বললে—চলো বাপু, এখান থেকে আমরা চলে যাই। আমার বুঝি নীলি পেয়েছে এরা? আর তোমায় বলি, তোমার রাগ হয় না এ সব কথা শুনে? তুমি কি রকম লোক বাপু? বারোয়ারিতে নাচের বায়না দু’দিন বেশি হয় হোক, কিন্তু এ সব কি কথা? ছিঃ—
—নাচের বায়না ত্রিশ টাকাতেই রাজি তো?
—সে তুমি যা হয় করবে। আমি কি বুঝি?
—চল্লিশ বলবো?
—বেশি দেয় ভালো।
আমি ফিরে দেখি সাঁতরাবাবুদের নায়েরমহাশয়ের চর সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েচে। তাকে বললাম—হোল না মশাই।
—কেন, কেন? কি হোল?
—উনি কারো বাগান বাড়িতে যান না। ভালো ঘরের মেয়ে।
—তাই নাকি?
—মশাই আমি সব জানি। ওঁর স্বামী আছেন একজন বড় ডাক্তার। নাচ টাচ উনি সখ করে করেন। সে ধরণের মেয়ে নন।
লোকটা আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইল। আমার কথা বিশ্বাস করলে কিনা জানিনে। অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে চলে গেল। বারোয়ারির কমিটির লোকেরা বললে—কি হোল?
—হোল না মশাই।
—কেন? কি হোল বলুন না?