পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড やか○ ব্যক্তি ব্রহ্মঘাতী বা মুরাপায়ী হইলেও সকল পাপ- মায়াজাল বিস্তার করত ঈষৎ হাস্ত সহকারে এই কথা রাশি হইতে মুক্ত হয়। রাম হে! আমি শত্রু জয় । কামনা করি না ; পত্নী বা সুখাদি প্রার্থনা করি ग]; शाश्न्न छात्र दक्कन (गोक्रम श्ब्ल, cउामान्न প্রতি এইরূপ প্রগাঢ় ভক্তি সর্ব্বদা প্রার্থনা করি । । রঘুবর! তোমার মায়া আমাকে সংসারবন্ধনে আবদ্ধ করিয়াছে বটে, কিন্তু আমি তোমারই অংশ ( জীব-পরমাত্মার অংশ)। তুমি স্বীয় শ্রীচরণে আমার ভক্তি উৎপাদন করিয়া আমাকে সংসার, শঙ্কা হইতে পরিত্রণ কর । তোমার মায়াযোগে । চিত্ত আবৃত থাকাতে পুর্ব্বে আমার শত্রু, মিত্র, উদাসীন ছিল ; কিন্তু রাঘব হে ! আজি ভবদীয় শ্রীচরণ-দর্শনেই সকলই আমার পক্ষে ব্রহ্ম বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে,—মিত্রই বা কোথায় ? শত্রই বা কোথায় ? জীব, যতদিন তোমার মায় দ্বার আবদ্ধ থাকে, ততদিনই গুণ-বিশেষের সংসর্গ থাকে। যত দিন গুণ-সঙ্গ থাকে, তত দিনই পার্থক্য জ্ঞান থাকে; নতুবা থাকে না। অজ্ঞানবশতঃ যত দিন পার্থক্য বোধ থাকে, তত দিন মৃত্যু-ভয় থাকে। অতএব যে ব্যক্তি অবিদ্যার বশবর্ত্তী, সে. গাঢ় অন্ধকারে নিমগ্ন হয়। এই সমস্ত স্ত্রীপুত্রাদি-বন্ধনের মূল— মায়া। অতএব হে রঘূন্তম! তোমার দাসী সেই মায়াকে তুমি অপসারিত কর। প্রার্থনা করি—আমার চিত্ত-বৃত্তি যেন তোমার পাদপদ্মে আসক্ত থাকে ; আমার বাক্য যেন তোমার নাম কীর্ত্তনে নিযুত থাকে, আমার করযুগল, যেন তোমার ভক্তগণের সেবা করিতে নিযুক্ত থাকে ; আমার অঙ্গ, যেন তোমার অঙ্গ-সংসর্গ লাভ করে ; নয়নযুগল, যেন তোমার মুক্তি,তোমার ভক্ত বৃন্দ এবং আমার গুরুকে নিরস্তর অবলোকন করে ; কর্ণ, যেন তোমার অবতার-চরিত্রকথা শ্রবণ করে ; আমার পদদ্বয় যেন সর্ব্বদ তোমার মন্দিরে গমন করে ; হে গরুড়ধ্বজ ! মদীয় অঙ্গসকল যেন তোমার পদধূলিরূপ তীর্থনিচয় ধারণ করে ; এবং হে রাম। আমার মস্তক, নিরস্তর যেন শিব-বিরিঞ্চি-প্রভৃতি-সেবিত ভবদীয় শ্রীচরণপ্রণামে তৎপর থাকে । । প্রথম অধ্যায় সমাপ্ত । quaminimadamh দ্বিতীয় অধ্যায় । সুগ্রীৰ, প্তাহার শরীর আলিঙ্গনে সকল পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়াছে, ইহা সুগ্রীবের কথাবার্ত্তীয় বুৰিয়া