পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । بسیاری șa মহুক্ষদের মাহাত্ম্য প্রমাণ করিবে ; কিন্তু যাহারা তাহারদিগকে ঈশ্বরের অংশ বা অবতার বলিয়া মানেন, র্তাহরণও তাহাতে আপত্তি করিবেন, এবং র্যাহার সেরূপ না মানেন তাহারাও তাঁহাতে আপত্তি করিবেন । ৭ । তথাপি তুমি যদি খৃষ্ট বা চৈতন্যকে তোমার ধর্ম্মনায়ক কর এবং র্তাহারদিগের প্রতি ভক্তি করা ধর্ম্মের অঙ্গরূপে স্থাপন কর, তবে তুমি এক নুতন কীর্তি করিলে । তুমি খৃষ্টকে দেখ নাই, তাহার চরিত্র বাইবেলে পড়িয়ছে, এবং জনকতক সাহেব তাহাকে নবীনবেশে সাজাইয়। তোমার কর্ণ দ্বারা উহাকে দেখাইয়াছেন। এখন বাইবেলের খৃষ্ট-চরিত্রে যদি ভুল থাকে তবে ঐ সাজসজ্জা কম্পিত হয় কি না ? চৈতন্যের বা মহন্ধদের যে সকল চরিত্র প্রকাশিত হইলে তোমার কার্য্য-উদ্ধার; হয়, তুমি চৈতন্যভগবৎ ও কোরণ হইতে তাহ নির্ব্বাচন করিয়ার্তাহারদিগের অঙ্গরাগ করিতেছ, তাহ কি কম্পনা নহে? তুমি মানসনেত্রে তাহারদিগকে সেই নববেশে দেখিয় ধর্ম্মের অঙ্গরূপে ভক্তি করিতেছ, তাহা কি কম্পনা নহে? আমরা ইহাকে একরূপ নবতর পৌত্তলিকতা বলি । ৮ । প্রত্যেক লোককে ক্রমে ক্রমে পৌত্তলিকতা হইতে উদ্ধার করিয়া যখন ব্রহ্মের উন্নত উপাসনায় লইয়া যাওয়াই আমারদের উদ্দেশ্য, তখন ভারতীয় তেত্রিশ কোটী দেবগণের মধ্যে এইরূপ নবতর নরপূজা যাহতে প্রবিষ্ট ন হয় তাহাই আমারদের ইচ্ছা ।