পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و لكنه আপনার কৃত-কার্য্য-বশেই আপনি—সামান্য মুহৎ, বিশেষ মুহুং,শত্রু, উদাসীন, দ্বেষের পাত্র, মধ্যস্থ এবং আর্মীয় রূপে প্রতীত হয়; সেইরূপ আত্মকুত স্কর্ম্মফলেই —মুখী দুঃখী বলিয়া প্রতিভাত হইয়া থাকে । নিজ-কর্ম্মের অধীন মানব, সুখই হউক আর দুঃখই হউক, যখন যাহা উপস্থিত হইবে, তখন তাহা ভোগ করিয়াই সুস্থচিত্তে থাকিবে। সংসারে যে ব্যক্তি ভোগের অধীন নহে, সে “আমার ভোগ লাভে অভিলাষ নাই ; আমার ভোগত্যাগেও মাকাঙ্ক্ষ নাই; ভোগ উপস্থিত হয় হউক, না হয় না হউক" এইরূপ মনে করে। যে দেশে যে কালে বা যে কারণেই হউক না কেন,—যে কেহ শুভাশুভ কার্য্য করবে, তাহাকেই তাহার ফল ভোগ করিতে হইবে ; ইহার অন্যথা নাই। শুভ-অশুভফলোদয়ে হৰ্ষ-বিষাদ করা নিম্প্রয়োজন ; বিধাতা যাহা বিধান করিয়াছেন, তাহ মুরাসুরগণের অলজ্য। মনুষ্য সর্ব্বদাই হয় সুখ-না হয় দুঃখে আক্রান্ত হইতেছে ; সুখ-দুঃখময় শরীরই পুণ্য-পাপ ফলে উৎপন্ন ; মুখের পর দুঃখ ; দুঃখের পর মুখ ; দিন ও রাত্রির ম্ভায় প্রাণীগণের পক্ষে এই দুইটাই অনতিক্রমণীয় । সুখের মধ্যে দুঃখ আছে ; দুঃখের মধ্যে ও মুখ আছে ; তরল পঙ্কের ন্যায় ঐ দুইটাই পরস্পর সংশ্লিষ্ট বলিয়া কথিত । অতএব বিদ্বদগণ, “সকলই মায়া" এইরূপ চিন্তা করিয়া ধীরতা বশতঃ ইষ্ট-লাভ বা অনিষ্ট-লাভে হ'ষ্ট বা বিষন্ন হন না । গুহ ও লক্ষ্মণের এইরূপ কথোপকথন হইতে হইতে আকাশ নির্ম্মল হুইল ; রাম, সমাহিত হইয়া প্রাতঃকৃত্য করিলেন ; অনস্তর বলিলেন ;—“সখে! यामाब छछ औञ्च श्लू cनोक ज्ञानप्लन कब्र । নিষাদ-রাজ গুহ রামের কথা শুনিয়া আপনিই সুলক্ষণ-সম্পন্ন দৃঢ় নৌকা আনয়ন করিল ; এবং বলিল ;–“স্বামিন সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত নৌকা আরোহণ কর ; আমিই জ্ঞাতিগণের সহিত সমাহিত ভাবে নৌকা চালাইতেছি ; অচ্যুত রাঘব, "আচ্ছা বলিয়া শুভ-লক্ষণ সীত"আরোহণ করাইয়া গুহের হস্ত অবলম্বনপুর্ব্বক স্বয়ং আরোহণ করিলেন, অস্ত্র শস্ত্রাদি তাহাতে তুলিয়া লক্ষ্মণও আরোহণ করিলেন । জ্ঞাতি-সহিত স্বয়ং গুহ র্ত{হাদিগকে পার করিতে লাগিলেন ; জানকী মধ্য গঙ্গায় উপস্থিত হইয়া গঙ্গার নিকট প্রার্থনা করি লেন;–“হে দেবি। গঙ্গে ! তোমাকে নমস্কার; আমি রাম ও লক্ষ্মণের সহিত বনবাস হইতে প্রতিনিষ্ঠু