—বেশ দেখছি আমি। তোমার হাতে কত আছে?
—গুণে দেখিনি। হাজার চারেক হবে। তুমি কিছু দিও—কিনতে হয় ভাল দেখে একখানা—
—ওতেই ভেসে যাবে।
আমি সামান্য একটু ঘুমিয়ে নিই।
যখন উঠলাম তখন শীতের বেলা একেবারেই গিয়েছে। সুরবালা চা নিয়ে এল। বললাম, বাইরে সনাতনদা বসে আছে নিশ্চয়। ওকে চা পাঠিয়ে দাও—
সুরবালা বললে—মালিয়াড়া থেকে তোমার কল্ এসেছে, দু’জন লোক বসে আছে। বৃন্দাবন কম্পাউণ্ডার এসেছিল বলতে, আমি বললাম বাবু ঘুমুচ্ছেন।
—এখন আমার ইচ্ছে নেই যাবার।
—সে তুমি বোঝো গিয়ে। কিছু খাবে?
—নাঃ, এই অবেলার শেষে খিদে নেই এখন। জামাটা দাও, নিচে নামি।
বাইরের ঘরে সনাতনদা ঠিক বসে আছে। আমায় বললে—কি হে, ঘুমুলে যে খুব? এরা এসেছে মালিয়াড়া থেকে তোমায় নিতে।
লোক দুটি উঠে দাঁড়িয়ে নমস্কার করলে। একজন বললে—এখুনি চলুন ডাক্তারবাবু, বীরেশ্বর কুণ্ডুর ছোট ছেলের জ্বর আজ ন’দিন। ছাড়ছে না কিছুতেই—
—কে দেখছে?
—গ্রামেরই শিবু ডাক্তার—