রাম কার্য্যসিদ্ধির জন্ম সুগ্রীবের মোহ কর বলিলেন;–“সখে! আমার প্রতি ভূমি বাহ বলিলে, তাহা সত্যই বটে ;–সন্দেহ নাই; কিন্তু লোকে আমায় বলিবে "রঘুনন্দন, অগ্নি-সাক্ষী সত্য করিয়া বানর-রাজের কি উপকার করিলেন", আমার এইরূপ লোকনিন্দ হইবে ; সন্দেহ নাই । অতএব তোমার মঙ্গল হউক,তুমি যুদ্ধার্থ বালীকে জাহান কর গিয়া । তাহাকে এক বাণে হত্যা করিয়া তোমাকে রাজ্যে অভিষিক্ত করিব।” সুগ্রীব “ষে আজ্ঞা" বলিয়া ক্রতগতি কিষ্কিন্ধ্যার উপবনে গমনপূর্বক অত্যন্ত প্রতিধ্বনি জনক শব্দ করিয়া স্পৰ্দ্ধ সহকারে বালীকে আহবান করিল। বালী, ভ্রাতার শব্দ শুনিয়া রোষ-কষায়িতলোচনে সত্বর গৃহ হইতে সুগ্রীব যথায় অবস্থিত ছিল, তদভিমুখে নিষ্কান্ত হইল। আগত মাত্রেই সুগ্রীব তাহার বক্ষস্থলে আঘাত করিল ; বালীও সাতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া সুগ্রীবকে মুষ্টিদ্বয় দ্বারা প্রহার করিতে লাগিল; আবার সুগ্রীব তাহাকে; এইরূপে— ক্রুদ্ধ হইয়া পরস্পর যুদ্ধ করিতে লাগিল রাম তাহদিগের সমান রূপ দেখিয়া অতিশয় বিস্মিত হইলেন ; এবং সুগ্রীব-বধাশঙ্কায় তখন শর নিক্ষেপ করিলেন না। অনস্তর সুগ্রীব রক্ত বমন করত ভয়াকুল ভাবে পলায়ন করিয়া আসিল; বালী নিজগৃহে প্রতিগমন করিল। সুগ্রীব রামকে কহিতে লাগিল, রাম । শত্রুরূপী ভ্রাতার হস্তে আমাকে হত্যা করাইরে কেন ? যদি আমাকে বধ করিতে একান্ত ইচ্ছ। হইয়া থাকে, প্রভু হে! তুমি নিজেই আমাকে বধ কর । হে শরণাগতবৎসল সত্যবাদী রঘুবর ! আমার এইরূপ বিশ্বাস উৎপাদন করিয়া এখন আমাকে উপেক্ষা করিতেছ কি জন্ত ? সুগ্রীবের কথা শুনিয়ু রাম, অশ্র-পূর্ণনয়নে আলিঙ্গল করিয়া বলিলেন;–“তুমি ভয় পাইও না, তোমাদিগের দুইজনের সমান আকার দেখিয়া মিত্র-হত্য-শঙ্কায় শর নিক্ষেপ করি নাই ; ভ্রম-নিবৃত্তির জন্য এখনই তোমার চিহ্ন করিয়া দিতেছি ; এইবার গিয়া শক্রকে পুনরায় আহ্বান করবালীকে অচিরে নিহতদেখিবে। ভাই ! আমি রাম,তোমার দিব্য করিতেছি, ক্ষণমধ্যে বধ করিব।” রাম মুগ্রীবকে এইরূপে আশ্বাসান্বিত করিয়া লক্ষ্মণকে বলিলেন;–“হে মহাভাগ। সুগ্রীবের গলদেশে প্রফুল্ল কুমুম-মালা পরাইয়া তাহাকে বালীর প্রতিকূলে পাঠাইয়া দেও।” লক্ষ্মণ—তখন মালা পরাইয়ু ধাও যাও,” বসিয়া সাদরে স্বগ্রীবকে পঠাইয়া দিলেন। সুগ্রাবও গিয়া তাহাই করিল।