পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কাণ্ড 6 & এবং নির্ম্মম নিরহস্কার পূর্ণানন্দ স্বরূপ হইয়াও শক্তি নাই, এক্ষণে তোমার অগ্রে প্রাণ পরিত্যাগ “আমার সীতা কোথায় ?” ইহা বলিয়া অতি দুঃখ করি। হে অনঘ! তুমি মায়ামনুষ্যরূপধারী সাক্ষাং সহকারে বিলাপ করিতে লাগিলেন। রঘুনন্দন, পরমাত্মা বিষ্ণু ; বহুভাগ্য-বলে মরণকালে তোমাকে বাস্তবিক আসক্ত না হইলেও মূঢ় ব্যক্তিগণের | দর্শন করিয়া মুক্ত হইলাম। হে রঘুনন্দন ! নিজ নিকট বিষয়াসক্ত বলিয়া প্রতিভাত হন, কিন্তু করকমল দ্বারা আমাকে স্পর্শ কর, তাহা হইলে তত্ত্বজ্ঞগণের নিকট সেইরূপ প্রতীত হন না। অনস্তর তোমার পরম পদ প্রাপ্ত হইব ।” ত্রীরামচন্দ্র জটায়ু ঐরাম লক্ষ্মণের সহিত সমস্ত বন অন্বেষণ করিতে বাক্যে সম্মত হইয়া বিস্ময়-সহকারে হস্ত দ্বারা করিতে দেখিলেন যে, একখানি ভগ্ন রথ, ও একটা তাহার অঙ্গ স্পর্শ করিলেন। জটায়ুও তৎক্ষণাৎ ভগ্ন ছত্র, ও ভয় ধনু পৃথিবীতলে পতিত রহিয়াছে। } প্রাণ পরিত্যাগ করিয়া পরম পদ প্রাপ্ত হইলেন, ঐরাম এইরূপ বিস্ময়কর রণচিহ্ন দর্শন করিয়া ! পাঞ্চভৌতিক দেহমাত্র ভূতলে পতিত রহিল। লক্ষ্মণকে কহিলেন—“ভ্রাতঃ! অবলোকন কর—এই | ত্রীরামচন্দ্র পরমবন্ধুর ন্যায় জটায়ুর জন্য শোকাশ সকল রণ-চিহ্ন দ্বারা নিশ্চয় বোধ হইতেছে যে, । পরিত্যাগ করিয়া লক্ষ্মণ দ্বারা কাষ্ঠ আনয়ন করাইয়া । কোন দুরাত্মা জনকনন্দিনীকে হরণ করিয়া পলায়ন । তাহাকে দগ্ধ করিলেন। অনন্তর লক্ষ্মণের সহিত করিতেছিল, অপর কোন বীর-পুরুষ তাহাকে যুদ্ধ- দুঃখিতাস্তঃকরণে স্নান করিয়া বনমধ্যে বহুতর মুগ ক্ষেত্রে জয় করিয়া সীতাকে গ্রহণ করিয়াছে।" | বধ করিলেন। শ্রীরামচন্দ্র ঐ মৃগমাংস খণ্ড খণ্ড করিয়৷ অনন্তর ঐরাম কিয়দূরে গমন করিয়া এবং পক্ষীন্দ্র | দূর্ব সমাকীর্ণ ভূমিতলে,পৃথক পৃথক নিক্ষেপনস্তর জটায়ুর রুধিরাপ্নত পর্ব্বত-সদৃশ শরীর দর্শনানন্তর | কহিলেন —“পক্ষিগণ এই সকল মাংসখণ্ড ভক্ষণ লক্ষ্মণকে কহিলেন “হে ভ্রাতঃ । দেখ, এই ; করুক, তাহ হইলে পক্ষিরাজ জটায়ু পরিতৃপ্ত হুইদুরাত্মা শুভদৰ্শন জানকীকে ভক্ষণ করিয়া অতি বেন।” অনস্তুর জটায়ুকে সম্বোধন করিয়া কহিতৃপ্তি-সহকারে নির্জনে শয়ন করিতেছে। অত: লেন ;–“হে জটায়ু! সকল লোক অবলোকন করুন, এব এই নিশাচরকে এই দণ্ডেই বিনাশ করিব তুমি অদ্য আমার সারূপ্য প্রাপ্ত হও ।” দিবা-রূপহে লক্ষণ ? শীঘ্র ধনুর্ব্বাণ আনয়ন কর।” জটায়ু ধারা জটায়ু