পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ; : >> 9 হস্ত হইতে ক্রব কাড়িয়া লইয়া তারাই তাহাকে (আত্মা বলিয়া জ্ঞান ), অজ্ঞান হইতে উৎপন্ন। প্রহার করিতে লাগিল। বানরগণ, দন্ত ও কাষ্ঠস্বারা তাহাই স্ত্রী-পুত্রাদি-সম্বন্ধের মূল; সেই সম্বন্ধ রাবণকে ইতস্ততঃ জাঘাত করিতে লাগিল। রাবণ, হইতেই সংসার। হর্ষ, শোক, ভয়, ক্রোধ, লোভ, এইরূপ আহত হইয়াও বিজিগীষাবশতঃ ধান মোহ ও কামনা প্রভৃতি (বুদ্ধি ধর্ম্মসকল) এবং জন্ম, পরিত্যাগ করিতে পারিল না। অতিশয় বেগবান মৃত্যু ও জরা প্রভৃতি ( দেহ ধর্ম্মসকল ) এতৎসমস্ত অঙ্গদ, অন্তঃপুর-গৃহে প্রবেশপূর্ব্বক কেশমুষ্টি ধারণ (আত্মার বলিয়া বুঝা ) অজ্ঞানমূলক। আত্মা করিয়া অনাথার ন্যায় রোরুদ্যমান শুভ মন্দোদরীকে একমাত্র, শুদ্ধ, ভূতাদির অতিরিক্ত, নিলেপ, রাবণেরই সম্মুখে আনয়ন করিল। অঙ্গদ তাহার রত্না- আনন্দরূপ এবং জ্ঞানময় ;—মুখ দুঃখ প্রভৃতি কোন লঙ্কত কণুক , কঁচুলি ) ছিড়িয়া দিল। অন্যান্ত রত্ব ভাবই ইহঁতে নাই; এই নিত্য বস্তুর কাহারও নিকরের সহিত মুক্তাসকল,তাহ হইতে বিশ্লিষ্ট হইয়া সহিত সংযোগ বা বিয়োগ নাই। হে অনিশিন্তে । চতুর্দিকে নিপতিত হইল। রত্নবিচিত্রিত মেখলাছিন্ন স্বীয় আত্মাকে এইরূপ জানিয়া শোক পরিত্যাগ হইয়া নিপতিত হইল। রাবণের সমক্ষেই কটিদেশ কর । আমি এখনই যাই ;–রাম ও লক্ষ্মণকে বধ হইতে নাপিবন্ধ শিগ্গিল হইয়া পড়িল ; এবং অন্যান্ত করিয়া প্রত্যাগমন করিব; নতুবা ঐরাম বজ্র তুল্য সকল ভূষণই চতুর্দিকে পতিত হইল। আর আর নিজ শর-নিকরে আমাকে বিদীর্ণ করবেন ; তাহা বানরগণ চষ্টচিত্তে (রাবণপত্নী) দেবকন্যা এবং গন্ধর্ব্ব হইলে আমি তদীয় স্থান প্রাপ্ত হুইব । হে প্রিয়ে! কন্যাদিগকে হোমস্থানে আনয়ন করিল। অনস্তর আমি আজ্ঞা করিতেছি সাভাকে বধ করিয়া আমার মন্দোদরা রাবণের সম্মুখে অত্যন্ত রোদন করিতে সমুদায় প্রেতকার্য্য তুমি করিবে ; অথবা আমার লাগিল এবং কাতর হইয় করুণস্বরে বিলাপ করত ( মৃত শরীরের ) সহিত অগ্নিতে প্রবেশ করিবে ।” দশাননকে বলতে লাগিল, তুমি একেবারেই নিল জ (মন্দোদরী ) রাবণের এবংবিধ বাক্য শুনিয়া হুইয়াছ ; তোমারই সম্মুখে শত্রুগণ, তোমার অতি দুঃখিতভাবে বলিতে লাগিল ;–“হে নাথ ! ভার্য্যার কেশপাশ ধরিয়া আকর্ষণ করিতেছে ; তথাপি আমার সত্য বাক্য শ্রবণ কর এবং তদনুসারে কাজ তুমি