ল—কিন্তু তবুও দেখলাম মনটা যেন বেশ হাস্ক ও ফাক হ’য়ে গেল ; তখন মনে হ’ল নিশ্চয়ই মনের কোন নিগৃঢ়তম নির্জন কোণে কী একটা অজানা অস্পষ্ট ভারই লুকিয়ে লুকিয়ে ক্ষণে ক্ষণে দোলা দিয়ে যাচ্ছিল আমার শাস্ত অচপল প্রাণখোলা ভাবটীকে । কিছুদূরেই যায়গা ক’রে নিয়ে ব’স্লাম-আমি আর বীথি ! প্লে’র শেষাশেষি গভীর এক উদ্বিগ্নত। যখন বিনয়ের বুকে বাস বাধ লো নরেন-নলিনীকে নিয়ে, বীথির মনে তখন কী ভাব খেল কচ্ছে কে জানে, এক যায়গায় সে কিন্তু অস্বাভাবিক বেদনা-ভারে মুয়ে পড়ে ব’ল্লে Naren is a heartless fellow, at #5 on কথাগুলি যে অস্তরের সহানুভূতির বর্ণ প’রেই বেরিয়ে এসেছিল সত্য-মিথার তীক্ষ্ণ চোখ-রাঙানিভরা বিচারবিদ্রুপের ধার না ধেরে, তার সুস্পষ্ট প্রমাণই হ’চ্ছে বীথির সেই বেদন-কম্পিত কাতর করুণ নম্র গলার মুরটুকু !...সে বল্পে, বিজয়ার প্রাণ-টালা ভালবাসাটুকু নরেন বুকে নিতে পালেন - নরেনের মত একনিষ্ঠ সাধক ভালবাসার মর্ম্মট ধরে নিতে পালে কিনা, সে নিয়ে ט\x