পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ՀՆ ত্রিলোক-কণ্টক অসুঞ্জ হিরণ্যকশিপুকে নখর-নিকরদ্বারা বিদীর্ণ কীিয়ছিলেন, পুর্ব্বকালে অদিল্লি, পুত্রের রাজ্য অপসৃত হইয়াছে দেখিয় যেরূপ প্রার্থন করেন, তদনুসারে বামন-শরীর ধারণ পূর্বক যুক্তি করিয়৷ সেই রাজ্য পুনঃ প্রত্যাহরণ করিয়াছেন ; দুষ্ট-ক্ষত্রিয়গণ সস্তৃত ভূভার হরণ করিবার জন্ত ভৃগুবংশে উৎপন্ন হন ; সেই জগদীশ্বরই এখন রামরূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন। রাবণপ্রভৃতি কোটি কোটি রাক্ষসগণকে নিহত করিবেন, সেই দুরাত্মার মনুষ্য-হুস্তে মৃত্যু নিৰ্দ্ধা রিত ; বিষ্ণু যাহাতে পুত্র হন এই কামনা করিয়া রাজা দশরথও তপস্যা দ্বারা হরি আরাধনা করেন, তাই হরি তাহার পুত্ররূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন ; রাম রূপে অবতীর্ণ সেই কমললোচন বিষ্ণুই রাবণ প্রভৃতি রাক্ষস বধের জন্য লক্ষ্মণের সহিত অদ্যই বনগমন করিবেন ; এই সীতা, স্বষ্টি-স্থিতি-সংহারকারিণী বিষ্ণু-মায়া। এই ঐরামের বনবাসে, রাজা বা কৈকেয়ী সামান্ত কারণও নহেন। পূর্ব্বদিন, নারদ, ভূভার-হরণের জন্য বলিতে আসিয়াছিলেন ; স্বয়ং রামও তাহার সাক্ষাতে বলিয়াছেন ; “আমি আগামী কল্য বনগমন করিব,” অতএব হে অনভিজ্ঞগণ । রামের জন্য চিন্তা করিও না। যে সকল মনুষ্য ভূতলে নিরস্তর রোম রাম” বলিয়া জপ করে, তাহাদিগেরও কদাচ মৃত্যুভয়াদি হয় না;—সুতরাং সেই পরমাত্মা রামের দুঃখ শঙ্ক। কি? কলিতে কেবল রামনাম দ্বারাই মুক্তি হয়, অন্ত কিছুদ্ধারা হয় না। রাম লোক শিক্ষার্থ মায় মনুষ্যরূপে লোক-ব্যবহারের অনুকরণ করিতেছেন। ইনি ভক্তদিগের ভজনাসিদ্ধি, রাবণ বধ এবং ইষ্টসিদ্ধির জন্য মনুষ্য দেহ ধারণ করিয়াছেন।" মহামুনি বামদেব এই বলিয়া বিরত হইলেন। সেইসকল দ্বিজগণ, এই কথা শুনিয়া ঐরামকে সাক্ষাৎ প্রভু বিষ্ণু বলিয়া অবগত হইল ; মনের সন্দেহ পরিত্যাগ করিয়া রামকেই চিন্তা করতে লাগিল। “যে ব্যক্তি मिउ ७ऐ ब्राम-नौउो द्रश्छ फ्रेिष्ठ कब्रिाद, তাহার তত্ত্বজ্ঞান-মুলক ঐরামের প্রতি দৃঢ়ভক্তি হইবে। তোমরা ঐরামের প্রিয় ; এই সকল রহস্য, সাধারণ্যে প্রকাখ করিও না;" এই বলিয়া ব্রাহ্মণ বামদেব চলিয়া গেলেন,তাহারাও রামকে ঈশ্বর বলিয়া অবগত হইল। অনন্তর রাম, অনুজ ও সীতার সহিত অবর্তি ভাবে পিতৃগৃহে প্রবেশপূর্বক নিকটে রামবিরহে ইহার পর কিছুতেই বহুকাল আর আমাকে গিয়া কৈকেয়ীকে