পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাও ৷ রমাপতি রাম, মন্তিচতুষ্টয়-দ্বারা বিশেষতঃ লক্ষণ-দ্বার, লঙ্কারাজ্যে আধিপত্যের জন্য বিভীষণকে অভিষিক্ত করাইলেন । বানরগণ, “সাধু সাধু,” বলিয়া অতীব স্তব করিতে লাগিল ; মুগ্রীবও বিভীষণকে আলিঙ্গন করিয়া এই কথা বলিল ;–“বিভীষণ ! আমরা সকলেই পরমাত্মা রামের কিঙ্কর ; তন্মধ্যে তোমার ভক্তিতে সন্তুষ্ট হইয়া রামচন্দ্র তোমাকে গ্রহণ করিয়াছেন, অতএব তুমিই প্রধান ; রাবণ-বিনাশে তোমাকে রামের সাহায্য করতে হইবে।” বিভীষণ কহিল ;– “আমি অতি সামান্য লোক, পরমাত্মা রামের আর সহায় হইব কি ? তবে যথাশক্তি ভক্তিসহকারে অকপটে তাহার দস্ত করিব।” শুক-নামে প্রধান রাক্ষস, দশাননের আদেশে আকাশমণ্ডলে অবস্থিত হইয়া সুগ্রীবকে বলিতে লাগিল ;–“তুমি রাক্ষসেশ্বর রাজা রাবণের ভ্রাতৃতুল্য ; তাই তিনি তোমাকে বলিয়াছেন যে, তুমি মহাবংশে উৎপন্ন ; বনচরগণের রাজা ; তুমি আমার ভ্রাতৃসদৃশ, আমি তোমার অনিষ্ট করি নাই, তবে নৃপনন্দন রামের যে ভার্য্যাহরণ করিয়াছি, তাহাতে তোমার কি ? তুমি বানরগণের সহিত কিষ্কিন্ধ্যায় গমন কর, লঙ্গ অধিকার করা দেবগণেরও অসাধ্য, হীনবল মনুষ্য কিংব বানর-যুথপতিদিগের কথা ত সামান্য ।” বানরগণ, শীঘ্র লম্ফ দিয়া উঠিয়া সেই বার্ত্তাবহকে দৃঢ়তর মুষ্ট্যাঘাতে সত্বর নিহত করিবার জন্য উদ্যত হুইল । যখন বানরগণ তাহকে আঘাত করিতে লাগিল, তখন শুক, রামকে বলিল, “হে রাজেন্দ্র ! হে প্রভো | দূতগণ অবধ্য ; বানরদিগকে নিবারণ করুন।” তখন রাম, শুকের পরিদেবন-বাক্য শ্রবণ করিয়া, বধ করিওনা, বলিয়া বানরদিগকে নিষেধ করিলেন । পুনর্ব্বার আকাশে উঠিয়া শুক, সুগ্রীবকে বলিল;—“রাজস্ ! আমি বঁচিলাম, দশাননকে কি বলিব বলিয়া দেও ” সুগ্রীব বলিল ;– “রাক্ষসাধম! রাবণ। বলা আমার যেরূপ ভ্রাতা, তুমিও তদ্রুপ ; আমি এই জন্যই পুত্র, সৈন্য এবং বাহুনাদির সহিত তোমাকে বধ করিব। আমাকে বল রামচন্ত্রের ভার্য্যাহরণ করিয়া তুমি কোথায় পলায়ন কারবে ?” সুগ্রীব রাবণকে এই কথা বলিতে বলিল । অনন্তর রামের আদেশে শুককে বন্ধন করিয়া রাখা হইল । শার্দুল নামে একজন রাক্ষসও তৎপূর্ব্বে বিপুল বানর সৈন্য দর্শন করিয়া যথাযথ রাবণ সকাশে নিবেদন করিল। বাক্ষসরাজ, দীর্ঘচস্তাগ্রস্ত হইয়া দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগকরত গৃহে বসিয়া রহিল । এদিকে