ফিরতে পারবো না। ফিরবার দরকারও নেই। আর আসবো না। সব ভুলে যাবো ঘর বাড়ি, সুরবালা, ছেলেমেয়ে। ওসবে আমার কোন তৃপ্তি নেই। সত্যিকার আনন্দ কখনো পাইনি। এবার নতুন ভাবে জীবনযাত্রা আরম্ভ করবো, পান্নাকে নিয়ে।
আজ রাত্রেই যাবো।
মাতালের মত টলতে টলতে বড় রাস্তায় এসে ট্রাম ধরলাম। এমন সময় পেছন থেকে কে বলে উঠলো—কি রে, শোন, শোন—
ট্রাম থেকে নেমে পড়লাম। পেছন দিকে চেয়ে দেখি আমার মেডিকেল কলেজের সহপাঠী করালী। অনেক দিন দেখা হয় নি, দেখে আনন্দ হোল। ওর সঙ্গে পুরানো কথাবার্ত্তায় অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলাম। করালী ডায়মণ্ডহারবারের কাছে কি একটা গ্রামে প্র্যাকটিস্ করচে। আমায় বললে, চল একটু চা খাই কোনো দোকানে।
—বেশ, চলো।
আমার চা খাবার বিশেষ কোন ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু আমার প্রয়োজন ছিল স্বাভাবিক কথাবার্ত্তার মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে আবার ফিরে আসা। আমি বুঝতে পেরেছিলাম স্বাভাবিক অবস্থায় আমি আদৌ নেই। করালী গ্রাম্য প্র্যাক্টিসের অনেক গল্প করলে। দু’একটা শক্ত কেসের কথা বললে। আমি একমনে বসে শুনছিলাম। করালীকে