পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । Ղ :) পরিত্যাগ করিতে হইবেক। তথাপি তাদৃশ অবস্থায় উহার যতই কেন ব্রহ্মজ্ঞান-প্রতিপাদক গ্রন্থাদি প্রণয়ন কৰুন না, তাহা তাহারদের প্রাচীনকালীন স্বজাতীয় ব্রহ্মজ্ঞান-প্রতিপাদক-শাস্ত্ররূপ-বহুদৰ্শিতার অভাবে, কখনই ভারতীয়-ব্রহ্ম জ্ঞানের সমকক্ষ হইতে পারিবে না । কাজেই তা হার অস্তুে ভারতীয়-ব্রহ্মজ্ঞান-প্রতিপাদক শাস্ত্রসমূহকে অত্যন্ত আদরের সহিত গ্রহণ করিবেন । ভারতীয় ধর্ম্মশাসন, রাজনীতি, উপাসনার ভাব, পরলোকের ভাব, প্রভৃতি যে অতি উৎকৃষ্ট ও পরমারোগ্যজনক এবং তাহ যে অতি পূর্বকালে এদেশ হুইতে গিয়া অসভ্য ইউরোপকে সুসভ্য করিয়াছিল, একথা ইউরোপীয় বিজ্ঞ বিজ্ঞ গ্রন্থকর্তারা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন । যখন ধর্ম্ম সম্বন্ধে সর্ব্ব প্রকার উন্নতির স্রোতই এ দেশ হইতে প্রবাহিত হইয়া ইউরোপকে উর্বর ও ফলবর্তী করিয়াছে, তখন ব্রহ্মজ্ঞামের স্রোতও যে এই দেশ হইতেই সে দেশে যাইয়া তথাকার খৃষ্টান ধর্ম্মের স্থান গ্রহণ করিবেক তাহা অসম্ভব নহে । “ বাবু কেশবচন্দ্র সেন যখন ইংলওে হিন্দুশাস্ত্র হইতে সত্য উদ্ধৃত করিতেন, তখন কত সমাদর ও শ্রদ্ধার সহিত তথাকার কেবল ব্রাহ্ম নহে কোন কোন উন্নতিশীল নামধারী খৃষ্টানও শ্রবণ করিতেন, এমন কি হিন্দুশাস্ত্রোদ্ধত সত্য র্তাহারা যেমন সমাদর করিতেন বাই, বেলের সত্যকে তেমন করিতেন না ।” ইংলণ্ডের জ্ঞানী লোকের এইরূপ ঔদার্ষ্য প্রকাশ করেন বলিয়া আমাদের অভিনব ব্রাহ্মের মনে করিতেছেন যে আমাদেরও উচিত. তাহদের বাইবেল হইতে সত্য উদ্ধার করিয়া লই . কিন্তু উহার