পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কাণ্ড 8(t হইয়া অন্য মূর্ত্তি উপাসনা না করে—আমি অগস্ত্য কহিলেন,-তোমার মঙ্গল হউক— সতত তাহাদিগের নয়নগোচর থাকি, যে ব্যক্তি ; যাহার দর্শনাভিলাষে ধ্যানাবলম্বন করিয়া এখানে আমার প্রতিজনক তোমার কৃতস্তব সর্ব্বদা পাঠ ! বাস কুরিতেছি; এক্ষণে আমার ছায়াধিষ্ঠিত করিবে, সেই ব্যক্তির আমাতে স্থায়িভক্তি এবং সেই শ্রীরামচন্দ্রকে এই স্থানে আনয়ন কর, এই নির্ম্মল জ্ঞানলাভ হইবে। হে মুনে ! তুমি আমার | বলিয়া অগস্ত্য ব্যগ্রতাবশতঃ স্বয়ং ঋষিগণের উপাসনা দ্বারা সর্ব্বতোভাবে বিমুক্ত হইয়াছ, সহিত ঐরাম সমীপে পরম ভক্তিসহকারে উপদেহাস্তে নিশ্চয় আমার সাযুজ্য লাভ করবে, যাহা ! স্থিত হইলেন, অনন্তর শ্রীরামকে কহিলেন, হে হউক তোমার গুরু মুনিশ্রেষ্ঠ অগস্ত্যের দর্শন করিতে ইচ্ছা করি এবং তঁহার নিকটে কিঞ্চিংকাল বাস করিতে আমার মন ব্যগ্র হইয়াছে। সুতীক্ষু “যে আজ্ঞ’ বলিয়া কহিলেন—“রাম্বব ! আগামী দিবসে আপনি সেই স্থানে গমন করিবেন, আমি বহুদিন গুরু দর্শন করি নাই, অতএব আমিও আপনার অনুগমন করিব।” অনস্তর পরদিন প্রভাতকালে অগস্ত্য-দর্শনোংসুক শ্রীরামচন্দ্র, সাঁতা, লক্ষ্মণ ও সুতীক্ষ্ণ সমভিব্যাহারে অগস্ত্যাশ্রমাভিমুখে গমন করিলেন । দ্বিতীয় অধ্যায় সমাপ্ত তৃতীয় অধ্যায় অনন্তর, রাম,—মুতীক্ষ,জানকী ও লক্ষণের সহিত মধ্যাহ্নকালে অগস্ত্যামুজের আশ্রমে উপস্থিত হইলেন। তৎকর্তৃক সম্পূজিত হইয়া তৎপ্রদত্ত । ফল মুলাদি ভোজনপূর্বক সে দিন তথায় অবস্থিতি করিলেন। পরদিন প্রাতঃকালে উঠিয় তাহারা । অগস্ত্য-তপোবনে গমন করিলেন । নন্দনবনোপম ঐ তপোবন, সকল ঋতুর ফলপুষ্পে পরিপূর্ণ, নানাবিধ মৃগগণে আকীর্ণ, বিবিধ বিহগকুলের কলকুজনে প্রতিধ্বনিত। ব্রহ্মধি দেবর্ষিগণের সেবিত, মুনিনিকেতন সকল দ্বারা সর্ব্বত্র অলঙ্কত এবং দ্বিতীয় ব্রহ্মলোক সদৃশ। রাম মৃতীস্ককে বলিলেন – "লক্ষ্মণ এবং আমার আগমন-সস্বাদ অগস্ত্য সমীপে নিবেদন করুন।” সুতীকুমুনি “মহ অনুগ্রহ’ বলিয়া অগস্ত্যাশ্রমে প্রবেশ করিলেন এবং অনতিদূরে অবলোকন করিলেন যে, আসনে৷ রাম! আইস ; অন্য আমি বহুভাগ্যে তোমার সমাগম লাভ করিয়াছি, এক্ষণে