পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ অধাতু-রামায়ণ । রু করিতেছে। উহার গাত্রে চিত্র বিচিত্র বিলুসকল প্রবেশ করিল। দেবগণ এইরূপ ব্যাপার দর্শনে বিরাজ করিতেছে। আপনি ঐ মৃগটা বদ্ধ করিয়া! অতিশয় বিক্ষিত হইলেন। "মুনিহিংসক পাপ কি আমাকে দেন, সুন্দর মৃগের সহিত আমি ক্রীড়া করিব। রামচন্দ্র তাহাই স্বীকার করিয়া ধনুর্ব্বাণ গ্রহণপূর্বক গমনকালে লক্ষ্মণকে কহিলেন ;—“তুমি । কার্য্য করিয়া কি পদ প্রাপ্ত হইল 1 অথবা রামচন্দ্রের মহিমাই এইরূপ ইহাতে সংশয় নাই। মারীচ পুর্ব্বে রামবাণে বিন্ধ হইয়া ভয়ে গৃহ-বিত্তাদি সমস্ত পরি. স্বত্বসহকারে আমার প্রাণপ্রিয় সীতাকে রক্ষা কর, ত্যাগপূর্বক সর্ব্বদা হৃদয়ে রামকে ধ্যান করিতে g | এই কাননে ঘোর-দর্শন মায়াবী রাক্ষসসকল আছে, : এজন্য এস্থানে সাবধান হইয়া অনিন্দিত সাধৰী । সীতাকে রক্ষা কর।’ লক্ষ্মণ কহিলেন ;—“দেব ! যাহা দেখিতেছেন, ইহা মৃগ নহে, মৃগৰূপধারা মারীচ, ইহাতে সন্দেহ নাই ; রত্নবিভূষিত কনকময় মৃগ কোথা হইতে আসিবে ?” ঐরাম কহিলেন;–“এই মৃগ যদি মারচ হয়, তবে নিশ্চয়ই ইহাকে বিনাশ করিব, আর যদি প্রকৃত মৃগ হয়, তবে সীতার ক্রীড়ার নিমিত্ত আনয়ন করিব । আমি সত্বর গমনপূর্বক যুগকে বদ্ধ করিয়া আনয়ন করিব, তুমি সযত্বে সাতারক্ষণে বদ্ধপরিকর হইয়া অবস্থান কর’ রামচন্দ্র ইহা বলিয়া মৃগের অনুসরণ করিলেন। লোক-বিমোহিনী জগৎরুপে পরিণত মায়া যাহার আশ্রয়ে অবস্থান করিতেছেন, সেই নির্ব্বিকার, জ্ঞানময়, পূর্ণরহ্ম হরিণের পশ্চাং গমন করিলেন, ইহাতে “ ভগবান হরি যে ভক্তবৎসল ", এই কথা সপ্রমাণ হইতেছে, যেহেতু ইহা মৃগ নহে মারচ ” জানিয়াও যেন সীতার প্রিয়সাধন জন্যই মূগের পশ্চাৎ ধাবিত হইলেন। তাহ ন হইলে পূর্ণ মনোরথ বিদিত স্বরূপ পরমাত্মা রামচন্দ্রের মৃগে বা স্ত্রীতে কি প্রয়োজন ? h অনস্তর, মায়ামৃগ কখন, রামের নিকট বিচরণ করে, কখন ধাবিত হয়, কখন দৃষ্ট্রিপথের অতীত হয়, কখন বা দূর হইতে লক্ষিত হয়, এই রূপে রামচন্দ্রকে বহু দূৰ্ববর্ত্তী করিল। অনন্তর রামও “এ নিশ্চয় রাক্ষস”, জানিয়া শরগ্রহণ পূর্বক মূগরূপী স্বাক্ষসকে বিদ্ধ করিলেন। তখন মারীচ, মূগরূপ পরিত্যাগ-পূর্বক পূৰ্বরূপ ধারণ করিয়া পতিত হইল। তাহার মুখ হইতে শোণিত নির্গত হইতে লাগিল, অনন্তর মারীচ ক্রামের ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে “হ হতোশ্মি ! , হে মহাবাহে