পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ew ° . . আখৈ অল আবদুল হামিদ চৌধুরী বললে-কতক্ষণ এলেন ডাক্তার বাৰু? --ত দুপুরের পরই এসেচি। এতক্ষণ চলে খেতাম, ভূষণ দা গিয়ে ধরলে গান না। শুনে যেতে পারবে না। ভালো সব ? --খোদার ফজলে একরকম চলে যাচ্চে। আমাদের বাড়ীতে একবার চলুন। ,爵 -আমি ডাক্তার মানুষ, বাড়ীতে নিয়ে গেলেই ভিজিট দিতে হবে, জানেন তো ? -ভিজিট দিতে হয়, ভিজিট দেওয়া যাবে। একদিন গিয়ে একটু দুধ খেয়ে আসবেন। 毫 কলাধরপুরের প্রহ্লাদ সাধুখা হেসে বললে-সে ভাল তো ডাক্তারবা। ট্যাকাও পাবেন, আবার হুধও খাবেন। আপনাদের আদেষ্ট ভাল। যান, যান রামহরি সরকার এতক্ষণ কথা বলবার ফাক পাচ্ছিল না, সেও একজন যে-সে লোক নয়, মঙ্গলগঞ্জ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পাড়াগ অঞ্চলে এ সব পদে যারা থাকে, তারা নিজেদের এক একজন কেষ্টবিষ্ট বলে ভাবে, উন্নাসিক আভিজাতের গর্বে সাধারণ লোক থেকে একটু দূরে রাখে নিজেকে। রামহরি এই সময় বললে-ডাক্তার আর এই গিয়ে পুলিশ, এদের সঙ্গে ভাব রাখাও দোষ, না রাখাও দোষ । পরশু আমার বাড়ি হঠাৎ বড় দারোগ এসে তো ওঠলেন। তখুনি পুকুর থেকে বন্ধু মাছ তোলালাম, মাছের কোমল ভাত হোল । আবদুল হামিদ চৌধুরীর মনে কথাটা লাগলো। সেও তো কিন্তু কম নয়, ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং লোকাল বোর্ডের