রামচন্দ্র সমুদ্রদর্শন করিয়া আরক্তলোচনে >ጓ বলিতে লাগিলেন, “দেখ অনৰ লক্ষণ। সমুদ্র বেটা বড়ই চুষ্ট! আমি আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি— এই দুষ্টাত্মা কিনা আমার দর্শনের জন্ত আনন্দ প্রকাশ করিতেছে না। মনে করিয়াছে, যে এ একछन माशूब, श्राब नरत्र कउकखलि दामब्र; s আমার কি করিতে পারবে ? কিন্তু দেখ মহাবাহু । আজ আমি জলধি শোষণ করিব। বানরগণ নিশ্চিন্তু হইয়া পদব্রজেই গমন করিবে। এই বলিয়া কোথ. কষায়িত-লোচনে শরাসনে জ্যারোপণ করিলেন। অনস্তর, তৃণীর হইতে কালানল তুল্য ভীষণ বাণ গ্রহণ করিয়া শরাসনে যোজনা করিলেন; পরে রামচন্দ্র শরাসন আকর্ষণ করিতে করিতে বলিলেন ; “আজ সর্ব্বভূতে রাম-বাণের সামর্থ্য অবলোকন করুক, এখনই আমি সরিংপতি সমুদ্রকে ভস্মসাৎ করি।” রাম এই কথা বলিলে গিরিবনগহনবর্তী বসুমতী স্বন খন কম্পিত হইতে লাগিল নভস্তল এবং দিত্বগুল অন্ধকারাচ্ছন্ন হইল ; সমুদ্র বিক্ষুব্ধ হইল, ভয়ক্রমে একয়োজন বেলা ছাড়িয়া পিছাইয়া গেল। তিমি, তিমিঙ্গিল, নক্র, মকর ও মানসকল, সস্তপ্ত ও ভীত হইল। এই সময়ে, সাক্ষাৎসাগর, দিব্যরূপ ধারণপূর্বক দিব্য ভূষণে ভূষিত হইয়া স্বীয় অত্বগুলে অবস্থিত দিব্য রত্বসকল করপুটে গ্রহণ করত আমিতে লাগিল। তাহার শরীর প্রভায় দিদিপশু উজ্জ্বল হইল। ঐরামের পাদমূলে বহুতর উপঢৌকন স্থাপনপূর্বক দণ্ডবং প্রণাম করিয়া সেই আরক্তলোচন রামচন্দ্রকে কহিল;—“হে জগৎপতে। ত্রিলোক-রক্ষক রাম। আমাকে রক্ষা করুন, রক্ষা করুন ; হে রাম! আপনি নিখিল জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন; আমি আপনার স্বই জড় পদার্থ ; দেবনির্ম্মিত স্বভাব অন্যথা করিতে কে সমর্থ হয় ? আপনি এই স্থূল পঞ্চভূতকে স্বভাবতঃ জড়পদার্থ করিয়াই স্বজন করিয়াছেন; ইহারা আপনার আদেশ লজন করে না। হে রাম । ভূত-সকল তামস অহঙ্কার হইতে উৎপন্ন হয়, কারণগুণে তাহাদিগেরও জড়ত্ব স্বাভাবিক। প্রভুহে। আপনি নিগুণ, নিরাকার, যখন লীলাক্রমে মায়াগুণ অবলম্বন করেন, তখন আপনার "বিরাট" সংজ্ঞা হয়। আপনার সেই গুণম্য বিরাট - রূপের সত্বাংশ হইতে সনকাদি দেবগণ, রজো গুণাংশ হইতে প্রজাপতি প্রভৃতি এবং তমোগুণাংশ হইতে ভূতপতিগণ (রুদ্র এবং পঞ্চভূতের অধিষ্ঠাত্রীদেবতা) উৎপন্ন হন। অতএব আমি (ভূতদেবতা) জড়, মূৰ্খ এবং জড়বুদ্ধি; আপনি নিগুণ হইয়াও ষে মায়াবৃত হইয়া লীলামনুষ্য হইয়াছেন,