পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড রথ হইতে ভূতলে অবতরণ করলেন; তিনি আচার্য্য বলিয়া অবারিতভাবে গৃহপ্রবেশপূর্ব্বক দ্বিতীয় অধ্যায় । సి একদা রাজা দশরথ, কুলগুরু বসিষ্ঠকে নির্জনে | আন্তঃপুরে প্রবিষ্ট হইলেন। গুরু আসিয়াছেন, আহ্বান করিয়া কহিলেন, “ভগবন! পৌরজনপদ জানিয়া রাম সত্বর কৃতাঞ্জলিপুটে প্রত্যুদগমন কঃি প্রভৃতি সমস্ত প্রজাবৰ্গ-বিশেষত শাস্ত্রশদী বৃদ্ধ মন্ত্রিগণ সর্ব্বদা ঐরামের প্রশংসা করিতেছেন। হে মুনিপুঙ্গব ! আমি বুদ্ধ হইয়াছি ; এক্ষণে আমার একান্ত ইচ্ছ যে, জ্যেষ্ঠপুত্র সর্ব্বগুণান্বিত কমললোচন রামকে রাজ্যে অভিষেক করি । শক্রন্থের লেন এবং ভক্তিভাবে সাষ্ট্রাঙ্গে প্রণাম করিলেন জানকী অবিলম্বে স্বর্ণপাত্রে করিয়া জল আনিলেন ; তখন রাম-সীতা, বলিষ্ঠকে রত্নাসনে বসাইয়া ভক্তিপুর্ব্বক তাহার চরণযুগল প্রক্ষালন করিয়া দিলেন, অনস্তর সেই পাদোদক মস্তকে ধারণ করিয়া রাম সহিত ভরত মাতুলকে দেখিতে গিয়াছে; অবিলম্বে বললেন;–“আপনার পাদোদক ধারণ করিয়া কল্যই রামাভিষেক হউক ; আপনি ইহাতে অনু- ; আমি ধন্ত হইলাম।” ঐরাম এই কথা বলিলে, মুনি মোদন করুন। অভিষেচনিক সমস্ত দ্রব্যসামগ্রীর আয়োজন হউক ; আপনি গমন করুন ; রাস্ববকে অধিবাসের জন্য প্রস্তুত হইতে বলুন। অযোধ্যানগরী চারিদিকে স্বর্ণমুক্তাময় বিবিধ বিচিত্র তোরণে ও নানাবর্ণের পতাকাদ্বারা সজ্জিত হউক ৷” দশরথ মন্ত্রিসত্তম সুমন্ত্রকে আহবান করিয়া কহিলেন, “কল্য প্রাতে রামকে যৌবরাজ্যে অভিষেক করিব ; অতএব গুরুদেব যাহা যাহা আদেশ করেন, তৎসমস্তই শীঘ্র সম্পাদন কর।” সুমন্ত্র অতিশয়হর্ষভরে “যে আজ্ঞা’ বলিয়। বসিষ্ঠদেবকে জিজ্ঞাসা করিল, “ভগবন! আমি কি করিব আদেশ করুন।” তখন জ্ঞানিশ্রেষ্ঠ মহাতেজ বসিষ্ঠ কহিলেন,—আগামীকল্য প্রভাতে যেন স্বর্ণালঙ্কারভূষিত ষোলজন কুমারী মধ্যকক্ষে অবস্থান করে, যেন সুবর্ণরত্নাদি দ্বারা অলঙ্কৃত, ঐরাবত-বংশোৎপন্ন চতুর্দস্ত হস্তী আনয়ন করা হয়; তথায় নানাতীর্থজলপূর্ণ সহস্ৰ সহস্ৰ স্বর্ণকুন্তু রাখিতে হইবে ; নয়খান বা তিনখান ব্যাঘ্রচর্ম্ম, আনয়ন করিতে হইবে; রত্ব দগুসম্পন্ন মণি-মৌক্তিকবিরাজিত শ্বেতচ্ছত্র, দিব্যমাল্য, দিব্যবস্ত্র এবং দিব্য-আভরণ সকল তথায় রাখতে হইবে। যেন মুনিগণ সন্মানিত হইয়৷ কুশহস্তে তথায় অবস্থান