পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలి রুদ্ধ হইয়া ভাসিতে লাগিল । বিভীষণ কহিল ;– হে রায়! হে রাজেন্দ্র ! আপনাকে নমস্কার ; হে সাত মনোরম ; আপনাকে নমস্কার ; হে ভীমকালুক আপনাকে নমস্কার ; হে ভক্তবৎসল । তোমাকে নমস্কার। অনন্তর, অমিত-তেজা, প্রশাস্ত রামচন্দ্রকে নমস্কার; আপনি সুগ্রীবের মিত্র ; এবং রঘুকুলের রাঙ্গ; আপনাকে নমস্কার। জগতের স্থষ্টি-স্থিতি.সংহারের হেতু ; মহাত্মা, ত্রৈলোক্যগুরু, অনাদিপৃহস্থকে বার বার নমস্কার করি। হে রাম! তুমি জগতের আদি; তুমিই লোকস্থিতির মূল ; অন্তকালে তুমিই সংহার স্থান ; এবং একমাত্র তুমিই স্বাধীন। হে রাঘব! আপনি স্থাবর জঙ্গম প্রাণিগণের বাহিরে ও অন্তরে ব্যাপ্যব্যাপকরপে প্রকাশ পাইতেছেন ; অতএব অপনি জগন্ময়। যাহারা আপনার মায়া দ্বারা মোহিত, অতএব আত্মজ্ঞানে বঞ্চিত ; তাহারা প্রবৃত্তিমার্গে আসক্ত হইয়া পাপপুণ্যবশতঃ নিরস্তর গতায়াত করিতেছে। যেমন যতদিন শুক্তিকার স্বরূপ জ্ঞান ন হয়, তত দিন শুক্তিকাতে যথার্থ রজত বলিয়া ভ্রম থাকে, সেইরূপ চৈতন্যরূপে আসক্ত অনন্ত বিষয় চিত্তদ্বারা যতনি আপনার স্বরূপ জ্ঞান না হয়, ততদিন জগৎও সত্য বলিয়া প্রতীয়মান হয়। হে বিভো ! তোমাকে জানিতে না পারায় সর্ব্বদা স্ত্রী-পুত্র— গৃহাদিতে আসক্ত হইয়া পরিণামে-দুঃখজনক বিষয় সকলে নিরত হয় । তুমি,—ইন্দ্র, অগ্নি, যম, নৈঋত, বরুণ, বায়, কুবর এবং ঈশান ; তুমিই পুরুষোত্তম। প্রভু হে! তুমি স্বক্ষ হইতে স্বক্ষত্তর ; স্কুল হইতে স্কুলতর; তুমি সমস্ত লোকের পিতা মাতা; এবং তুমিই বিধাত তুমি, আদি, মধ্য এবং অস্তশ্বন্ত ; তুমি পরিপূর্ণ, অচ্যুত এবং অব্যয়। তুমি হস্ত-পাদহন এবং কর্ণ-নেত্র-বর্জিত হইয়াও গ্রহণ, ধারণ, শ্রবণ এবং মর্শন কর; আর তুমি থর রাক্ষসকে বধ করিয়াছ ; তুমি পঞ্চকোষ হইতে বিভিন্ন নিগুণ এবং আশ্রযু-ৱহিত । নির্ব্বিকল্পক জ্ঞানদ্বারা তোমাকে বুঝা যায় ; তুমি নির্ব্বিকার ও নিরাকার ; তোমার আর ঈশ্বর নাই; জন্ম প্রভৃতি ছয় ভাব তোমাতে নাই ; তুমি অনাদি এবং প্রকৃতির পর বই পুরুষ। আপনি মায়া অবলম্বন করিয়া মনুষেরতার পরিচিত হইতেছেন, কিন্তু বৈষ্ণবগণ আপনাকে উৎপত্তিশূন্ত এবং নিগুর্ণ বলিয়া অবধারণ করিয়া মুক্তিলাভ করেন। !