পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধা-কাণ্ড । মুক্ত করিবার জন্য রামরূপে দর্শন দিলাম। অনবরত মদীয় রূপ ধ্যান করতঃ আমার উপদেশ আলোচনা কর, তাহা হইলে যথা উপস্থিত কার্য্য-সকল করিয়াও به وی\ করিয়া ঐরামের আদেশানুরূপ সকল কার্য্য নির্ব্বাহ করিল। তথায় মহাবীর লক্ষণ, সুগ্রীবকর্তৃক যথো চিতভাবে পূজিত হইয়া শ্রীরাম সন্নিধানে আগমন ংসারে লিপ্ত হইবে না” । তারা অতিবিস্ময়-সহকারে ঐরামের উপদেশ-বাক্য শ্রবণ করিয়া দেহাভি, মান-জনিত শোক-পরিত্যাগপূর্বক রঘুনন্দনকে প্রণাম করিল এবং আত্মামুভবে সন্তুষ্ট হইয়া জীব যুক্ত অবস্থা প্রাপ্ত হইল। শ্রীরাম-ক্ষণকাল-মধ্যে তারার অনাদি সংসার-বন্ধন ছেদন করিয়া তাহাকে নিষ্পাপ ও জীবন্মুক্ত করিলেন ; মহাত্ম সুগ্রীবও ঐরাম-মুখ-বিনির্গত সদুপদেশ-বাক্য শ্রবণানন্তর অজ্ঞান-রাশি হইতে মুক্ত,হইয়া মুস্থচিত্ত হইল। অনস্তর রামচন্দ্র বানর-পুঞ্জল সুগ্রীবকে কহিলেন ;*সখে! জ্যেষ্ঠভ্রাত বালির যথোচিত পারলৌকিক কার্য্য তদীয় পুত্রদ্বারা যথাবিধি সম্পাদন কর। সুগ্রীব “যে আজ্ঞ", বলিয়। কতিপয় প্রধান বানর দ্বারা রাজোচিত-উপচার-যোগে বালীর মৃত দেহ বহন করাইয়া পুপক-সদৃশ বিমানে সংস্থাপন করাইল । ভেরী ও সুন্দভিধ্বনি হইতে লাগিল । সুগ্রীব— ব্রাহ্মণগণ, মন্ত্রিগণ, স্থপতি-বানরগণ, পুর. বাসিগণ, তার ও অঙ্গদ সমভিব্যাহারে গমন শাস্ত্রানুসারে যত্বপূর্বক মৃতদেহ-সংস্কারাদি কার্য্য করাইল । অনস্তর সুগ্রীব স্নান করিয়া কতিপয় মন্ত্রির সহিত শ্রীরাম চরণে প্রণামপূর্বক সৃষ্টচিত্তে কহিল ;–“হে রাজেন্দ্র ! তুমিই এই সমৃদ্ধি. সম্পন্ন বানর-রাজ্য শাসন কর, আমি লক্ষ্মণের ন্যায় চিরকাল তোমার পাদপদ্ম সেবা করিব।” এইরূপ কথিত হইয়। রাম ঈযংহাস্য সহকারে কহিলেন;–“সখে! তুমি আমা হইতে অভিন্ন ; সন্দেহ নাই, অতএব শীঘ্র গমন করিয়া আমার আজ্ঞানুসারে কিষ্কিন্ধ্যা নগরে রাজ্যের আধিপত্যে আত্মাকে অভিষেচিত কর। সখে! আমি চতুর্দশ বৎসরকাল নগর প্রবেশ করিব না; পূর্বক তাহাকে প্রণাম করিলেন। অনন্তর ঐরাম লক্ষ্মণ সমভিব্যাহারে প্রবর্ষণ নামক পর্ব্বতের অতি বিস্তৃত উচ্চ শিখরে গমন করিলেন । শ্রীরাম, সেই স্থানে দেখিলেন, স্ফটিক-মণিময় প্রভাসম্পন্ন বৃষ্টি-বাৰু আতপ-নিবারক একটা গহ্বর ;–তাহার নিকটে ফল মূলও পাওয়া যায় দেখিয়া