পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । 8為 驗 অনুযায়ী মহেন্নিতির জন্য কনিষ্ঠোপাসনার উপদেশ দ্বারা ক্রমে র্তাহারদিগকে ত্রহ্মোপাসনার যোগ্য করিয়া তুলিবেন, কিন্তু আপনি কখন তাহারদিগের ন্যায় অপের উপাসনা করিবেন না । এবং দুর্ব্বলাধিকারীগণকে ইহা জ্ঞাত হইয়া থাকা কর্ত্তব্য যে তাদৃশ কনিষ্ঠোপাসনা সেই ব্রহ্মজ্ঞের অগত্মার পক্ষে স্বভাবতঃ প্রয়োজনীয়ও নহে । লোক দেখাইবার নিমিত্তে পুত্তলিকার পূজা করিতে যাওয়া উহার বিশ্বাসের বিৰুদ্ধ কার্য্য । তিনি অন্যের সম্বন্ধে যেমন উদার থাকিবেন আপনার সম্বন্ধে ও তদ্রুপ থাকিবেন । দুর্বলাখিকারীর অন্ততঃ ইহাই বুঝিয়া রাখিবেন যে “ সমস্ত বেদেতে তত্তৎ-বেদোক্ত যাবতীয় কর্ম্ম-ফলরূপ যে প্রয়োজন-সিদ্ধ হয়, তৎসমস্তই নিশ্চয়াত্মক-বুদ্ধি-বিশিষ্ট ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্যক্তির হইয় থাকে ।* ৩ । পিতা মাতা শিশুর ভার গ্রহণ না করিলে, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অপ্রাপ্তবয়স্ক কনিষ্ঠ ভ্রাতার ভার না লইলে, চিকিৎসক রোগীকে না দেখিলে, তাহারদের যেরূপ অপরাধ হয় ; ব্রহ্মবাদী দুর্ব্বলাধিকারীকে তদীয় অধিকার অনুসারে ধর্ম্মেপদেশ না করিলে, র্তাহীর তদপেক্ষ ও অধিক আপরাধ হয় । কারণ অন্যান্য উপকারের অভাবে মানবের কেবল পার্থিব কষ্টই হয়, কিন্তু ধর্ম্ম-উপদেশ বিনা মানবের পরমার্থিক-যন্ত্রণ ঘটিয়া থাকে । ৪ । এইক্ষণ ব্রাহ্ম-সমাজের মধ্যে বা বাহিরে যাহার প্রকৃত ব্রাহ্মোপাসক আছেন তাহারা যদি ধীরুভাবে মুনিবাত্মার

  • বৰ্দ্ধমালাধিপতির মহাভারত । ভগবদ গীত প্রং আধ্যায় ২৫, পৃ ৩৮ ৷

ছ ।