পীতাম্বর পরিধানপূর্বক স্বর্য্যসদৃশ শ্রীরামের বাক্য শ্রবণে ভীত হইয়া কহিল, হে সমুজ্জ্বল বিমানে আরোহণ করলেন । তৎকালে s h মহাবাহো! আমাকে নিশ কৰিও না, আমি নিজ হার শষ, চক্র,গদা, পদ্ধ ও কীট প্রভৃতি ভূকর্ম্ম দ্বারাই বিনষ্ট হইয়াছি । হে রাম ? তোমার ; ণের অসামান্ত প্রভায় দশদিকৃ আলোকময় হুইল ; মঙ্গল হউক, আমি ক্রোধ সহকারে তোমার ভার্য্যা- এবং ঐরুপ সর্ব্বাভরণভূষিত চারিট বিষ্ণুদূত উপপহারী রাবণের অনুগমন করিয়াছিলাম—হে অরি: ! স্থিত হইয়। জটায়ুকে সেবা করিতে লাগিলেন । মর্দ্দন! পথিমধ্যে তাহার সহিত আমার যুদ্ধ হই, যোগিগণও সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া বহুবিধ স্তৰয়াছিল—আমি রণক্ষেত্রে তুণ্ড প্রহার দ্বারা তাহার | বাক্যে দিব্যরূপধারী জটায়ুকে স্তন করিতে আরম্ভ অশ্ব, রথ, ও ধনুঃ ছিন্ন করিয়াছিলাম, অনস্তর দুরাত্মা | করিলেন। অনন্তর পক্ষিরাজ জটায়ু রঘুনন্দন রামকে মহাবল পরাক্রান্ত রাক্ষস আমাকে নিদারুণ প্রহর | কৃতাঞ্জলিপুটে স্তব করিতে লাগিলেন । র্যাহার করিয় ভূমিতলে নিক্ষেপ করিয়াছে। হে জগন্নাথ! ! অনন্ত শক্তি এবং দেশকালাদি দ্বারা যাহাকে পারএক্ষণে আমি প্রাণত্যাগ করি, তুমি সম্মুখে দণ্ডায়মান । চ্ছেদ করা যায় না—যিনি সকলের আদি ও সমস্ত হইয়া আমাকে দর্শন কর । শ্রীরাম তাহা শ্রবণ করিয়া জগতের স্থষ্টিস্থিতি-সংহারকারী সেই শান্তিগুণময় কণ্ঠাগত প্রাণ জটায়ুকে অবলোকন করিলেন এবং পরমাত্মাস্বরূপ রামচন্দ্রকে আমি সন্তত প্রণাম করি। দুঃখাশ্র মোচনানন্তর হস্তযুগল দ্বারা জটায়ুর গাত্র এবং মনুষ্যেরা র্যাহা হইতে নিত্য সুখলাভ করিতে স্পর্শকরিয়া কহিলেন;--“হে জটায়ো! তুমি বল আমার পারে এবং যিনি কমলাদেবীর এক মাত্র কটাক্ষ-স্থান, সুবদন ভর্ধ্যাকে কোন ব্যক্তি হরণ করিয়াছে, তামা ব্রহ্ম, ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ বিপংকালে র্যাহার শরণারই কার্য্যার্থবিনষ্ট হইয়াছ—এই হেতু তুমি আমার পন্ন হইয়া সমস্ত দুঃখ হইতে পরিত্রাণ পাইয়া প্রিয়বান্ধব।” জটায়ু মুখ হইতে রক্তবমন করিতে থাকেন, সেই শ্রেষ্ঠ ধনুর্ব্বাণ-ধারী মায়া মনুষ্যরূপ করিতে মূহুবচনে কহিল –“হে রাম! ভীমবিক্রম | বরপ্রদ রামকে সতত প্রণাম করি। । রাক্ষসাধিপতি রাবণ জানকীকে হরণ করিয়া দক্ষিণা- ধিনি ত্রিভুবনৈক মুলাররূপের শস্থ স্থর্য্যসম সমুa ভিমুখে গমন করিয়াছে; আর অধিক বলিতে আমার জ্বল শোভায় জগৎ আলোকময় করিতেছেন এবং s