পান্না নৌকোয় বললে—বুড়োটা ক্ষেপেছিল তাহলে?
—সেটা তোমার দোষ। ওর দোষ নয়।
—কি বললে শেষটাতে?
নীলি ঝংকার দিয়ে বললে—তুই ক্ষ্যামা দে বাপু। একটু ঘুমুতে দে। নেকু, ওরা কি বলে তুমি জানো না কিনা? খুকি! চুপ করে থাক।
পান্না হেসে বললে—নীলিদির রাগ হয়েচে হাজার হোক―
—আবার ওই কথা! ঘুমুতে দে। বক্ বক্ করতে হয় তোমরা নৌকোর বাইরে গিয়ে বকো।
নৌকোতে উঠে সকালের হাওয়ায় আমার ঘুম এল।
অনেকক্ষণ পরে দেখি পান্না আমায় ডেকে তুলচে। বেলা অনেক হয়েচে। নৌকো এসে ষ্টেশনের ঘাটে পৌঁছে গিয়েচে।
নীলি হেসে বললে—তাহলেই আপনি মুজরোর দলে থেকেচেন। তিন চার রাত জাগতে তবে অনবরত। ঘুমুতে পারবেন না মোটে, তবেই মুজরো পারা যায়। আমাদের সব অভ্যেস হয়ে গিয়েচে।
গাড়ীতে উঠে নিরিবিলি পেয়ে পান্না আমার বললে—কত টাকা পেলাম বলতো?
—কি জানি?
—তোমায় দেব না কিন্তু—হুঁ হুঁ—
ছেলেমানুষের ভঙ্গিতে হাসিমুখে ঘাড় দুলিয়ে বলে।
আমিও হেসে বলি—দেখাও না কেড়ে কি নিচ্চি?