তাহ’লে আমিই তো ব্যবস্থা করতাম। আমার বাড়িও যশোর জেলায়। দেশের লোক আপনার।
—বেশ বেশ।
সারাদিন পথে ঘুরে ঘুরে কাটলো এক রকম। অনেক দেরি করে বাসায় এলুম। কালও বেড়িয়ে ফিরে এলে পান্না বলেছিল,—একদিন চলো আমরা খড়দ যাবো। মায়ের সঙ্গে একবার ফুলদোল দেখতে গিয়েছিলাম জানলে? বড্ড ভাল লেগেছিল। যাবে একদিন?
—আমি বলেছিলাম চল, সামনের শনিবার।
ও হেসে বলেছিল—আমাদের আবার শনিবার আর রবিবার। তুমি কি আপিসে চাকরি কর!
কিছু না, শশিপদ সেকরা ঠিক বলেচে ওরা মায়াবিনী। রাত্রে ঘুমুতে গেলে ঘুম হয় না। হঠাৎ দেখি যে আমি কাঁদচি। সত্যিই কাঁদচি। জীবনে সব কিছু যেন চলে গিয়েছে। আর কোনো আমার ভরসা নেই। কোনো অবলম্বন পর্য্যন্ত নেই জীবনের। পান্না এত নিষ্ঠুর হতে পারলে? চলেই গেল! আচ্ছা, ও কি আমার ওপর রাগ করে, অভিমান করে চলে গেল। আমি ঘুম ছেড়ে উঠে ভাবতে বসলাম। যদি কেউ আমাকে ওর মনের খবর এনে দিতে পারতো, যদি বলে দিতে পারতো ও অভিমান করে গিয়েছে, আমি তাকে অন্তর থেকে আশীর্ব্বাদ করতাম। আমি নিঃস্ব, দেওয়ার কিছুই নেই আমার আজ—নইলে অনেক টাকা দিতাম ওই সংবাদ বাহককে। কিন্তু খবর কেউ নাই বা দিল?