পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুন্দর কাণ্ড । ফল বোধ করিয়া গ্রহণ-লালসায় * বাল্য-লীলা ক্রমে উচ্চে পঞ্চশত যোজন লম্ফ দিয়া উঠিয়াছিলে, তাহার পর (ইঞ্জরে বজ্র প্রহারে ) ভূতলে পতিত হইয়াছিলে । অতএব তোমার বল মাহাত্ম্য বর্ণন করে কাহার সাধ্য । হে সুব্রত। উঠ, রাম কার্য্য | সাধন কর, আমাদিগকে রক্ষা কর " জাম্ববানের বাক্য শুনিয়া হনুমান অতি আনন্দে সিংহনাদ করিল, তাহাতে বোধ হইল হেন ব্রহ্মাণ্ড বিদীর্ণ হইতেছে। হনুমানূ দ্বিতীয়ত্রিবিক্রমের স্থায় পর্ব্বতাকার হইয়৷ উঠিল; এবং বলিতে লাগিল ;–“সমুদ্র লজনৃ করিব, লঙ্ক ভস্মসাৎ করিব, পরে রাবণকে সবংশে ংস করিয়া জনকনন্দিনীকৈ আনয়ন করিব। অথবা রাবণের গলদেশে রঞ্জুবন্ধন করিয়া এবং ত্রিকূট পর্ব্বতের সহিত লঙ্কানগরীকে বাম করতলে ধারণ করিয়া রামের সম্মুখে নিক্ষেপ করিব। অথবা কেবল শুভ-লক্ষণ জনকনন্দিনীকে দেখিয়াই প্রত্যাগমন করিব।” হনুমানের কথা শুনিয়া জাম্ববান ইহা বলিল ;–“তোমার মঙ্গল হউক, শুভ জনকতনয়াকে জীবিত দেখিয়াই ফিরিয়া আইস, পশ্চাৎ রামের সহিত একত্র হইয়া পৌরুষ প্রদর্শন করিবে । ভদ্র ! তোমার মঙ্গল হউক । আকাশ পথে গমন করিতে যেন তোমার কোন বিঘ্ন না হয়। তুমি রামকার্য্যের জন্য গমন করিতেছ; বায়ু তোমার অনুগমন করুন”। এইরূপ আশীর্ব্বাদ করিয়া বানরশ্রেষ্ঠগণ বিদায় দিলে পর হনুমান মহেন্দ্র পর্ব্বতের শিখরে আরোহণ পূর্বক অদ্ভূত-দর্শন হইল অর্থাৎ তাহাকে দেখিয়া লোকে বিম্মিত হইল। তখন তাহার শরীর সুবিশাল গিরিশ্রেষ্ঠের ন্যায়, বর্ণ— সুবর্ণের দ্যায়, বদনমণ্ডল অরুণের ন্যায় মনোহর ও সুদীর্ঘ বাহুযুগল মহাফণীন্দ্র সদৃশ হইল ; মহাত্মা Rషి সুন্দর কাণ্ড । । প্রথম অধ্যায় । । মহাদেব কহিলেন;–পবন-নন্দন অতীব জানন্দ সহকারে শতযোজন বিস্তীর্ণ মকরালয় সমুদ্র পার হইতে অভিলাষী হুইয়া পরমাত্মা রামচন্ত্রের ধ্যান করিয়৷ এই কথা বলিল ;–যেমন সকলে রাম-পরিত্যক্ত অমোঘ মহাশরকে শূন্ত মার্থে যাইতে অবলোকন করে, সেইরূপ আমিও (দ্রুত এবং নিশ্চয় কার্য্য সিদ্ধি করিবার জন্য) আকাশপথে গমন করি: তেছি, সকল বানরগণ আমাকে অবলোকন করুক ! অদ্যই রাম-ভার্য্যা জনক-নন্দিনীকে অবলোকন করিব ; আমি কৃত কৃতার্থ হইয়া পুনর্ব্বার রাম দর্শনও করিলাম আর ফি মনুষ্য প্রাণ-ত্যাগ সময়ে একবারমাত্র যাহার নাম স্মরণ করিলে অপার ভবসাগর পার হইয়৷ তদীয় পদ প্রাপ্ত হয় ; আমি তাহার দূত; আবার তাহার-অঙ্গুলি, যে অঙ্গুরীয় দ্বারা শোভিত হয়, সেই অঙ্গুরীয় আমার নিকটে; র্তাহাকে হৃদয়ে ধ্যান করিতেছি ; আমি যে এই ক্ষুদ্র সমুদ্র পার হইব, ইহাতে আশ্চর্য্য কি ? এই বলিয়া পবন-বিক্রম পবন-নন্দন দক্ষিণ-মুখ হইয়৷ সত্বর লম্ফ প্রদান করিল। তৎকালে তাহার বাহুদ্বয় ও লাঙ্গল প্রসারিত, গ্রীব সরল, দৃষ্টি উদ্ধে বিন্যস্ত এবং চরণদ্বয় আকুঞ্চিত হইয়াছিল । দেবগণ আকাশমণ্ডল হইতে তাহাকে অললোকন করিতে লাগিলেন। হনুমানৃ সত্বর গমন করিতে লাগিল। দেবগণ, পবন-তনয়কে বায়ু বেগে গমন করিতে দেখিয় সেই বানরের সামর্থ্য পবননন্দন এইরূপে সর্ব্বভূতের দৃষ্টিগোচর হইতে | পরীক্ষা করিবার জন্য বলাবাল করিতে লাগিলেন – লাগিল । কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডে নবম অধ্যায় সমাপ্ত। • মূলে "ভ্রিন্থক্ষমি” কথাটা "গ্রীষ্যামি" অর্ধে জার্ধ ; টীকাকার এই কথা বলেন ; কিন্তু আমার উৎ আধ স্বীকার না করিয়াই সহজ ভাবে অর্ধ করিয়াছি। মূলের २s cनांदकव्र नश्कि अर्चाष निजाईंज्ञां शप्लेन । "এই বায়ুবিক্রম মহাবল বানর যাইতেছে ত ; কিন্তু লঙ্কা প্রবেশ করিতে পারবে কি না ? ইহার কিরূপ বল তাহা ত আমরা জানি না", এইরূপ বিতর্ক করিয়া কুতূহলান্বিত দেবতাবৃন্দ নাগমাত মুরসাকে বলিলেন “যাও তুমি, বানরশ্রেষ্ঠ হনুমানের পথিমধ্যে কিছু বিদ্ধ কর গিয়া; তাহার বলবুদ্ধি বুঝিয়া আবার সত্বর ফিরিয়া আইস।" এই কথা বলিলে মুরস হনুমানের বিশ্ন করিবার জন্য সত্বর গমন করিল; অগ্রপথ আবরণ করিয়া (আগপথ আগুলিয়) অৰস্থান করত বামরকে বলিল;–“মহামতে ? আইস, শীঘ্র আমার মুখকুহরে। প্রবেশ কর ; আমি ক্ষুধায় অতীব কাতর আছি, দেবগণ তোমাকে