পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

А 9 হইবে, এষ্ট বলিয়। সুগ্রাবকে ভয় দেখাইও । অধ্যাত্ম-রামায়ণ । আসিয়াছেন জানিয়া সত্বর গৃহ হইতে নিষ্ক স্ত উৎপলে সুগ্রীবের উত্তর লইয়া শীঘ্র আসিবে ; ; হইল। পরে বানরদিগকে যুদ্ধাদি করিতে নিবা পরে যাই কর্ত্তব্য হয় তাহ নিশ্চয় করিব"। টীম | সাষ্ট্রাঙ্গে প্রণাম করিল। জনস্তর প্রিয়-বৰ্দ্ধন লক্ষ্মণ, যেন কোপানলে দগ্ধ করিবার নিমিত্তই কতগতি । যাও তুমি, কুপিত রামচন্ত্রের প্রেরিত হইয়া আমি সর্ব্বজ্ঞ রাখব, লক্ষ্মীরূপিণী নিজ শক্তির সহিত । মিলিত এবং বিজ্ঞানময় হইয়াও সামান্ত মনুষ্য । যেমন সামান্ত রমণীর নিমিত্ত শোক করে, সেইরূপ : কাতরভাবে সীতার জন্য শেকু করিয়াছিলেন। বুদ্ধি । প্রভৃতির সাক্ষী, মায়া ও মায়া-কার্থ্যের অতীত এবং : রাগ-দ্বেষাদি-শূন্য এই রামচন্দ্রের তাদৃশ আচরণ হইয়া মস্তিশ্রেষ্ঠ করূপে সম্ভব হয় ?—ব্রহ্মার কথা সত্য করিতে । এবং রাজা দশরথের তপস্যাফলদান করিবার জন্ত । রামচন মানুষবেশে জাবিভূত হন। লোক সকল । যায়া-মোহিত এবং অজ্ঞান ; ইহুদিগের কিরূপে : মুক্তি হইলে ? ইহা চিন্তা করিয়া ভগবান বিষ্ণু । ত্রিভুবনের কলুষ-নাশিনী রামায়ণ-কথা—জগতে । বিক্রম লক্ষ্মণ, “খে আজ্ঞা", বলিয়া—বানরদিগকে কিষ্কিন্ধ্যার দিকে গমন করিলেন । .

বস্তার করিবার নিমিত্ত রামরূপে মনুষ্য-চেষ্টার । বলিয়৷ হনুমান অঙ্গদের সহিত লক্ষ্মণ সন্নিধানে গমন করিয়া তাহাকে অবনিতল-লুষ্ঠিত মস্তকে ভক্তি পূর্বক প্রণাম করিল ; এবং “আমিতে কোন মোহিত প্রজাদিগকে সেই সেই ব্যবহারের ঔচিত্য । জ্ঞাপন করিয়াছেন । তিনি বিজ্ঞান-স্বরূপ, জ্ঞান | শক্তিসম্পন্ন, প্রাণ-সমূহের শুভাশুভ সাক্ষী এবং ! অনুকরণ করিয়াছেন ; গুণ-শূন্ত হইয়াও গুণানুংক্তের ন্যায় ব্যবহার সিদ্ধি ও প্রয়োজন সিদ্ধির জন্য উপযুক্ত কালাহুসারে কখন ক্রোধ, কখন মোহ, দুখন বা কামের অনুযায়ী ব্যবহার করত মায়া নিগুণ ; অতএব যেমন তাকাশ পবনানীত মলে নহেন । এবং সাক্ষাৎকার করেন । আর তাহার প্রতি শচলা ভক্তি করায় হাদিগের অন্ত:করণ নির্ম্মল । হইয়া গিয়াছে, তাহারা তাহাকে সম্পূর্ণরূপে সর্ব্বদা । বুঝিতে পারেন। উৎপত্তি বর্জিত ভগবান্‌ ভক্ত । জনের চিত্তবৃত্তি-অনুসারে তাহাদিগের জ্ঞানগম্য হন। তখন লক্ষণও কান্ধা নগর সমীপে গমন রণ করিয়া লক্ষ্মণ-সমীপে উপস্থিত হইল এবং অঙ্গদকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন;–“বৎস! আসিয়াছি—এই