পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । V2A 象 ৯ । একথা অবশ্ব স্বীকার্ষ্য যে প্রত্যেক বারের নবীনতা-নিবন্ধন সম্প্রদায়-বিশেষে ধর্ম্ম নুতন-বীর্য্য প্রদান করে । কিন্তু সেই অভিনব-উৎসাহ-অনল অচিরেই নির্ব্বাণ হইয়া যায়, তখন তাদৃশ ধর্ম্মমত আবার স্রোত-বিহীন ভটিনীর ন্যায় পড়িয়া থাকে । ভারতবর্ষের উপাসকসম্প্রদায়দিগের বিবরণ এই কথার সম্পূর্ণ পোষকতা করিবেক । পৌত্তলিকতাকে নষ্ট করিয়া এক ঈশ্বরের উপাসনা প্রচার করিয়ার নিমিত্তে কতই সম্প্রদায় সৃষ্ট হইয়াছিল, এখন দেখ সেই সকল সম্প্রদায়ের ‘ মধ্যে আবার অপরিহার্ষ্যরূপে পৌত্তলিকতা প্রবেশ করিতেছে । পৌত্তলিকতার এ স্বাভাবিক গতিকে কে রোধ করিভে পরিবে ? ১০ । এতাবতা কোন কালেই ব্রহ্মোপাসনা কোন এক দেশের সামাজিক ধর্ম্ম হইবেক না এবং বর্তমান কালেরও অতি অম্প সংখ্যক শিক্ষিত যুবা ব্যতীত জন-সাধারণ রূপনাম-বিশেষণ-বিবৰ্জ্জিভ ব্রহ্মোপাসনার অধিকারী নহেন । ১১ । তাদৃশ অপধিকারী ব্যক্তিগণের আত্মার মঙ্গল করা যদি কর্ত্তব্য হয় তবে অবশ্যই তাহারদের যেমন ধারণা, যেমন অভিৰুচি, তদনুযায়ী দেবদেবীর উপাসনার যোগে র্তাহারদিগকে ক্রমে উন্নভ করিয়া প্রকৃত ব্রহ্মোপাসনায় আনিতে হুইবেক । সকলেই যে সেই উপায়ে ব্রহ্মোপাসনায় আগমন করিতে পারিবেন এমত মনে করা উচিত নহে । তথাপি ভদ্বারা যত লোকের পরমার্থ জ্ঞান জন্মে । ততই মঙ্গল । তাহারা নাস্তিক ও ভ্রষ্টাচারী, না হইয়। অবশ্যই ভক্তি পূর্বক দেবদেবীর পূজা, সন্ধাবন্দন, শ্রাদ্ধাদি