পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কাণ্ড । 89. শোণিত-ধারার সহিত ভূতলে পতিত হইল। বিরাধের পুনর্ব্বার বিদ্যাধরত্ব-প্রাপ্তি পাঠ করে, অনস্তর, সীতা রঘুবরকে আলিঙ্গন করিয়া প্রশংসা সে নিখিল অভীষ্ট প্রাপ্ত হইয়া অন্তে রাম সাযুজ্য করিতে লাগিলেন। দেবলোকে স্বরগণ বাতি লাভ করে। । দুলুক্তি সকল শক্তি হইল। অপরাগণ আনন্দিত - প্রথম অধ্যায় সমাপ্ত । । হইয়া নৃত্য করতে লাগিল। গন্ধর্ব্ব ও কিন্নরগণ গান ৷ করিতে লাগিল। গগনমণ্ডলে দ্বিতীয় রবির ন্যায় । ** বিরাজমান, নির্ম্মল বসন ও তপ্ত সুবর্ণের চারু অল. } দ্বিতীয় অধ্যায় । স্কারে সজ্জিত, বিরাধ-শরীর নিঃস্থত, অতি সুদরা ; বিরাধ স্বর্গে গমন করিলে রাম, লক্ষ্মণ ও সীতার কৃতি এক পুরুষ র্তাহাদিগের সম্মুখে দৃষ্টিগোচর ; সহিত নিখিল মুখাবহ শরভঙ্গ ঋষির তপোবনে iS BB BB BBBB BBBB u DDDBB DDD uD ব্যথা-মোচন, সংসার-প্রবাবের শাস্তিদাতা, দয়ালু ও সীতার সহিত রামকে আগত দেখিয়া সসম্বমে রামকে বহুবার প্রণাম করিয়া সেই শরণাগতগণের : গায়োখান করিলেন। শত্রুভঙ্গ তাহাদিগের নিকটে নিখিল ক্লেশহর রামচন্দ্রকে পুনরায় প্রণাম করিল উপস্থিত হইয়৷ উত্তমরূপে অৰ্চনা করিয়া তাইসেই বিরাধ-শরীর নিঃস্থত পুরুষ বলিল, “হে কমল- দিগকে আসনে বসাইলেন ; এবং কন্দ-মুল-ফল দল-বিশাল-লোচন শ্রীরাম! আমি বিমল প্রকাশ : প্রভৃতি দ্বারা আস্তিথা করিলেন। অনস্তর শরভঙ্গ বিদ্যাধর। আমি পূর্ব্বকালে মুর্ত্তিমান অকারণ-ক্রোধ ভক্তপরায়ণ রামকে প্রতি সহকারে বলিলেন, আমি দুর্ব্বাস ঋষির নিকট অভিসম্পাত প্রাপ্ত হই। আজ ; তপস্যায় কৃত-সঙ্কল্প হইয়। রাম হে! তোমার সঙ্গআপনি তাহা হইতে আমাকে মোচন করিলেন। শনাভিলাষে বহুকাল এই খানেই আছি। তুমি ইহার পর সংসার শাস্তির জন্য আপনার শ্রীচরণকমল ; পরমেশ্বর। আমার তপস্যা-সঞ্চিত যে বহুতর সর্ব্বদা যেন আমার স্মরণ-পথে থাকে। আমার | পুণ্য আছে, আমি তৎসমস্ত আজ তোমাকে কথা কেবল যেন আপনার নাম সংকীর্ত্তন করে ; ; অপর্ণ করিতেছি। অনন্তর মুক্তিলাভ করিব। আমার কর্ণযুগল যেন আপনার অমৃত-কথা শ্রবণ | যোগী শরভঙ্গ বৈরাগ্যযুক্ত হইয়া উত্তম ধর্মের করে, করযুগল যেন আপনার ঐপাদপদ্মের श्रफ़2 ।। মহাফল শ্রীরামচত্রে সমপর্ণ পূর্বক সীতা-সহচর নাতেই নিযুক্ত থাকে, মস্তক যেন আপনার পদযুগলে অপ্রমেয় রামকে প্রণাম করিয়া তৎক্ষণাং চিতারোহণ প্রণাম করিতে নিরত থাকে; এবং আমার সকল করলেন। তখন শরভঙ্গ সর্ব্বান্তর্ধার্ম দুর্ম্মাদল অবয়বই যেন নিরস্তর ভবদীয় সেবাতেই তৎপর গ্রাম, চরবসনধারী, সুন্দর-জটাকলাপযুক্ত কমল থাকে। তুমি বিশুদ্ধ জ্ঞানমূর্ত্তি ভগবানৃ; তুমি রাম, লোচন রামকে সীতা ও লক্ষণের সহিত ধ্যান মাস্ত্রীরাম, সীতারাম, বিধাতা; রাম তোমাকে করিতে লাগিলেন ; এবং বলিতে লাগিলেন, আহে । নমস্কার। রাম হে! আমি শরণাগত, আমাকে রক্ষা | এই জগতে রঘুনাথ ভিন্ন, স্মরণ মাত্রে কামধেনুর কর। হে রঘুশ্রেষ্ঠ ! তোমার নিকট অনুমতি পাইলে ; মায় সকল মনোরথ পুরক দয়ালু আর কে আছে ? আমি দেবলোকে গমন করি তোমার মায়া যেন ; আমি নিত্যই একাগ্রচিত্তে ইষ্ঠাকে স্মরণ করিয়াছি। আমাকে আর আবরণ না করে। মহামতি রঘুনন্দন ; আমার সেই স্মরণ জানিতে পারিয়া আপন হইতেই তৎকর্তৃক এইরূপে নিবেদিত হইয়া প্রতিপূর্বক ; রামচন্দ্র আমার নিকট উপস্থিত হইয়াছেন। এখন সেই বিরাধকে তখন বরদান করিলেন –হে বিদ্যা- দেবেশ্বর দাশরথি রাম দেখুন, আমি নিজ শরীর ধর! যাও, আমার দর্শনমাত্রেই তুমি নিখিল ; দাহ করিয়া নির্ম্মল-ভাবে ব্রহ্ম লোকে গমন করি। BBBB BBB BBBBB BB BBBS BB BB BBBS BBBBSBu BBBB BBS তুমি প্রধান জ্ঞানবান হইয়া মুক্তিলাভ করবে। সীতা অবস্থিত, সেই অযোধ্যাধিপতি রাখব আমার জগতে আমার প্রতি ভক্তি বড়ই ড। যদি হয়ে সর্ব্বদা বাস করুন। এইরূপে শরভঙ্গ । কোনরূপে ভক্তি জয়, তাহা হইলে তাহা ; রামকে অনেকক্ষণ ধ্যান করিয়া এবং সম্মুখে মুক্তিদান করবেই। অতএব ভুমি যখন ভক্তি | অবস্থিত স্তাহাকে অবলোকন করিয়া তৎক্ষণাৎ সম্পন্ন হইয়াছ, তখন আমার অনুমতিক্রমে মোক্ষ, অগ্নি প্রজালন-পূর্ব্বক পঞ্চভূতময় দেহ দাহ করিয়া লাভ কর। যে মনুষ্য এই রামকৃত ঘোরতর রূক্ষয় ফেললেন। তাহাড়ে তিনি দিবদেহ ধারণ পূর্ব্বক বধ, বিরাধের শাপমোচন এইরূপ বরদান এবং সাক্ষাৎ লোকনাথ ধামে গমন করিলেন। অনস্তর