সংবাদ পিতৃব্যের নিকট নিবেদন কর ।” অঙ্গদ "যে আজ্ঞা", বলিয়া সত্বর সুগ্রীবের নিকট গিয়া নিবেদন করিল ;--ষে, ক্রোধ-লোহিতনেত্র লক্ষ্মণ নগরদ্বারের বহির্ভাগে অবস্থিত তাছেন ; অনন্তর তৎশ্রবণে বানরেশ্বর সুগ্রীব অতীব ভৗত হনুমানকে আহ্বান পূর্ব্বক কহিল;—“তুমি অঙ্গদ সমভিব্যাহারে শীঘ্র যাও, ক্রুদ্ধ বীর লক্ষ্মণকে বিনয় সহকারে ক্রমে সাস্তুন করত গৃহে লইয়। তাইস"। বানর-নাথ, হনুমানৃকে পাঠাইয়। তারাকে কহিল ;–“পুণ্যবতি ! তুমি যাও, লক্ষ্মণকে মৃদু-মধুর বচনে সান্থন করত কোপশুন্য করিয়া অন্তঃপুরে লইয় যাইও, পশ্চাৎ আমার সহিত সাক্ষাৎ করাইবে।” অনস্তর তারা আচ্ছা”, মধ্য-প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করিল। তার ক্লেশ হয় নাইত ?” জিজ্ঞাস করিয়া বলিলেন, “হে মহাভাগ! আমুন ; এগৃহ আপনারই ; হে বীর । নিঃশঙ্কচিত্তে ইহাতে প্রবেশ করুন ; রাজ পত্নী প্রভৃতির এবং সুগ্রীবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সংস্কৃষ্ট নহে, সেইরূপ তিনিও কামাদি দ্বারা লিপ্ত । পরে যাহা আজ্ঞা করিবেন, তৎসমস্তই সম্পাদন করিব "| পবন-নন্দন এই বলিয়া ভক্তিপূর্ব্বক • সনকাদি কোন কোন মুনি তাহাকে জানেন । লক্ষণের হস্ত ধারণ করিয়া নগর হইতে রাজ গৃহাভিমুখে লইয়া গেলেন। লক্ষ্মণ সেই নগরে চতুর্দিকে সেনাপতিগণের প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড সোধ- * রাজি অবলোকন করিতে করিতে ইন্দ্রভবন সদৃশ রাজ-ভবনে প্রবেশ করিলেন । চন্দ্র-মুখী তার সেই ভবনের মধ্য প্রকোষ্ঠে সর্ব্বালঙ্কার ভূষিত - - হইয় অবস্থিত ছিল। তখন তাহার নয়ন-প্রান্ত কুরিয়া নিখিল বানরগণের ভীতি সম্পাদন করত । মধুপানে অরুণ বর্ণ হইয়াছিল। অল্পহাস্ত করিয়— ভীষণ জ্য শব্দ করিলেন। প্রাকার শিখরস্থিত সামান্য ! কথা বলা তাহার অভ্যাস ; সে নমস্কার করিয়া বানরগণ র্তাহাকে দেখিয়া বৃক্ষ, প্রস্তুর গ্রহণপূর্বক ; লক্ষ্মণকে বলিতে লাগিল, “দেবর! চল; তোমার "কিলকিলা" শব্দ করিতে লাগিল। মহাবীর লক্ষ্মণ মঙ্গল হউক ; তুমি সাধু এবং ভক্ত-বৎসল; কপিরাজ ক্রীধরন্ত-নয়নে তাহাদিগকে অবলোকন করিয়া । শরাসন আকর্ষণপূর্বক সমুলে সংহার করিতে | উদ্যত হইলেন । অনন্তর মন্ত্রিশ্রেষ্ঠ অঙ্গদ, লক্ষ্মণ । डङ जुडा ; ऊँीशद्र थउि क् िक्छ कुछ इहेग्नाइ ? কপিরাজ বহুকাল হতাশ্বাসে কেবল দুঃখই ভোগ করিয়াছিলেন, আপনারাই সেই দুঃখরাশি হইতে