পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. অধিকার-তত্ত্ব | অণকার ধারণ করিয়াছে । অবস্থা ও জ্ঞান ভেদে যখন মানবের যেমন অধিকার হইয়াছে, তখনি ধর্মের তদনুযায়ী প্রণালী স্থাপিত হইয়া পড়িয়ছে । দুগ্ধপোষ্য সন্তানের পক্ষে অন্নের ব্যবস্থা যেমন অনুচিত, অন্নজীবি ব্যক্তির পক্ষে কেবল দুগ্ধপানের ব্যবস্থা তেমনি পীড়াদায়ক । দুর্ব্বলাধিকারীর প্রতি ত্রহ্মোপাসন র ব্যবস্থা তেমণি অমস লকর এবং উচ্চাধিকারীর প্রতি প্রতিমা-পূজার ব্যবস্থা তেমনি অস্বাভাবিক । যাহা স্বাভাবিক তাহা জগতের ভিন্ন ভিন্ন কালে, ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানুসারে আপন আপনি প্রকাশ পাইয়। থাকে ধর্ম্মের প্রকৃতিই এই ৷ জগতের আদিকালে মানবজাতির বা ব্যক্তিবিশেষের যে যে অবস্থায় যেরূপ ধর্ম্ম প্রকাশ পাইয়াছে, ভাবীকালের বা বর্তমানকালের মানবসমাজে বা ব্যক্তিবিশেষ সম্বন্ধে যদি সেই সেই অবস্থা দেখা দেয় তবে সেইরূপ ধর্ম্মই স্বভাবতঃ প্রকাশ পাইবেক । ঈশ্বরের নিয়মই এই প্রকার । অতএব ভৌতিক দেবগণের আরাধনা ও প্রতিমা পূজা যেমন ঈশ্বর-প্রেরিত ধর্ম্ম, মিরণকার-ত্রহ্মারাধনাও তেমভি ঈশ্বর-প্রেরিত ধর্ম্ম । ব্রহ্মারাধনার তাবস্থা ইহকালে যে সকলের ঘটিবে এমত অণশা করাও যায় না । অনন্তকাল যাবৎ মানব কষ্টেসৃষ্টে সেই অবস্থার দিগে উঠিতে থাকিবে । ঐ মহা পুণ্য-পথের মধ্যে মধ্যে মহা মহা নরকযন্ত্রণ ভোগান্তে মানব অবশেষে গিয়া ঐ অবস্থায় উত্তীর্ণ হইবেক । , অনেকে ভাবিয়া অবাক হইবেন যে, ত্রহ্মোপাসনাও ঈশ্বর