পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७ অধিকার-তত্ত্ব । ৬ । ব্রহ্মজ্ঞান যে দেশের শাস্ত্রে থাকুক, সকলেরই পরমাত্মীয় । তথাপি স্বজাতীয় শাস্ত্রে থাকিলে, আত্মীয় ও স্বজাতীয় অধিকার যুগপৎ চরিতার্থ হয় । স্বদেশের গৌরব জন্য আনন্দ হয়, সহজে বুঝা ও স্বদেশে প্রচার করা যায় । ৭। জনসমাজের মধ্যে সবল, দুর্ব্বল—উভয় প্রকার অধিকারীই বাস করে । অতএব কেবল ব্রহ্মজ্ঞান-প্রতিপাদক শাস্ত্র থাকিলে ভারতের কি গৌরব হইত ? হিন্দুধর্ম্মে সর্ব্ব প্রকার কনিষ্ঠাধিকারীর চিত্ত-প্রীতিকর ব্যবস্থা আছে এবং উচ্চাধিকারীর সত্তোগার্থ ব্রহ্ম-প্রতিপাদক মহোচ্চভাব রাশি রাশি । নরপূজা সে উচ্চাধিকারের ত্রিসীমায় যাইতে পারে না । অতএব হিন্দুশাস্ত্র পরিত্যাগে ভারতীয় ব্রহ্মবাদিগণের অধিকার নাই । ৮ । যাহারদের স্বজাতীয় শাস্ত্রে উন্নত জ্ঞান ধর্ম্ম না থাকে, তাহারদের আত্মার মঙ্গল জন্য র্ত হার অন্যজাতির শাস্ত্র হইতে উন্নত-ব্রহ্মজ্ঞান-প্রতিপাদক বচন সংগ্রহ করিতে পারেন । তাহাতে র্তাহারদের আত্মার অধিকার আছে । স্বজাতীয় অধিকার সেই আত্মীয় অধিকারের প্রতিকুলাচার করিতে পারে না ; কিন্তু আমারদিগের শাস্ত্রে যখন সকলই আছে, তখন অন্য দেশের শাস্ত্র হইতে কি ঋণ করিব ? ৯ । যদিও সকল আত্মাতে ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকার, কিন্তু তাহার উন্নতি কিয়ৎ পরিমাণ বহুদৰ্শিতা-সাপেক্ষ-পূর্ব্ব পুৰুষগণের উন্নতির নিদর্শন শাস্ত্রে ব্রহ্মজ্ঞান-বিষয়ক-শাস্ত্রই à অধিকারপোষক-বহুদৰ্শিতার প্রধান হেতু । সেই শাস্ত্র হইতে মানব পূর্ব পুৰুষগণের ব্রহ্মজ্ঞানের যে পরিমাণ পরি