চিরভিলষিত অতিথি-সৎকার করিয়া দিন সফল করিব । শ্রীরাম অগস্ত্য ঋষিকে সমাগত দেখিয়া সীতা ও লক্ষাণের সহিত সাষ্ট্রাঙ্গে ভূতলে পতিত হইলেন, মুনিরাজ অগস্ত্য ঐরামকে সত্বর ভূমি হইতে উত্থাপিত করিয়া ভক্তিসহকারে আলিঙ্গন করিলেন এবং তাহার অঙ্গস্পর্শ-জনিত-আনন্দাশ্রীপুর্ণ নয়নে বারংবার দৃষ্টিপাত করতু'নিজ করে ঐরামের কর গ্রহণ করিয়া নিজগৃহে কঁহাদিগকে আনয়ন করিলেন । অনন্তর মহর্ষি শ্রীরামকে আসনোপবেশ করাইয়া বহু বিস্তুত পুজানস্তর যথোচিত ভাবে বহুবিধ বন্য ফলমূলাদি ভোজন করাইলেন এবং সীতালক্ষ্মণকেও সেইরূপ যথাযোগ্য ভোজন করাইয়। ঐরামকে নিজ মস্থানে আনয়নপূর্বক আসন প্রদান করিলেন। পূর্ণচন্দ্র সদৃশ শ্রীরাম আসনোপবেশন কংিলে অগস্ত্যমুনি কৃতাঞ্জলিপুটে উহাকে কহিলেন;–পূর্ব্বে যখন ব্রহ্মা ভূভারহরণ ও রাবণ-বধের জন্ত মীর-সমুদ-তীরে আপনার নিকট প্রার্থনা করিয়াছিলেনৃ—তৎকালাবধি আমি তোমার দর্শনাকাজী হইয়া অনন্তচিত্তে তপস্যা করত এই অরণ্যমধ্যে মুনিগণের সহিত বাস করিতেছি। হে পরমাত্মন! স্বষ্টির পুর্ব্বকালে তোমাতে মায়া রূপ উপাধির সম্বন্ধ না থাকায় এই জগৎ প্রপঞ্চ উৎপন্ন হয় নাই, তৎকালে তুমিই গুণাতীত একমাত্র পদার্থ ছিলে, অন্য পদার্থ কিছুই ছিল না। যখন স্বাক্টকালে তোমার শক্তিরূপ মায়া তোমাকে তাবরণ করে, বেদাস্তিকেয়া “ঐ শক্তিকে তখন তোমার অব্যাকৃত o πη =سکتی ہ 虑 - পবিষ্ট মহৰ্ষি অগস্ত্য ঐরামভক্ত মহর্ষিগণ কর্তৃক বলা নির্দেশ করে। কেহ কেহ তাঁহাকে মূল প্রকৃতি পরিবৃত হইয়া শিষ্যগণকে ঐরাম-মন্ত্র-ব্যাখ্যা উপদেশ করিতেছেন। অনস্তর সুতীক্ষমুনি গুরুসন্নিধানে গমন করিয়া দণ্ডবং প্রণিপাতানস্তর বিনয় বচনে কহিলেন-হে ব্রহ্মমৃ! দাশরথি রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত কৃতাঞ্জলি হইয়া জাপনার দর্শনার্থ বহির্দেশে দণ্ডায়মান আছেন । বলে, কোন কোন পণ্ডিতেরা অবিদ্যা, সংসার ও বন্ধন এইরূপ বিবিধনামে স্তাহাকে নির্দেশ করেন, প্রকৃতি-সন্থত মহত্তৰ হইতে অহঙ্গার উৎপন্ন হয়— ঐ অহঙ্কার সাত্তিক,রাজসওতামস–এই তিন প্রকার বলিয়া কথিত হয়, তামস অহঙ্কার হইতে শক স্পর্শ রূপ রস গন্ধ, এই পাঁচটা হুঙ্গতন্মাত্র উৎপন্ন হয়,