বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অথৈজল
২৩৮

 শুধু পান্না, পান্না, পান্না।

 আর কোনো কথা ভাবতে পারিনে। উপায় নেই। আমি কি ভাবি? কে যেন ঘাড় ধরে জোর করে ভাবায়। বুকের মধ্যে দিন রাত হু হু করে। গোটা বিশ্বটাই খালি হয়ে গিয়েচে। কেবল কান্না পায়। কত কষ্টে চোখের জল আটকাই। রোজ রাত্রে নির্জ্জন ঘরে অন্ধকারে শুয়ে হাউ হাউ করে কাঁদি। পান্নার বাড়ি আমি জানি। আমি সেখানে যেতে পারি। কিন্তু তা গিয়ে কোন লাভ নেই। যে পান্না আমাকে ছেড়ে এক কথায় গাড়ীতে গিয়ে উঠতে পারে, সে তো সব কিছু ভেঙে দিয়েই চলে গিয়েছে। আর অত অল্প সময়ের মধ্যে এতদিকের এত ভালবাসা! পান্নার মন চলে গিয়েছে আমাকে ছেড়ে। তবে কাছে গিয়ে কি করবো আমি।

 তবুও মনকে বোঝাতে পারি নি।

 আজ দু’ তিন দিন থেকে মন যেতে চাইছে পান্নার মায়ের বাড়ি। দেখিনি কতদিন, চোখের দেখা দেখতেও তো পাবো।

 আমি কারো ভয় করি না। কে কি বলবে সে ভাবনা আমার নেই। কিন্তু যদি ওকে একটি বার দেখতে পেতুম শুধু চোখের দেখা।

 আর আছে একটা উগ্র কৌতূহল, ও কেন চলে এলো। কি কারণ ও অমন করে চলে আসবার?

 এখন আমার সম্বন্ধে ওর মনের ভাব কি?

 এই দুটো কথা জানবার জন্যে আমি মরে থাকি। কি