পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

222 ՀՀ অথৈ জল পাল্লা দীর্ঘ শিস দেওয়ার সুরে কথাটা উচ্চারণ করে চুপ৷ করে গেল । আমি জানি ও অত টাকা কখনো এক সঙ্গে দেখেনি। বললাম-তুমি ভাবছিলে কত টাকা ? -আমি ? আমি ভাবছিলাম পচিশ ত্রিশ । --দিতে ? -আমার হার বঁাধা দাও, দিয়ে টাকা আনে। —থাক, রেখে দৃও। সেদিন দু’টি ডিসপেনসারিতে গিয়ে চাকুরির চেষ্টা করলাম। কোথাও সুবিধে হোল না । সেদিন বসে বসে অনেকক্ষণ ভাবলাম একটা নিজন স্থানে বসে । কিন্তু আসল কাজ হয়ে পড়লো অন্য রকম। পান্নাও নাচের আসরে বায়না নিতে লাগলো । আমি ওর সঙ্গে সর্বত্র যাই, বাইজির পেছনে সারেঙ্গীওয়ালার মত । পরিচয় দিই দলের রসুইয়ে বামুন বলে, কখনো বলি আমি ওর দূর সম্পর্কের দাদা। এ এক নতুন ধরণের ৫-১৬-৩ ; কত রকমের লোক আছৈ, কত মতলব নিয়ে লোকে ঘোরে, দেখি, বেশ ভাল লাগে। ওরই রোজগারে সংসার চলে।* মাঘ মাসের শেষে কেশবডাঙ্গা বলে বড় একটা গজের বারোয়ারির আসরে পান্নার সঙ্গে গিয়েছি । বেশ বড়g বারোয়ারির আসর, প্রায় হাজার লোক জমেচে আসরে। তাঙ্ক কিছু আগে স্থানীয় এক পল্লীকবির ‘তাব” গান হয়ে গিয়েছে। " অনেক লোক জুটেছিল “ভাব” গান শুনতে। তারা সবাই অল্পে