পাতা:অদ্ভুত ভিখারী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অদ্ভুত ভিখারী।
১৭

ছিলাম। সহসা মন কেমন বিচলিত হইয়া উঠিল। ভাবিলাম, যেন কাহার কি হইয়াছে। আর আহার করিতে ভাল লাগিল না। তখনই শয়নকক্ষে গিয়া দেখি, আমার স্বামীর হাত কাটিয়া রক্তে রক্তারক্তি হইয়াছে। সেই জন্যই বল্‌ছি যে, যাঁর একটা হাত কেটে গেলে আমার প্রাণ এত অস্থির হয়, তার মৃত্যু হইলে আমার প্রাণ কি স্থির থাক্‌তে পারে। তিনি নিশ্চয়ই জীবিত আছেন।”

 ডাক্তার। মা, আপনি যা বলিতেছেন, তাহা বাস্তবিকই সত্য কথা। কিন্তু মা, যদি আপনার স্বামী জীবিতই আছেন এবং চিঠি লিখ্‌তে পারেন, তবে তিনি কি কারণে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিতেছেন না? এমন কি ব্যাপার ঘটিল, যাহাতে তিনি তোমায় দেখা দিতে পারিতেছেন না?

 রমণী। সেটা আমি বল্‌তে পারি না। ভাব্‌তেও পারি না। ওকথা বলা আমার পক্ষে অসম্ভব।

 ডাক্তার। সোমবার দিন যখন তিনি যান, তখন কোন কথা বলে যান নাই?

 রমণী। না বাবা।

 ডাক্তার। আপনি নিশ্চয়ই তাঁকে গুলির আড়ায় দেখে আশ্চর্য্য হয়েছিলেন।

 রমণী। নিশ্চয়ই!

 ডাক্তার। আচ্ছা, জানালা কি খোলা ছিল।

 রমণী। হাঁ।

 ডাক্তার। তা হ’লে তিনি তোমায় ডাকতে পার্‌তেন।

 রমণী। হাঁ, নিশ্চয়ই পার্‌তেন।