কি না হোম করিতেছ ; লজ্জিত হইতেছ না। কর । তুমি বা অপরে রান্ধবকে কখনই জয় করিতে পাপাচার শত্রুগণ,—সমক্ষে, যাহার ভার্য্যাকে প্রহার পরিবে না; রাম—সাক্ষাৎ দেববর ( পরমেশ্বর ); করে, তাহার সেইখানেই মরা উচিত ; জীবন ইনি প্রকৃতি এবং পুরুষগণের নিয়ন্ত ভস্থ, বং, অপেক্ষ তাহার মরণ ভাল ; হ৷ মেঘনাদ! কি সল প্রভু রাখব, পুর্ব্বকল্পে মংস্যরূপে অবতীর্ণ খেদের বিষয়, তোমার জননীকে বানরগণে ক্লেশ হইয়। বৈবস্বত মনুকে সকল বিপত্তি হইতে রক্ষা দিতেছে। তুমি জীবিত থাকিলে আমাকে কি এতা করেন। এই রাম, পূর্বে লক্ষ যোজন বিস্তৃত দুখ দুঃখভোগ করিতে হইত ? আমার স্বামী জীব- কুর্ম্মরূপ গ্রহণ করেন এবং সমুদ্র মন্থনকালে নের তাশায়,পত্নী এবং লজ্জা পরিত্যাগ করিয়ছেন " পৃষ্ঠে করিয়া সুবর্ণ পর্ব্বত ধারণ করিয়াছিলেন । এই রাজা দশানন মন্দোদরীর সেই বিলাপ-বাক্য মহাত্মা কোন সময়ে পৃথিবী উদ্ধার কারবার জন্য প্রবণ কৰিয়; “দেবীকে পরিত্যাগ কর” এই কথা ; বরাহ-শরীর ধারণ করিয়া হিরণ্যাগ অম্বরকে নিহত বলিতে বলিতে খড়গ গ্রহণপূর্বক উত্থিত হইল ; ; করেন । রঘু-নন্দন, পূর্ব্বকালে নরসিংহমূর্ত্তি অব. এবং নির্ভয়ে অঙ্গদের কটিদেশে প্রহার করিল। লম্বন করিয়া ত্রিলোক-কণ্টক হিরণ্যকশিপু দৈত্যকে অনন্তর বানাসকল ( এইরূপে ) সেই মহৎ বধ করেন। এই রঘুবরই ত্রিপাদে রিজগৎ হোম-কার্য্য ধ্বংস করিয়া (মন্দোদরী প্রভৃতিকে ) ; অধিকার ও বলিবন্ধন করিয় ভৃত্য দেবরাজকে পরিত্যাগপূর্বক প্রস্থান করিল। সকলেই আনন্দে (ত্রিজগৎ ) দান করেন। রাক্ষসগণ ক্ষত্রিয়রুপে রাম পার্শ্বে আসিয়া অবস্থিত হইল। এদিকে বাসণ, -জমিয়াছিল ; তাছাতে পৃথিবী অতি ভারাক্রান্ত হয় । ভার্য্যাকে সন্থন করত বলিতে লাগিল ;–“ভন্দ্রে ! পরশুরাম রূপে বহুলার তাহাদিগকে নিহত করিয়া এসমস্ত ঘটনাই দৈবায়ন্ত । বাচিয়া থাকিলে কি না । জয়-লব্ধ ভূমণ্ডল মুনিবর কতৃপকে প্রদান করেন। দেখা যায় । হে বিশাল-নয়নে ? নিশ্চিত জ্ঞান | সেই পরাৎপরই রঘুশ্রেষ্ঠ ; তিনিই আপনাকে অবলম্বন করিয়া শোক পরিত্যাগ কর । শোকের ; বধ করিতে সম্প্রতি রঘুকুলে জন্ম পরিগ্রহ করত { ! উৎপত্তি অজ্ঞান হইতে ; শোক, জ্ঞানকে বিনষ্ট মনুষ্য-ভাব প্রাপ্ত হইয়াছেন। আসার পুত্র না৭ে: করে ; শীর প্রভৃতি আত্ম-ভিন্ন বস্তুতে অহংজ্ঞান ; জন্য এবং আপনার নিজের মৃত্যুর জন্য কেনই দ।