লক্ষ্মণের সহিত ঐ গহ্বরে বাদ করিতে বাসনা করিলেন। রঘুনন্দন বিবিধ সুচারু ফল-মূল পুষ্প-মুক্তা-সদৃশ-নির্ম্মল জল পূর্ণ সরোবর ও নয়নানন্দবৰ্দ্ধন বিচিত্র বর্ণ পক্ষিণ৭ শোভিত পর্ব্বতে অবস্থিতি করিলেন । তৃতীয় অধ্যায় সমাপ্ত । ऽङ्थ उ५Iाग्न । রাঘব, সেই পর্ব্বতে মণিময়-গুহ মধ্যে সঞ্চরণ ও মুপক্ক ফলমূল ভোজন দ্বারা পরিতৃপ্ত হইয়া লক্ষণের সহিত সুখে এক বর্ষকাল অবস্থিতি করিলেন । ইতিমধ্যে ঐরাম একদিন সুবর্ণময় পৃষ্ঠাস্তরণ শোভিত গজমূর্যবং প্রতীয়মান চপলা চমকিত এবং শব্দায়মান লাতসঞ্চালিত সজল জলদাললী সন্দর্শন করিয়া বিস্ময়াপন্ন হইলেন ; এবং ঐ স্থানের নব-ঘাস-ভক্ষণে সৃষ্ট-পুষ্টাঙ্গ মৃগ-পক্ষিগণ ইতস্ততঃ বিচরণ করিবার সময় পথিমধ্যে শ্রীরামকে দর্শন করিয়া ধ্যানস্থ মুনিগণের ন্যায় নিম্পন্দ ভাবে অনিমেষলোচনে অবস্থান করিত এবং সিদ্ধগণ গিরি-বনভূমি-সঞ্চারী রামকে মানুষরূপী পরমাত্মা নিশ্চয় করিয়া মৃগ ও পক্ষিরূপ ধারণপূর্বক ঐরামের অনুগমন করিতেন । একদা ধ্যান-নিষ্ঠ শ্রীরামকে সমাধি-অবসানে লক্ষ্মণ ভক্তি ও প্রণয় সহকারে বিনয় বচনে কহি আমার ভ্রাতা লক্ষ্মণ, তোমার নগরে গমন ; লেন;–“হে দেব। আপনি আমাকে পূর্ব্বে খে করিবে। সখে! তুমি অঙ্গদকে সমাদরপূর্বক সকল জ্ঞানোপদেশ করিয়াছেন, তত্ত্বারা আমার যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিবে, আমি লক্ষ্মণের সহিত অনাদি-অবিদ্যা-জনিত হৃদয়স্থিত সংশয় বিচ্ছিন্ন নিকটবর্তী পর্ব্বতশিখরে একবৎসরকাল বাস করিব, হইয়াছে; যোগিগণ দ্বারা আপনার আরাধনা তুমি এই যৎকিঞ্চিৎ সময় নগর মধ্যে অবস্থান করিয়া করেন, এক্ষণে ঐ কর্ম্মমার্গ জানিতে ইচ্ছা করি। পশ্চাৎ সীতান্বেষণে যত্নবান হইবে।” অনন্তর ; নারদ, ব্যাস, কমলযোনি ব্রহ্মা—এই সকল সুগ্রীব ঐরামের চরণযুগলে সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত করিয়া ; যোগিগণ সর্ব্বদা ইহাকেই মুক্তি সাধন বলিয়। কহিল –“হে দেব ! আপনি যেরূপ আজ্ঞা করি | ছেন। ইহা ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় প্রভৃতি তিনবর্ণ, লেন, আমি তাঁহাইকরিব, অনন্তর রামের অনুমতি | সকল আশ্রমাবলম্বী জাতি এবং শূদ্রদিগেরওঁ ক্রমে সুগ্রীব, লক্ষ্মণের সহিত কিষ্কিন্ধ্যা নগরে গমন । মোক্ষসাধক । আমি আপনার ভক্ত ভ্রাত ; মুক্তিৰু