পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৮ তাহা আমি জানিব কিরূপে ? হে শ্রেষ্ঠ ! হে প্রভো ! লগুড় প্রহার যেমন পশুদিগকে ঠিক-পথে চালিত করে, সেইরূপ দণ্ডই মূর্থ প্রাণিগণকে সৎপথে লইয়া যায়। হে ঈশ্বর ! আপনি শরণ্য ; আপনার শরণাপন্ন হইলাম। হে ভক্তবৎসল । আমাকে অভয় দান করুন । রাম হে! আমি আপনাকে লঙ্গ গমনের পথ দিতেছি ।" শ্রীরাম বলিলেন ;– "এই অমোঘ মহাবাণ কোথায় নিক্ষেপ করি ? সত্বর এই ভামোখপাতী বাণের লক্ষ্য স্থান দেখাইয়া দেও।” মহাতেজস্ব মহাসমুদ্র, রামের বাক্য শ্রবণ এবং তদীয় করে মহা-শর অবলোকন করিয়া শ্রীরামকে বলিল ;–“রাম হে! উত্তর দিকে দ্রুম-কুল্য' নামে বিখ্যাত প্রদেশ আছে, তথায় বহুতর পাপাত্মা পাস করে ; তাহারা আমাকে দিবারাত্র ক্লেশ দেয় ; সেই খানে আপনি শরক্ষেপ করুন " অনস্তর, রাম, তথায় শর নিক্ষেপ করিলে, সেই শর ক্ষণমধ্যে সমুদয় আভৗরমণ্ডলী বধ করিয়া পুনরাগমনপুর্ব্বক পুর্ব্ববং তৃণীরে অবস্থিতি করিল। অনস্তর, সাগর, সবিনয়ে রঘুবরকে বলিল, “বিশ্বকর্ম্মার পুত্র নল, আমার এই জলে সেতু করুন ; নল বানর বুদ্ধিমান এবং বরলাভ করাতে এই কার্য্যে সমর্থ লোক-সকল, নিখিল লোক-পাবনী ভবদীয় কীর্ত্তি অবগত হউকৃ” সাগর এই কথা বলিয়া রাঘবকে প্রণাম করিয়া অদৃশু হইল । অনস্তর রাম, লক্ষ্মণ ও সুগ্রীব শীঘ্র নলকে সকল বানরবৃন্দের সহিত, সেতু বন্ধন করিতে আদেশ করিলেন । অনস্তর নল, বৃহৎ বৃহৎ পর্ব্বত সদৃশাকার বানর সেনাপতিগণের সহিত একযোগে পর্ব্বত এবং বনস্পতি-নিকর দ্বারা শতযোজন বিস্তৃত বহু-পরিসর দৃঢ়তর সেতু প্রস্তুত করিতে লাগিল । i তৃতীয় অধ্যায় সমাপ্ত। চতুর্থ অধ্যায় । द्राशय, cमफू याब्रछ कब्रिहउ डेनJउ श्रेष्ठ লোক হিতার্থ তথায় রামেশ্বর শিব স্থাপনা করিলেন এবং পূজা করিয়া কহিলেন;–“যে ব্যক্তি সেতুবন্ধ দর্শন কীিয় রামেশ্বর শিবকে প্রণাম করিবে ; সে, আমার অনুগ্রহে ব্রহ্মহত্য প্রভৃতি পাপ হইতে মুক্তি লাভ করিবে । সেতুবন্ধে স্নান করিয়া ণসী হইতে গঙ্গা জল আনয়নপূর্বক তত্ত্বারা রামেশ্বরের অভিষেচন, তৎপরে সেই জলের ভার সমুদ্রে অধ্যাত্ম-রামায়ণ । নিক্ষেপ—মনুষ্য এই কার্য্য সঙ্কল্পপূর্ব্বক করিলে নিশ্চয় ব্রহ্ম লাভ করিতে পারে। শুনা