পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অথৈ জল 08 গিয়েছিলেন বড় মুখুজ্যে মশায়ের বাড়ী। তিনি শুনলেন শান্তির মা ঘরের মধ্যে কঁদছে। শান্তি নেই, তার বাক্সের মধ্যে কাপড় ও দু-একখানা যা সোনার গহনা ছিল, তা নেই। ওদিকে দেখা গেল রামপ্রসাদও নেই। আমি অবাক হয়ে বললাম-বল কি ? সনাতনদা বললে-তোমার কাছে গাঁ শুদ্ধ, সবাই আসছে শান্তির মাকে নিয়ে । এর কি করবে করে । আমি বললাম-এর কিছু উপায় নেই সনাতনদী । শান্তি নিজের পথ নিজে করেছে । আপদ গেছে গায়ের । এ নিয়ে কোনো গোলমাল হয় এ আমার ইচ্ছে নয় । সুরবালা বললে-মেয়েমানুষকে চিনতে এখনও তোমার অনেক দেরি । শাস্তি ঠাকুরবিকে বডড ভাল মানুষ ভেবেছিলে a ? বর্ষা নেমেছে খুব । দুজায়গায় ডাক্তারখানায় যাতাযাত, জলকাদায় সাইকেল চলে না-গরুর গাড়ী যেখানে চলে সেখানে গরুর গাড়ী, নয়তো নৌকো যেখানে চলে নৌকো। ছাঁইয়ের বাইরে বসে দেখি বঁাকে বঁাকে পাড়-ভাঙা ডুমুর গাছ কিংবা বঁাশ ছাড়ের নীচে বড় বড় শোলমাছ ঘোলা জলে মুখ উঁচু করে খাবি খাওয়ার মত ভাসছে, কোথাও ভুস করে ডুব দিলে মন্তু বড় কচ্ছপটা ৷ মঙ্গলগঞ্জের কুঠীঘাটে নৌকো বাধা হয়। নেমে যেতে হয়। সিকি মাইল দূরে মঙ্গলগঞ্জের বাজারে -এখানেই আমার একটা শাখা ডাক্তারখানা আজ হুমাস হােল খুলেছি। সপ্তাহের జీ. , ጰ” ۶ نام " ، ، àà>** h܆ ܫܝ ܀ - ܘܽܐ ܀