লক্ষ্মণ! আমাকে শীঘ্র রক্ষা কর”, এই কথা বলিয়া প্রাণত্যাগ করিল। অপণ্ডিত ব্যক্তিও মরণ সময় রামনাম স্মরণ কৰিলে রামের সামা-প্রাপ্ত হয়। যারীচ রামচন্দ্রকে দেখিতে দেখিতে তাহার বাণে নিহত হইয় যে সাযুজ্য প্রাপ্ত श्व ईश चांद्र बङटा कि ? चनखद्र मात्रैौकब्र { দেহ হইতে একটী তেজ উত্থিত হইয়া রাম শরীরে করিতে নিষ্পাপ হইয়াছিল, সুতরাং অস্তিমকালে রামকর্তৃক নিহত হইয়া রামরূপ দেখিতে দেখিতে রামের সাম্য প্রাপ্ত হইয়াছে । ব্রাহ্মণ হউক, রাক্ষস । হউক, পাপী হউক, বা ধার্ম্মিক হউক, রামনাম স্মরণপূর্বক শরীর ত্যাগ করিলে অবশুই মুক্তি লাভ করে’ । দেবগণ এইরূপ পরস্পর কথোপথন করিয়া স্বর্গে গমন করিলেন । রাক্ষসাধম মারচ মৃত্যুকালে, “হ লক্ষ্মণ", এই প্রকার আমার বাক্যের অনুকরণ করিল কেন? জানকী আমার স্বর-সদৃশ এই সকরুণস্বর শ্রবণ করিয়া না জানি কতই উদ্বিগ্ন হইবেন” ; রাম এই প্রকার চিন্তা করিতে করিতে প্রতিনিবৃত্ত হইতে লাগিলেন। এদিকে সীতা চুবাত্মা মারীচের সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া ভীতা ও দুঃখিত হইয়া লক্ষ্মণকে কহিলেন;– “হে লক্ষ্মণ । শীঘ্র গমন কর; তোমার ভ্রাতা রাক্ষস কর্তৃক পীড়িত হইয়াছেন, তাহার হা লক্ষ্মণ এই বাক্য শ্রবণ করিতেছ না ?” লক্ষ্মণ কহিলেন ;– “দেবি । উহা কখনই রামের • বাক্য নহে, কোন রাক্ষস মৃত্যুকালে ঐ কথা উচ্চারণ করিয়াছে। যে রাম ক্রুদ্ধ হইলে ক্ষণকালমধ্যে ত্রৈলোক্য বিনাশ করিতে সক্ষম, সেই দেব-পূজিত রামচন্দ্র কাতর বাক্য বলিবেন কেন ?” সীতা লক্ষ্মণের বাক্য শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইলেন, তাহার নয়নযুগল বাপজলে সমাকীর্ণ হইল—কহিলেন, “রে দুর্বুদ্ধে লক্ষ্মণ! তুমি ভ্রাতার বিপং কামনা করিতেছ, তুমি রাম-বিনাশ-অভিলাষী ভরতের প্রেরিত , তুমি ঐরামের বিনাশানস্তর আমাকে গ্রহণ করিবার জন্ম বনে আসিয়াছ ; কিন্তু ইহা নিশ্চয় জানিবে যে, বিপন্ন হইলে কখনই তুমি আমাকে গ্রহণ করিতে পারবে ন—এই দেখ, এখনি আমি প্রাণ পরিত্যাগ করি। তুমি যে র্তাহার ভার্ষ্য হরণে উদ্যত—রাম, ইহা অবগত নহেন। তুমি ইহাও জানিবে যে, আমি রাম-ভিন্ন তোমাকে বা ভরতকে স্পর্শও করিব না"। ইহা কহিয়া তিনি স্বীয় বাহুদ্বয় দ্বার বক্ষপ্তাড়নপূর্ব্বৰ রোদন করিতে লাগিলেন। লক্ষণ ইহা শ্রবণ করিয়া হস্তদ্বারা কর্ণদ্বয় আচ্ছাদনপূর্ব্বক দুঃখিতচিত্তে কহিলেন,—“জেকোপনে!তুমি আমাকে