ও খইয়। মু ও মাংস উপহার এবং অন্যান্স অধ্যাক্স-রামায়ণ নানাবিধ উপহার দ্বার সমাদরে তোমাকে পূজা দিব” বলিতে বলিতে তাহার ক্রমে গঙ্গা পার হইয়া পর তীরে উঠিয়া গমন করিতে লাগিলেন ; গুহুও রাঘবকে বলিল ; “হে রাজেন্দ্র । অনুমতি কর আমি তোমার সহিত গমন করিব ; নচেৎ আমি প্রাণত্যাগ করি।” নিষাদের কথা শুনিয়া শ্রীরাম তাহাকে বলিলেন —“চতুর্দশ বৎসর দণ্ডকারণ্যে থাকিয়া আমি পুনরায় এখানে আসিতেছি ; যাহা বলিলাম তাহা সত্য ; রামের কথা মিথ্যা হয় না" এই বলিয়া সেই ভক্ত গুহকে আলিঙ্গন এবং পুনঃ পুনঃ আশ্বাসিত করিয়া নিবৃত্ত করিলেন। গুহও কষ্ট্রে গৃহে গমন করিল। এদিকে তথায় পবিত্র-পশু-বধ, তদীয়-মাংস-পাক ও তত্ত্বারা হোম করিয়া সেই হুতাবশিষ্ট মাংস, তাহারা তিন জনে ভোজন করিলেন ; এবং পর্ণ শয্যায় শয়ন করিয়৷ সেই রজনী মুখে অতিবাহিত করিলেন । অনস্তর রাম, বৈদেহী ও লক্ষ্মণের সহিত ভরদ্বাজ-আশ্রম সমীপে গিয়া বহির্দেশে দণ্ডায়মান হইলেন। তথায় একজন ছাত্রবটুকে দেখিয়া রাম বলিলেন —“হে বটু ! মুনি সমীপে গিয়া বল ; দশরথ-নন্দন রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত তপোবনের বহির্দেশে উপস্থিত।" বটু তাহ শুনিয়া তৎক্ষণাৎ গিয়া মুনিবর ভরদ্বাজের চরণতলে পতিত হইল এবং বলিল, “প্রভো! শ্রীমানূ রাম, পত্নী ও অনুজ সমভিব্যাহারে আসিয়া তপোবনের বহির্ভাগে অবস্থিতি করিতেছেন ; এই কথা যথোচিতভাবে মুনিবর ভরদ্বাজের নিকট নিবেদন কর,” সেই দেবতুল্য ব্যক্তি ইহা আমাকে বলিলেন।” মুনিবর ভরদ্বাজ তাহা শুনিবামাত্র তৎক্ষণাৎ গাত্রোখান করিয়া অৰ্ঘ্য ও পাদ্য গ্রহণপূর্বক রামসমীপে গমন করিলেন। রাম-লক্ষ্মণ-দর্শন ও যথাবিধি তাহাদিগের পূজা করিয়া বলিলেন;–“হে কমলোচন রাম ! আমার পর্ণকুটীরে আগমন কর; হে রঘুনন্দন! পদধূলি দানে তাহ পবিত্র কর,” এই বলিয়া সাঁতার সহিত সেই দুইজন রঘুবংশীয়কে পর্ণকুটীরে আনয়ন করিলেন এবং ভক্তি সহকারে পুনরায় পুজা করিয়া উত্তম আতিথ্য সম্পাদন করিলেন ; এবং বলিতে লাগিলেন ;—“রাম ! তোমার সমাগমে আজ আমি তপস্তার পার গমন করিলাম ; আমি তোমার ভূত ভবিষ্যৎ বৃত্তান্ত অবগত আছি। আমি জানি, তুমি পরমাত্মা ; মায়াযোগে কৃত্রিম মনুষ্য হইয়াছ ; পুর-কৃত ব্রহ্ম-প্রার্থনানুসারে ষে জন্য তুমি অবতীর্ণ হইয়াছ ; ষে জন্য তোমার বনবাস এবং ভবিষ্যতে