পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাণ্ড । পারেন না। হে দেব ! যখন তুমি মায়া-সাহায্যে ক্রীড়া কর, তখন আর কিছুমাত্র বিরোধ নাই, “তুমি নিরাকার এবং সাকার", এই দ্বিবিধ শ্রুতি দ্বারা বিরোধ হইতেছিল ; কিন্তু তোমার প্রমাঙ্গে নিশ্চয় হয় যে, তুমি মায়া-আশ্রয়ে সাকার এবং বস্বতঃ নিরাকার ; অতএব আর বিরোধ নাই ; যেমন ভ্রমবশতঃ হুর্ধ্যরশ্মি-জাল জলের স্থায় বোধ হয়, অর্থাৎ যেমন মরীচিকায় জলভ্রম হয়, হে রাম । সেইরূপ ভ্রমজ্ঞানবশতঃ তোমাতে সমস্ত জগৎ কল্পিত হয় ; হে দেব ! তোমার নিগুণ পরম রূপ মনের আগোচর ; * হে দেব ! তাহ দৃশু হুইবে কিরূপে দৃষ্ঠ না হইলেই বা ভজন করিবে কি প্রকারে ? অতএব ভূমণ্ডলে যে সকলরূপে অবতীর্ণ হইয়াছ, বুদ্ধিসম্পন্ন নিপুণব্যক্তিগণ, সেই সমস্ত রূপ ভজনা করেন এবং তদ্বরাই ভব সমুদ্র উত্তীর্ণ হইয় থাকেন । কাম ক্রোধ প্রভৃতি অনেকেই—সেই ভজনার শত্রু । মার্জারগণ যেরূপ মূর্ষিককে ভয় দেখায়, সেইরূপ ঐ সকল শত্রগণ চিত্তকে ভয় প্রদর্শন করে , নিত্য যাহারা তোমার নামস্মরণ ও মনে মনে তোমার রূপ স্মরণ করেন, যাহার তোমার পূজাকার্য্যে আসক্ত ; র্যাহাদিগের চিন্তু তোমার কথামৃত-পানে তৎপর এবং র্যাহার তোমার ভক্তগণের সহিত সঙ্গ করিয়া থাকেন, রাম হে ! সংসার-সমুদ্র তাহাদিগের পক্ষে গোম্পদ-তুল্য। অতএব আমি, তোমার সগুণ রূপ সর্ব্বদা হৃদয়ে ধ্যান করিয়া জীবন্মুক্ত ; সুতরাং সকল দেবগণের পুজ্য হইয়া ত্রিলোক বিচরণ করি । হে রাম ! দেবগণের হিতাভিলাষে কুম্ভকর্ণ বধ করিয়া তুমি মহৎ কার্য্য করিলে ; হে প্রভো ! অদ্য ভুভা; গতপ্রায় হইল । সৌমিত্র আগামী কলা অর্থাৎ সত্বর রণস্থলে ইন্দ্র জংকে বধ করিবেন। তুমি রাম, পরশ্ব —অর্থাং তৎপরে দশাননকে নিহত করবে। হে দেবেশ ! আমি সিদ্ধগণের সহিত নভো মগুলে অবস্থিত থাকিয়া সকলই প্রত্যক্ষ করিতেছি । হে দেব ! আমায় অনুগ্রহ করুন ; আমি মুরালয়ে সুমন করিব।” এই বলিয়। ভগবানু নারদ ঋষি, ঐরামচন্দ্রের সহিত সন্তাষণ করিয়া নির্ম্মল ব্রহ্মলোক্টে গমন করিলেন ; তখন দে গণ র্তাহাকে পূজা করিতে লাগিলেন। রাবণ অক্লিষ্ট-কর্ম্ম রামের হস্তে মহাবল ভ্রাতা কুস্তকর্ণকে নিহত হইতে

  • ड्रबि दिखक भानत्र नृथ् ।। ३श शैकनिषड ঠের অনুবাদ ।