এই বলিলেন;–“ম আমরা তিন । জনে তোমার অভিলষিত বন গমনে কৃত-নিশ্চয় অধ্যাত্ম-রামায়ণ হই আসিয়ছি ; পিতা আমাদিগকে সত্বর অনুমতি করুনৃ” ! রাম এই কথা বলিলে কৈকেয়ী আপনি তৎক্ষণাৎ উঠিয়, রাম, লক্ষ্মণ ও সীতাকে পৃথক পৃথকৃ চারখণ্ড প্রদান করিল। রাম বস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া বনবাসোপযোগী চরখণ্ড পরিধান করিলেন ; লক্ষণও তাহা করিলেন ; সীতা তাহা পরিধান করিতে জানিতেন না, সুতরাং ঐ চরখণ্ড হাতে করিয়া সলজ্জভাবে রামের মুখের দিকে চাহিলেন ;–রম সেই চীর গ্রহণ করিয়া সীতার বস্ত্রোপরিবেষ্টন করিয়া দিলেন । তদর্শনে সকল রাজ-পত্নীগণ চারিদিকৃ হইতে রোদন করিয়া উঠিল । বসিষ্ঠ, সেই রোদন-ধ্বনি শুনিয়া ক্রোধে ভং সনা করত কৈকেয়ীকে কহিলেন ; “রে দুবৃত্তে ! তুই কেবল রামের বনবাসই বর লইয়াছিস ; দুষ্টে ! সীতাকে বনবাসোপযোগী চর-খণ্ড দিলি কেন ? তবে পতিব্রত সীতা ভক্তিবশতঃ যদি রামের অনুগামিনী হন । সে কথায় তোর কাজ কি ? উনি নিরস্তর দিব্য-বস্ত্র ও দিব্য-অলঙ্কারে ভূষিত হইয়৷ রামের বনবাস-দুঃখ নিবারণ করত সকল সময়েই আনন্দ-দায়িনী হইবেন । রাজা দশরথও সুমন্ত্রকে বলিলেন; রথ আনয়ন কর ; মুনি-প্রিয়গণ ! রথে আরোহণ করিয়া বনগমন করুকূ’ এই বলিয়া তিনি রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের দিকে দৃষ্টিপাত করিবামাত্র দুঃখাবেগে ভূতলে পতিত হইলেন এবং অশ্রধারাসিক্ত হইয়ারোদন করিতে লাগিলেন। সীতা রাম সমক্ষে শীঘ্র রথে আরোহণ করিলেন। রাম পিতাকে প্রদক্ষিণ করিয়া রথে আরূঢ় হইলেন ; আর লক্ষ্মণ* দুইখানি খড়গ, দুইটি ধনু এবং দুইটা তৃণীর লইয়া রথে আরোহণপূর্বক সারথিকে রথ চালাইতে আদেশ করিলেন ;—তখন রাজা দশরথ বলিতে লাগিলেন;–“সুমন্ত্র ! থাক;—থাক।” রাম —“চল চল’ বলিয়া ত্বর দিতে লাগিলে সুমন্ত্র, রথ চালনা করিল। রাম দূরবর্তী হইলে রাজা মুছিত হইয়া ভূতলে পতিত হইলেন। পুরবাসী বালবৃদ্ধগণ এবং জ্ঞানী ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ঠগণ, “রাম হে! যাইও না ; থাক”, এই বলিয়া চীৎকার করত রাম রথের অনুগমন করতে লাগিল। রাজা দশরথ অনেকক্ষণ রোদন করিয়া পরিচারকদিগকে বলিলেন ; আমাকে রামজননী কৌসল্যার গৃহে লইয়া চল; দুঃখ-মগ্ন আমি সেইখানে থাকিলে কিছুক্ষণ বঁচিতে পারিব। কিন্তু वैदिङ श्रेष्द न ! श्रमस्त्रद्र ब्राछा (कोमला-श्रृंरश्। প্রবেশ করিবামাত্র মূৰ্ছিত হুইয়া পতিত হইলেন।