—যাবো বৈকি। রুগী রয়েচে।
—আমিও চলো যাই—
—তুমি যাবে?
—চলো বেড়িয়ে আসি—
সর্ব্বনাশ। বলে কি সনাতনদা? মঙ্গলগঞ্জে গেলেই ও সব জানতে পারবে হয়তো। ওর স্বভাবই একে ওকে জিজ্ঞোস করা। গোবিন্দ দাঁ সব বলে দেবে। কিন্তু আমার এখনও সন্দেহ হয় গোবিন্দ দাঁ বা মঙ্গলগঞ্জের কেউ এখন হয়তো জানে না আমি কোথায় গিয়েছিলম।
সনাতন বললে—কবে যাবে?
—দেখি কালই যাবো হয়তো।
সনাতনদা চলে গেল। আমি তখনই সাইকেল চেপে মঙ্গলগঞ্জে যাবার জন্যে তৈরি হোলাম। আগে সেখানে গিয়ে আমায় জানতে হবে। নয়তো সনাতনদাকে হঠাৎ নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
সুরবালাকে বলতেই সে বাস্তভাবে বললে―না গো না, এখন যেও না—
আমার বিশেষ দরকার আছে। মঙ্গলগঞ্জে যেতেই হবে।
—খেয়ে যাও।
—না, এসে খাবো।
সাইকেলে যেতে তিন চার মাইল ঘুর হয়। রাস্তায় এই বর্ষাকালে জল কাদা, তবুও যেতেই হবে।
বেলা সাড়ে দশটার সময় মঙ্গলগঞ্জের ডিসপেনসারির দোর