পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

扩象 অধিকার-তত্ত্ব । লোকের চিত বিকার প্রাপ্ত হইয়াছে, তুমি কেবল উহারদেরই মধ্যে ঐ বিজাতীয় ভাব বিরাজমান দেখিবে । ভবে র্তাহার। কৃতবিদ্য, এজন্য রাশি রাশি সংবাদপত্র ও পুস্তক লিখিয়। এবং দেশে দেশে বক্ততা করিয়া আপনারদের আচরণের শুভ ফল, আপনারদের উন্নতি, আপনারদের দল বৃদ্ধি ঘোষণা করিতেছেন, তাহাতেই বোধ হইতেছে যেন ভারতবর্ষ আপনার যথাসর্ব্বস্ব হারাইল ; কিন্তু তাহ মহে । ১৬ । একবার গঙ্গাদ্ধার হইতে সাগরসঙ্গম পর্য্যন্ত সুরধুনীর উভয় কুল দৃষ্টি কর, দেখিবে লক্ষ লক্ষ বালক, বৃদ্ধ, যুবা ও কুলবধূগণ উচ্চৈস্বরে “ মাত শৈলসুতা স্বপত্নী বসুধা ” রবের ধর্ম্মরাগ দ্বারা গগন ভেদ করিতেছেন । একবার হিমাত্রী, ব্রহ্মপুত্র,পারাবার বেষ্টিত ভারতের গ্রামে গ্রামে,নগরে নগরে ভ্রমণ কর, দেখিবে বৈষ্ণবদিগের ভজনক্ষেত্র হইতে “ প্রাণসখা হরির নাম” উদ্ধে উঠিতেছে ; শিবালয় সমূহ হইতে “হর হর বিশ্বেশ্বর” শব্দ বিস্তৃত হইতেছে এবং দেবাচৰ্চনা-জ্ঞাপক শঙ্খ, ঘণ্টা, চাক, ঢোলের অশনি-নির্ঘোষে, স্ত্রীলোকদিগের পাষাণ ভেদী হুলাহুলি-ধ্বনি ও মঙ্গল-গান মাতর্ভারত ভূমির দিস্থিতান পরিপূর্ণ করিয়া তুলিতেছে। ঘরে ঘরে শিবালয়,ঘরে ঘরে বিগ্রহ সেবা, অতিথি অভ্যাগতের সৎকার, ঘরে ঘরে শ্রাদ্ধ শান্তি, স্বস্ত্যয়ন, ত্রতহোম, অনশন, চণ্ডী, ভাগবৎ, ভগবদগীতা, পুরাণ, তন্ত্রাদিপাঠ প্রভৃতি সমুদয় ভারত-ব্যবহার প্রচলিত রহিয়াছে। ১৭ যত সংখ্যক লোকের মধ্যে ঐ প্রাচীন ভাব বিরাজিত আছে, তাহার তুলনায় ব্রাহ্ম সংখ্যাকে সংখ্যাই বলা