چاہ لا শ্রণ করিয়া শোক-সপ্তপ্ত হইল; এবং মুছিন্ত रहैश फूउरण भउिउ श्रेन । लेर्लिङ्गा नानातेिष বিলাপ করিতে লাগিল;-ইস্রজিৎ, পিতৃব্যের নিধন এবং তজ্জন্ত পিতার অতীব কাতরতা সংবাদ শ্রবণ করিয়া পিতৃ-সন্নিধানে আসিল; এবং শোকার্ত্ত পিতাকে বলিতে লাগিল, “হে মহামতে । শোক পরিত্যাগ করুন। হে মহামতি দেবহন্ত৷ রাজেন্দ্র ! আমি মহাবল মেঘনাদ ; আমি জীবিত থাকিতে আপনার দুঃখের অবসর কোথায় ? আপ. নার সমুদায় দুঃখ বিনষ্ট হউক ; হে মহীপতে । আপনি সুস্থ হউন। সকলকে আমাদিগের সম দুঃখ-ভাগী করিব। আমাদিগের যেমন প্রধান প্রধান আত্মীয় নাশে দুঃখ হইয়াছে, শত্রুদিগের প্রধান প্রধান আত্মীয়বিনাশ করিয়া, এইরুপ দুঃখ উৎপাদন করিব। আমি শক্রগণকে বধ করিব। এখনই নিকুস্তিল যজ্ঞাগারে গমন করিয়ু সদ্যঃ অগ্নিদেৰকে তৃপ্ত করি, অনস্তর তাহার নিকট সংগ্রামিক রথদি প্রাপ্ত হইয়া যুদ্ধ করিলে, যুদ্ধে শক্রগণের অজেয় হইব ।" এই বলিয়া সত্বর পূর্ব্বোক্ত যজ্ঞাগারে গমন করিল ; পরে রক্ত-মাল্য, রক্ত-বসন পরিধান ও রক্তচন্দন-অনুলেপন করিয়া মৌনাবলম্বনপূর্বক নিকুণ্ডিল যজ্ঞশালাতে হোম করিতে আরম্ভ করিল। এদিকে বিভীষণ চর-মুখে মেঘনাদের কার্ধ্য শুনিয়া দুরা মেঘনাদের হোম আরস্তু-সম্বন্ধে সকল কথা রামকে বলিল ; এবং কহিতে লাগিল ;–“হে রাম ! যদি ইতি মেঘনাদের এই হোম সমাপ্ত হয়, তাহ। হইলে, মেঘনাদ মুরাসুরের অজেয় হইবে । অতএব আমি শীঘ্র লক্ষ্মণ দ্বারা রাবণিকে নিপাতিত করিব । বলিশ্রেষ্ঠ লক্ষ্মণকে আমার সহিত যাইতে আদেশ করুন। আপনার অনুজ, নিশ্চয়ই মেৰনাদকে বধ করিতে পারবেন।” ঐরাম কহিলেন;– “শত্রু ইস্রজিৎকে নিখিল-রাক্ষস-বিনাশী আগ্নেয় অস্তুদ্বারা নিহত করিতে আমিই গমন করিব।” বিভীষণও তাঁহাকে বলিল ;–“এই ইস্রজিং অন্তের বধ্য নহে ; ষে ব্যক্তি দ্বাদশ বৎসর আহার নিদ্রা বর্জিত ; তাহার হস্তে এই দুরাত্মার মৃত্যু ; ব্রহ্ম৷ স্থির করিয়া দিয়াছেন। হে রাজেন্দ্র । রঘুবর : লক্ষ্মণ, আপনার সহিত অযোধ্যা হইতে নিৰ্গত হইয়া-অবধি, পাছে আপনার সেবার ত্রুটি হয়, এইজন্ত তাহার নিদ্রা প্রভৃতি কাহাকে বলে জানেন না। এই সমস্তই আমি অবগত আছি । হে দেবেশ । সত্বর লক্ষ্মণকে তামার সহিত যাইতে আজ্ঞা দিন। লক্ষ্মণ, সাক্ষাং ধরণীরধর অনন্ত ;