যায়, প্রথম দিন চতুর্দশ যোজন, দ্বিতীয় দিন বিংশতি যোজন, তৃতীয় দিন একবিংশতি যোজন, চতুর্থ দিনে দ্বাবিংশতি এবং পঞ্চম দিনে ত্রয়োবিংশতি যোজন সেতু :ি "াণ হয় । বানরশ্রেষ্ঠ নল, এই প্রকারে সম্পূর্ণরূপে সমুদ্রে সেতুবন্ধন করে । অসংখ্য বানর এবং বানরসেনাপতিগণ তদ্বারাই সত্বর শত যোজন গমন করিয়া সুবেল পর্ব্বত অবরোধ করিল। রাম— হনুমানে, এবং লক্ষ্মণ অঙ্গদে আরোহণ করিয়া ( যাইলেন)। রাখব, লঙ্কা দর্শনাভিলাষে সেই মহা পর্ব্বতে আরোহণ করিলেন এবং দেখিলেন ;-- লঙ্কা অতিশয় বিস্তৃত ; চিত্র বিচিত্র ধ্বজপতাকা তাহাতে উদ্ভট্টীয়মান হইতেছে, ঐ নগরী বহুতর বিচিত্র প্রাসাদ, সুবর্ণময় প্রাকার, সুবর্ণময় তোরণ, পরিখা, শতঘ্নী এবং সংক্রম শ্রেণী দ্বারা বিরাজিত । এদিকে দশকন্ধর, প্রাসাদের উপর বিস্তীর্ণ স্থানে বীর মন্ত্রিগণের সহিত আসীন ; দশ মস্তকে দশ কিরীট তাহার ঔজ্জ্বল্য সম্পাদন করিতেছে ; আকার নীল পর্ব্বতের শিখর সদৃশ ; প্রভা ঘন কৃষ্ণ মেঘরাজির হ্যায় ; এবং তাহার মস্তকোপরি বহুতর রত্বদণ্ডযুক্ত শ্বেতচ্ছত্র পরিশোভিত । বানর-তাড়িত শুক রাক্ষস, রামের আজ্ঞাক্রমে বন্ধন-মুক্ত হইয়া সেই সময়ে দশানন সন্নিধানে আসিয়া উপস্থিত হইল । রাবণ হাস্য করত কহিল,—“কিহে শুক ! শত্রুরা কি তোমাকে প্রহার করিয়াছে ?” রাবণের বাক্য শ্রবণ করিয়া শুক কহিল ;–“সমুদ্রের উত্তর তীরে গিয়া আপনি যেরূপ বলিতে বলিয়াছিলেন, আমি তাহ বলিলাম। অনন্তর বানরগণ লম্ফ দিয়া উঠিল; ক্ষণমধ্যে আমাকে গ্রহণ করিল ;–অনন্তর মুষ্টিদ্বারা আঘাত করিতে, নখদ্বারা ও দস্তদ্বারা ছেদন করিতে আরস্ত করিল। তৎপরে আমি "রাম!, রক্ষা করা বলিয়া চীৎকার করিতে থাকিলে, রঘুবর বলিলেন বানরগণ । উহাকে পরিত্যাগ কর । তখন বানর. শ্রেষ্ঠগণ আমাকে পরিত্যাগ করে। অনস্তর আমি সেই বিপুল বানররাজ সৈন্ত অবলোকনে ভীত হইয়া আসিয়া উপস্থিত হইলাম। যেমন দেব দানবগণের সন্ধি হওয়া অসম্ভব, সেইরূপ রাক্ষস সৈন্য ও বানরসৈন্যগণের সন্ধি হওয়া অসম্ভব। বানরগণ, নগরের প্রাকার সন্নিধানে জাসিয়া উপস্থিত । প্রভো! হয় শীঘ্র রামকে সীতা প্রত্যুপণ করুন ; না হয় যুদ্ধ করুন; ইহার যাহা হয়, একটা শীঘ্রই করিতে হইবে। আমাকে রাম বলিয়াছেন ; শুক । রাবণকে আমার