করেন ; নর্ত্তকী, বারাঙ্গনী, গায়ক, বেণুবাদক এবং নানা-বাদ্য-বিশারদ ব্যক্তিগণ, রাজভবনের চত্বরে অবস্থিত থাকিয় যেন বাদ্যোদ্যমাদি করিতে থাকে; যেম হস্তী, অশ্ব, রথ, পদাতিগণ, অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বহির্ভাগে অবস্থান করে ; নগর মধ্যে যে সকল দেবমন্দির আছে, নানাবিধ উপহারে তথায় পূজা দেওয় হউক ; অধীনস্থ রাজগণ, ধিবিধ উপঢৌকন লইয় যেন সত্বর আগমন করেন।” শ্রীমান্‌ মুনি রাজমন্ত্রী সুমন্ত্রকে এইরূপ আদেশ করিয়া স্বয়ং রুথারোহণে অতি রমণীয় রামভবনে গমন করিলেন ; অনন্তর বর হাসিতে হাসিতে কহিলেন ;—“তোমার চরণজল ধারণ করিয়া পার্ব্বতীপতি ধন্য হইয়াছেন, তোমার শ্রীচরণসস্তুত তীর্থে আমার পিত৷ ব্রহ্মারও অশুভরাশি বিনষ্ট হইয়াছে ; এখন যাহা ভূমি বলিতেছ তাহ গুরুর প্রতি এইরূপ ব্যবহার করা উচিত" ইহা লোকদিগকে শিক্ষা দিবার জন্ত ; আমি জানি বটে, তুমি লক্ষ্মীর সহিত অবতীর্ণ পরমাত্মা ঈশ্বর। হে রাঘব ! আমি জানি বটে, তুমি দেবগণের কার্য্যসিদ্ধি ও ভক্তগণের ভক্তিসিদ্ধির জন্য রাবণবধ উদ্দেশে আবিভূত হইয়াছ, তথাপি দেবকার্য্যের জন্ম সে সকল গুহ কথা উদ্‌ঘাটন করিব না। হে রন্ধু নন্দন! মায়াবলে তুমি যেরূপ ব্যবহার করিতেছ; আমিও তদনুসারে “তুমি শিষ্য আমি গুরু" এই ভাবে ব্যবহার করিব। হে দেব ! তুমি গুরুসকলের গুরু ; তুমি পিতৃগণের পিতামহ ; তুমি অন্তর্য্যামী ; লোক-যাত্রার নির্বাহক এবং বাক্য ও মনের অগোচর । তোমার স্বীয় ইচ্ছানুসারে উদ্ভূত শুদ্ধসত্ত্বময় শরীরধারণ করিয়া যোগমায়া-বলে ইহ-জগতে মনুষ্যের স্কায় প্রতীয়মান হইতেছ। জুমি জানি, পৌরোহিত্য-কার্য্য নিন্দনীয় এবং জীবিকা- অসংষ্টপায়; সাক্ষাৎ পরমাত্মা ইক্ষাকু কুলে রাম রূপে অবতীর্ণ হইবেন, বহুদিন হইল ব্রহ্ম এই কথা বলিয়াছিলেন ; এইরূপে আমি পুর্ব্ব হইতেই এই বিবরণ অবগত আছি। রাম! তোমার গুরু হইতে পারিব এই সম্বন্ধ আশা করিয়াই পৌরোহিত্য-কার্য্য গৰ্হিত হইলেও তাছা আমি স্বীকার করিয়াছি। হে রন্ধু নন্দন । আজ আমার সেই মনোরথ সফল হইয়াছে । একমাত্র যিনিই সকল লোককে মোহিত করেন, সেই মহামায়া তোমার অধীন ; অতএব হে রঘুবর ! তিনি যাহাতে আমাকে মোহিত না করেন, তোমাকে মুলিবর ভগবানূ বসিষ্ঠ, তিলকক্ষ অতিক্রম করিয়া ! অহা করিতে হইবে । মুদি গুরুর প্রত্যুপকার