পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 অধ্যাত্ম-রামায়ণ । দণ্ডকারণ্য-বাসী সকল মুনি রামকে দেখিবার জন্য , চরণযুগল, সংসারসাগর পারের বিশুদ্ধ তত্ত্বণি ; শরভঙ্গ ঋষির আশ্রমে আগমন করিলেন। মায়া- আমি তোমার মন্ত্রজপনিরত এবং চির দিন মানুষরূপী সাতারাম-লক্ষণ সেই মুনিসমূহকে তোমার দাসামুদাস ; তুমি সর্ব্বলোকের অগোDDDDD DDt i DDBB BBB D DBBB BDD DDBBB DiY করিলেন। তখন তাহারা সকলে সর্ব্বাস্তুর্যামী । গৃহিণী-তনয়-সঙ্গ.রূপ অন্ধকূপে নিমগ্ন এবং রামকে আশীর্ব্বাদ দ্বারা অভিনন্দিত করিয়া সেই ! মলময় পচাগলা এই শরীরের প্রতি মোহপাশে ধনুর্ব্বাণধারী হরিকে কৃতাঞ্জলিপুটে বললেন;– বিজড়িতচিন্তু অবলোকন করিয়া আপনা হইতেই আপনি ভূভারহরণের জন্য ব্রহ্মা-কর্তৃক আসিয়া উপস্থিত হইয়াছ। তুমি সর্ব্বভূতের অস্তপ্রাধিত হইয় অবতীর্ণ হইলেন। আমরা অবগত । র্যামী ; যাহার তোমার মন্ত্রজপে বিমুখ, তুমি তাহt. আছি, আপনি সাক্ষাং নারায়ণ, জানকী লক্ষ্মী, দিগের প্রতি মায়া বিস্তার কর ; আর যাহার লক্ষ্মণ অনন্তের অংশ, ভরত ও শত্রুঘ্ন শস্থ এবং তোমার মন্ত্র সাধনে তথ্য মায় তাহাদিগকে পরি. চক্র ; অতএব প্রথমেই ঋষিগণের দুঃখমোচন করা ত্যাগ করে ; অতএব তুমি রাজার ন্যায়ু সেবানুরূপ আপনার উচিত | হে রঘূর্বর! আমুন,ক্রমে ক্রমে মুনিগণ-সেবিত সকল অরণ্য অবলোকন করিবার | জন্য সুমিত্রাতনয় এবং জনকনন্দিনীর সহিত গমন | করি। তাহ হইলে আমাদিগের প্রতি প্রগাঢ় করুণা ৷ প্রকাশ হুইবে । মুনিগণ কৃতাঞ্জলিপুটে বিভু শ্রীরামের । নিকটে এই কথা নিবেদন করিলে তিনি তাহাদিগের । সহিত, মুনি-সেবিত বনস্থল দেখিবার জন্য গমন । করিলেন। শ্রীরাম তথায় সকল স্থানে অস্থি-মাত্রাব । শিষ্ট বহুতর মস্তক নিপতিত রহিয়াছে দেখিতে । পাইলেন। অনস্তর তিনি এই কথা বললেন ; এই | সকল অস্থি কাহাদিগের ? এবং কেনই বা এখানে | নিপতিত রহিয়াছে; মুনিগণ র্তাহাকে বলিলেন, হে | রাম। এই সকল অস্থি রাক্ষস-ভক্ষিত ঋষিগণের । মস্তক; হে ঈশ্বর । রাক্ষসগণ, অসমাহিত ঋষিগণের । অপবিত্রতা অনুসন্ধান করত বিচরণ করে। রাম, । মুনিগণের সেই ভীত ও কাতরতাব্যঞ্জক বাক্য । শুনিয়া নিখিল স্বাক্ষস বধের জন্য প্রতিজ্ঞ । করিলেন। তথায় বনবাসী মুনিগণ সর্ব্বদা তাহার । পুঞ্জ করিতে লাগিলেন। রঘুনন্দন রাম, জানকী । ও লক্ষ্মণ সমভিব্যাহারে কতিপয় বৎসর তথায় বাস । করিলেন। প্রভু, এইরূপে ক্রমে ক্রমে ঋষিগণের । আশ্রম সকল পরিদর্শন করত মুতীর্ঘ ঋষির সুপ্রসিদ্ধ । আশ্রমে গমন করিলেন ; ঐ ঋষিসম্বুল আশ্রম সকল ঋতু গুণসম্পন্ন বলিয়া সকল কালেই মুখকর ছিল। অগস্ত্য-শিষ্য রামমন্তোপাসক সুতীক্ষ্ণ, রাম । আগত হইয়াছেন শুনিয়া সত্বর তথায় উপস্থিত হইলেন এবং ভক্তিবশে বার বার দেখিতে উৎসুক | হইয়া যথাবিধি তাহার পূজা করিলেন; অনন্তর, ফল দান করিয়া থাক। একমাত্র তুমিই জগতের স্বাক্ট স্থিতি সংহারের হেতু ; হে ঈশ্বর ! যেমন, নানাজল পাত্রে প্রতিবিম্বিত সুর্য্য অনেক বলিয়া প্রতিভাত হইয়া থাকে, মূঢ়ব্যক্তিগণের নিকট ত্রিগুণময়ী মায়া-যোগে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর—এইরূপ বিবিধ আকারে প্রতীয়মান হও। হে রাম! তুমি তমঃপারে অবস্থিত ; তোমার চরণারবিন্দ দর্শন করিতেছি, অতএব তুমি অসদৃব্যক্তির দৃষ্টিপথের অগোচর হইলেও তন্ময় জপদ্বারা যাহাদিগের হৃদয় পবিত্র হইয়াছে, তাহাদিগের প্রতি সর্ব্বদ প্রসন্ন আছ। হে পরমাত্মন্‌ ! আমি বিশেষরূপে অবগত আছি যে, ভূমি রূপাদিরহিত, কিন্তু অদ্য তামার ধনুর্ব্বাণধারী অজিনাস্বরশোভিত সহান্ত বদন এবং কোটিকন্দৰ্প কমনীয়-রূপ-সম্পন্ন নীলোৎ, পলদলগ্রভ এবং অনন্ত-গু? দয়াদ্র মূর্ত্তি লক্ষণসেবিত পাদপদ্মযুগল এবং সঙ্গে সীতাদেবীকে অবলোকন করিতেছি, অতএব আমার ভাগ্যলব্ধ রামশরীরকে বার বার প্রণাম করি | হে পরমাত্মন! অদ্য যোগিরা তোমাকে বায়ুনোতীত শুদ্ধ চৈতন্যস্বরূপ এবং দেশকালাদিদ্বারা অপরিছিন্ন বোধ করিয়া তাহাতেই প্রীতিলাভ করুন, কিন্তু আমার তাহতে প্রতি নাই—কেবল দৃশ্যমান তোমার এই রামরূপ আমার হৃদয়ে সর্ব্বদা বিরাজিত হউক। প্রভু হে! আমি এতদ্ভিন্ন আপনার নিকট কিছুই জাকাজ করি না।” মহর্ষি এই প্রকার স্তব করিলে ঐরামচন্দ্র ঈষৎ হাস্যপূর্ব্বক্ষ কহিলেন, হে মুনে ! মৰ্তৃপাসনা দ্বারা তোমার, চিত্ত শুদ্ধি হইয়াছে জানিয়া আমি তোমার দর্শনার্থ এস্থানে আসিয়াছি, কহিলেন -"হে পরম মুদয়-সীতাপতি রাম! হে । অনন্তগুণ। হে অপ্রমেয় ব্রহ্ম ও মহেশ্বর তোমার । ঐচরণ আশ্রয় করিয়া রহিয়াছেন এবং তোমার । মস্ত্রোপাসনা আমার প্রতি ভক্তি বিন জগতে অন্ত সাধন নাই, যাহারা নিরপেক্ষ হইয়া আমার করে এবং আমারই শরণাগত