পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট । ১ । এই অধিকারতত্ত্বে যাহা লিখিত হইল তাহা কার্য্যে পরিণত করা কিছুমাত্র কঠিন নহে ৷ এক জনকে তুমি খৃষ্টান বা মুসলমান ধর্ম্ম গ্রহণ করিতে বল, দেখিবে তাহাতে কত তর্ক, কত বিবাদ উপস্থিত হইবে । তর্ক ও বিবাদে কত অমূল্য সময় বৃথা নষ্ট হইয়া যাইবেক, বাহিরের কোলাহল আসিয়া হৃদয়কে মহা মোহে অtছন্ন করিবেক ; তখন তুমি হৃদয়স্থিত ধর্ম্মের আদেশ সমূহের অবমাননা করিতে ক্রটি করিবে না । কিন্তু কোন সাম্প্রদায়িক ভাবের প্রতি দৃষ্টি না রাখিয়া তুমি মনুষ্যকে মুদ্ধ ধার্ম্মিক হইতে বল, তাহার ধর্ম্ম কার্ষ্যে উৎসাহ দেও, দেখিবে তোমার কথা কেহই ঠেলিতে পরিবেন না । ‘ আমি বেশী বুঝি, অতএব তাপমার মতে সকলে আসুক ’ ধর্ম্ম প্রচারের এই উপায়কে অভিমানমূলক জানিয়া ত্যাগ করিতে হুইবেক । তৎপরিবর্তে বলিতে হইবে যে তুমি ঈশ্বর ও ধর্মের যৎপরিমাণ ভাব আপন জ্ঞান ও বিশ্বাসের দ্বারা বুঝিতে পার, দৃঢ় মনোযোগের সহ ভগবানের তৎপরিমাণ পূজা ও ধর্ম্মের আচরণ করহ ৷ একথা অবহেলন করিবার কাহারও সাধ্য নাই । প্রত্যেক মানবের আত্মা এইরূপই চাহে । খৃষ্টীয় ধর্ম্মাবলম্বিৱাও কেহ কেহ এখন কহিতেছেন যে বিবেকের গ্রাহাধর্ম্মই ভবিষ্যতের খৃষ্ট-ধর্ম্ম হইবেক, কিন্তু ধর্ম্মোপদেশকের ধর্ম্ম