ে রাঘব! তোমার শ্রীচরণে অচলা ভক্তিরূপ নিশ্রেণি অবলম্বন করিয়া জ্ঞানযোগ নামক সৌধে আরো tर श्रेचद्र ! তাধ্যাত্ম-রামায়ণ । হণ করিতে ইচ্ছা করি। হে রাম! সীতাপতে ! আপনাকে নমস্কার ; হে দয়ালু-শ্রেষ্ঠ ! আপনাকে নমস্কার ; হে রাবণ-শত্রু ! আপনাকে নমস্কার ; এই সংসার সাগর হইতে আমাকে পরিত্রাণ করুন।” অনন্তর ভক্তবৎসল ঐরাম প্রসন্ন হইয়া বলিলেন ;—“তোমার মঙ্গল হউক ; আমি বর দিতেছি— তুমি অভিলষিত বর প্রার্থনা কর"। কহিল ;–রাখব হে ! আমি ধন্ত হইলাম ; আমি কুতকৃত্য হইলাম, আমি কৃতকার্য্য হইলাম ; * তোমার শ্রীচরণ। দর্শনেই আমি মুক্ত হইলাম ; সন্দেহ নাই । রাম হে! আজি যখন আমি তোমার মূর্ত্তি অবলোকন করিয়াছি তখন জগতে আমার স্বায়ু আর ধন্য পুরুষ নাই ; আমার ন্যায় পবিত্র ব্যক্তি নাই; আমার সদৃশই কেহ নাই। হে রঘু-নন্দন! কর্ম্ম-বন্ধন বিজ্ঞাশের জন্য তোমাতে ভক্তিরূপ জ্ঞান এবং মুক্তি-সাধন তোমার ধ্যানযোগ আমাকে প্রদান করুন | হে রাজেন্দ্র । রাম ! আমি বিষয়-সস্তৃত সুখলাভ করিতে প্রার্থনা করি না। সর্ব্বদাই যেন আমার ভক্তি, আপনার চরণকমলে আসক্ত থাকে। রামচন্দ্র, “তথাস্তু" বলিয়া প্রতিবশতঃ পুনর্ব্বার রাক্ষসকে বলিলেন;–হে ভদ্র! আমার কিছু নিশ্চিত রহস্ত কথা আছে, তাহা বলিতেছি—শ্রবণ কর ; আমার যে সকল ভক্ত প্রশাস্ত, যোগী এবং রাগবর্জিত, তাহাদিগের হৃদয়ে নিত্য সীতার সহিত বাস করি ; ইহাতে সন্দেহ নাই। অতএব তুমি জিতেন্দ্রিয় এবং নিপাপ হইয়া আমাকে নিরস্তর ধ্যান করিলে ঘোরতর ংসার-সাগর হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারবে । যে ব্যক্তি, আমার প্রীতির জন্য এই স্তব পাঠ করিবে, লিখিবে বা শ্রবণ করিবে, সে, অভীষ্ট ফল এবং অত্বে মদীয় সারূপ্য লাভ ੇ |” এই বলিয়া ভক্তবৎসল ঐরাম লক্ষ্মণকে বলিলেন;–“এই রাক্ষস আমার দর্শন জন্ত (আনুষঙ্গিক) ফল এখনই দর্শন করুক। যতদিন চন্দ্র, স্বর্য্য ও যতদিন পুথিবী থাকিবে, আমি ততদিনের জন্য ইহাকে লঙ্কারাজ্যে অভিষিক্ত করিব; সমুদ্র হইতে জল আনয়ন কর। যতদিন জগতে আমার কথা প্রচার থাকিবে, ততদিন এই রাক্ষস রাজত্ব কল্পক “ এই বলিয়া লক্ষ্মণ -صتلت • कूडकूछा ७र्षर কৃতকার্য্য উভয়ের একার্য নহে ; "আমি কৃতকার্য হইলাম, আমি প্রাপ্যবস্তু ?tiदेशांग" এই অর্থ টীক্ষাগশ্বত । . . - বিভীষণ,