বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অদ্ভুত ফকির - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
দারোগার দপ্তর, ১৯৫ সংখ্যা।

 বেলা একটার পর গৌরীবাবুর বাড়ীতে ফিরিয়া গেলাম। তিনি আবদুলের সহিত বাড়ীর দরজায় আমার অপেক্ষায় দাঁড়াইয়া ছিলেন। আমাকে ফিরিতে দেখিয়া তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হইলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার ম্যানেজারের সহিত আপনার কি সাক্ষাৎ হইয়াছিল? আপনি সেখানে গিয়াছিলেন কি?

 আমি সম্মতিচক উত্তর দিলাম। তখন গৌরী বাবু আরও আগ্রহসহকারে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তাহাকে কেমন দেখিলেন? আমার ত বোধ হয় তিনি নিজেই হউক বা অপর লোকের দ্বারাই হউক, ফকিরকে ইহলোক হইতে ফিরাইয়া দিয়া আমার বিলক্ষণ শত্রুতাসাধন করিয়াছেন, তিনিও সেইরূপ আমায় উপকারী পরম বন্ধু ফকিরের প্রাণসংহার করিয়া আমার অপরাধের বেশ প্রতিশোধ তুলিয়াছেন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ।

 গৌরীবাবু আরও অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন, কিন্তু আমি তাঁহাকে আর কোন উত্তর না দিয়া আবদুলের সহিত গৌরী বাবুর বৈঠকখানায় গমন করিলাম। গৌরী বাবুও আমাদের সঙ্গে সঙ্গে যাইলেন।

 ক্রমে বেলা নয়টা বাজিল। আমি আর সময় নষ্ট না করিয়া আবদুলকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “খাঁ সাহেব! ব্যাপার কিছু বুঝিতে পারিয়াছ? গৌরী বাবু দুইজনের উপর সন্দেহ করিয়াছেন।