পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-ভক্ত । উপাসনা হইয়াছিল সেইরূপ চৈতন্যের প্রতি র্তাহারদের ভাদৃশ ভক্তি থাকিলে যথা তিথিতে অবশ্ব উপহারও পূজা হইত। যাহা হউক, বোধ হয়, লোক-ভয়েতে খৃষ্টের সেরূপ প্রকাশ্ব পূজা এখন স্থগিত হইয়াছে । সুতরাং সে কথায় আর প্রয়োজন নাই । ১১ । আমাদের মত এই যে, কোন এক ধর্ম্মের মধ্যে এদেশে কোন এক মানবকে অভিনব রূপে নায়ক-পদে প্রতিষ্ঠিত করাই অনুচিত, কারণ তাদৃশ ব্যক্তিকে সকলে প্রধান বলিয়া মান্য করিতে বাধ্য নহে, পরং হয়তো কালেতে জ্ঞানের অভাব হইলে তাদৃশ মানবের প্রতি অতিরিক্ত ভক্তি প্রদর্শিত হইয়া ভঁাহাকে একটি দেবতার পদে প্রতিষ্ঠা করা যাইতেও পারে । প্রাচীন দেবগণের অধীনতা হইতে মানব অনায়াসে মুক্ত হইতে পারিবে, কিন্তু তাদৃশ নবীন দেবগণের পাশ হইতে মুক্তি লাভ করা সহজ ব্যাপার হইবে না । হিন্দুশাস্ত্রোক্ত দেবগণকে ত্রহ্মোপাসক শাস্ত্রানুসারেই পরিত্যাগ করিবেন, কিন্তু ঐ রূপ অশাস্ত্রীয় নায়ক—দেবের ত্রহ্মোপাসনার মধ্য পথে অচলের ন্যায় দণ্ডায়মান থাকি বেক । ১২ । অভিনব ত্রাহ্মেরা খৃষ্টকে সত্য-ধর্মের পূর্ণ আদর্শ বলিয়া গ্রহণ করিতেছেন, কিন্তু আমরা তাহার চরিত্রে অনেক দোষ দৃষ্টি করিতেছি । বাইবেলই সেই সকল দোষ প্রমাণ করিয়া দিতেছে। অতএব পুরাবৃত্ত ও বিচার দ্বারাও যে খৃষ্টকে ধার্ম্মিকভার প্রধান আসনে প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব, তিনি কি মতে সকলের আদরণীয় হইতে পারেন ?