পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fj i S తీ আনন্দে শব্দ করিয়া উঠিল, তাহাতে তুমুল প্রতিধ্বনি হুইল ; "শন্স দ্বারাই অনুমান করিয়াছি ; হনুমানই কৃতকার্ঘ্য হইয়া প্রত্যাগমন করিতেছেন; বানরগণ ঐ বানরশ্রেষ্ঠ হনুমান অবলোকন কর।” বীর বানগণ এইরূপ বলিতেছে, ইত্যবসরে পন্নতনয় গিরিশিখরে অবতরণ পুর্ব্বক বানর-গণকে বলিল –“সীতাকে দেখিয়াছি; লঙ্কা নগরী এবং তাহার উপবন ছার খার করিয়াছি; দশাননের সহিত আলাপ করিয়ছি ; তাহার পর পুনরাগমন করিলাম। চল এখনই রম-সুগ্রীবের নিকট গমন করি” হনুমান এই কথা বলিলে সকল বানৱগণ আনদে তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া কেহ কেহ লাঙ্গল টুম্বন করতে লাগিল, কেহ কেহ বা উৎসুক হইয় নাচিতে লাগিল । তাহার। হনুমানের সহিত মিলিত হইয়া প্রশ্রমণ পর্ব্বতাভিমুখে যাত্রা করিল। বীর ৰানদশ্রেষ্ঠগণ, যাইতে ঘটতে মুগ্রীপ-রক্ষিত মধুবন দেখিতে পাইয়া অঙ্গদকে বলিল ;–“ধীর । আমরা ক্ষুধিত হইয়াছি; মহামতে ! অনুমতি প্রদান কর। আজ কতকগুলি ফল ভোজন করি এবং অমৃত তুল্য মধুপান করি। আবার সন্তুষ্ট হইয়া আজই সামুজ রামচন্দ্রকে দর্শন করিতে যাইব ।” অঙ্গদ বলিল ;– “বানর-শ্রেষ্ঠগণ। হনুমান কৃতকার্য্য হইয়া আসিয়াছে, ইহার প্রসাদে তোমরা সত্বর ফলমূল ভোজন করিয়ালও ” অনন্তর, দধিমুখ-প্রেরিত রক্ষকগণের নিবারণ শুনিল না ; বানরগণ কাননে প্রবেশ করিয়া মধুপান করিতে আরম্ভ করিল। সেই সকল বানরগণ মধুপান করিতেছিল; উদ্যানরক্ষক বানর. শ্রেষ্ঠগণ তাহাদিগকে আঘাত করিতে লাগিল ; অনস্তর ঐ আঘাতকারাদিগকে মুষ্ট্যাঘাতে পদা: স্বাতে চূর্ণ করিয়া মধুপান করিতে থাকিল অনন্তর সুগ্রীবের মাতুল দধিমুখ ক্রুদ্ধ হইয়। রক্ষকগণের সহিত বানর-রাজসন্নিধানে গমন করিল। গিয়া র্তাহাকে বলিল;—“দেব! কুমার অঙ্গদ এবং হনুমান তোমার চিরদিনের রক্ষিত মধুবন আজ বিনষ্ট করিয়া ফেলিল।” সুগ্রীব দধিমুখের কথিত বাক্য শ্রবণে হষ্টচিত্তে বলিতে লাগিল ;-“পবননন্দন সীতাকে দেখিয়া আসিয়াছে ; নতুবা আমার মধুবন দর্শন করে কাহার সাধ্য ? পবন-নন্দনই এ কার্য্যসাধন করিয়াছে; সংশয় নাই।” রামচন্দ্র, সুগ্রীব-বাক্য শ্রবণপূর্বক আনন্দ-মূঢ় হইয় তাহাকে বলিতে ' লাগিলেন; “রাজনৃ! তুমি কি বলতেছ? সীতা সম্বন্ধে কোন কথা কি ? স্বত্র বললেন দেব। ধরনিদিনীকে নয়ন-গোচর হইয়াছেন; তাই হনৃ $.” আধাত্মি-রামায়ণ । মান প্রভৃতি বানরসকল, মধুবনে প্রবিষ্ট इहैम्ना সকল মধুভক্ষণ করিয়া ফেলিল এবং রক্ষীদিগকে আঘাত করিয়াছে। দেব ! আপনার কার্য্যসাধন না করিয়া আমার মধুবন দর্শন করিতে সাহসী হইত না, এই জন্য নিশ্চয় করিয়াছি;—“সীতাদেবীকে দেখিয়ছে"। রক্ষিগণ । তাহাদিগকে বল গিয়া “তোমাদিগের ভয় নাই” * এবং আমার আদেশে অঙ্গদ প্রভৃতি বানররূদকে আমার নিকট লইয়া আইস।" সুগ্রীবের বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহারা বায়ুবেগে তথায় গমন পূর্বক হনুমান প্রভৃতি বানর গণকে বলিল ; "রাজার , আদেশে তোমরা (রাজ সমীপে ) গমন কর; সুগ্রীব, রাম, এবং লক্ষণ তোমাদিগকে দেখিতে ইচ্ছা করিতেছেন ; হে মহাবল সকল! তাহারা অতীব আনন্দিত হইয়। (তোমরা যাহাতে শীঘ্র যাও এ বিষয়ে) ত্বর দিতে. ছেন " সেই সকল বানরশ্রেষ্ঠগণ “যে অজ্ঞা" বলিয়া আকাশমার্গে গমন করিল। হনুমান এবং যুবরাজ অঙ্গদকে সম্মুখে করিয়া সত্বর মুগ্রীব এবং রামচন্দ্রের অগ্রভাগে ভূতলে নিপতিত হইল। প্রথম রামকে,—পরে, বানররাজ সুগ্রীবকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করিয়া হনুমান রামচন্দ্রকে কহিল;--সীতাকে কুশলিনী দেখিয়া আসিয়াছি। হে রাজেন্দ্র ! শোকান্বিত জানকী আপনার নিকট নিজের কুশলবার্ত্ত নিবেদন করিয়াছেন ; আমি দেখিলাম ; তিনি অশোক-বনিকা মধ্যে শিংশপা মূল আশ্রয় করিয়া আছেন ; রাক্ষসীগণ চতুর্দিকে বেষ্টন করিয়া রহিয়াছে; প্রভো! অনাহয়ে তাহার শরীর শীর্ণ হইয় গিয়াছে ; (নিরস্তর ) “হ রাম! হা রাম !" বলিয়া শোক প্রকাশ করিতেছেন ; পরিধানে এক খণ্ড মলিন বস্ত্র ; এবং কেশপাশ সংস্কারশূন্য ; দেখিয়া সেই মঙ্গলময়ীকে অল্পে অল্পে আশ্বাসিত করিলাম। ক্ষুদ্র দেহ ধারণপূর্বক বৃক্ষশাখায় অবস্থিত থাকিয় আপ নার জন্ম হইতে আরস্ত করিয়া দণ্ডকারণ্যে আগমন, আপনার অনুপস্থিতিতে দশানন কর্তৃক তাহার সীতা হরণ, সুগ্রীবের সহিত আপনার বন্ধুত্ব, বালিবধ প্রভৃতি সকল বৃত্তাক্ত বিস্তৃতরূপে বলিলাম। সুগ্রীব, বৈদেহীর অন্বেষীর্থ—মহাবল পরাক্রান্ত অজেয় বানরগণকে সর্ব্বত্র পাঠাইয়াছেন, সকলেই এক এক স্থানে গিয়াছে, তন্মধ্যে এক আমি এখানে

  • টীকাকার রাগৰঞ্জার মতে “রক্ষিগণ । তাহদিশের নিকট তোমাদিগের ভয় নাই, এইরূপ অনুবাদ হইতে পারে ; কিন্তু তাহা হইলে ঐ শ্লোকৰ ফ্রত কথাটা মুসঙ্গত হয় না । শ্লোকাঙ্গ ৩১ ।