পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ পূর্ণ সুসজ্জিত নগরে গমন করিলেন,সেই সকল নগরবাসিগণ আবার রাঘবকে আসিতে দেখিল। অতিশয় পুণ্যবান প্রজাগণ মহাৰ্হ কিরীট ও রত্নাভরণে আবৃত. দেহ, কারুণ-কমল-বিশাল-লোচন, বিচিত্র ত্ব-স্বত্রগথিত পীতাম্বর-পরিধান, পীন-বাহু পীবর-বক্ষঃস্থল, বহুমূল্য মুক্তার উৎকৃষ্ট হারে সুশোভিত, সুগ্রীব প্রভৃতি প্রশান্ত বানরগণে সেবিত, স্থর্য্যসম জ্যোতিঃ, কস্তরিক ও চন্দনে অনুলিপ্ত দেহ, কল্প-বৃক্ষ পুপ মাল্যধারী দূর্ব্বাদল গুমিল রঘুনন্দনকে অবলোকন করিয়া আনন্দিত হইল। রাম আসিয়াছেন শুনিয়া, মানন্দাবেগে রমণীগণের, মুখ শ্রী উজ্জ্বল হইল ; তখন তাহার' আরব্ধ গৃহকার্য্য সকল পরিত্যাগभू#क खेख्ग क्लष५ जूबिउ शहैग्न थामीटनाश्रब्रि আরোহণ করিল। র্যাহার মূর্ত্তি নিখিল-জন-নয়নের উৎসবজনক, সেই হরিকে দেখিবামাত্র তাহার ঈযং হাস্যযোগে রুচিরন্সদন হইয় তাহার প্রতি কুসুম বর্ষণ করিতে লাগিল এবং নয়ন-মনের রসায়ন স্বরূপ আত্মারাম-মূর্ত্তি রামকে নয়ন ও মনের দ্বার পুনঃ পুনঃ আলিঙ্গন করিতে লাগিল। দ্বিতীয় রন্ধর ন্যায়, প্রভু শ্রীহরি রাম, ঈষৎহাস্য সহকারে স্নেহ দর্শনে প্রজাগণকে অবলোকন করিতে করিতে মহেন্দ্রভবন সদৃশ মুসজ্জিত পিতৃগৃহে শনৈ: শনৈঃ গমন করিলেন । কুলধ্বজ প্রভু রাম, তথায় প্রবেশ করিয়া গৃহস্তরে গমন করিলেন ; সেই স্থানে পূর্ব্বাগত নিজজননীর চরণযুগল সহৰ্ষে বন্দন করিলেন ; এবং ক্রমে ক্রমে সকল বিমাতাদিগকেই ভক্তিসহকারে প্রণাম করিলেন। অনস্তর, সত্যপরাক্রম রাম, ভরতকে বলিলেন;–“সকল সম্পত্তি-পূর্ণ—আমার উৎকৃষ্ট বাসভবন বানর-রাজ সখা সুগ্রীবকে থাকিতে দাও ; এবং অন্যান্য সকলে যাহাতে সুখে বাস করিতে পারে, এইরূপ গৃহ সকল নির্ম্মাণ করাইয়া দাও!” ভরত, রাম কর্তৃক এইরূপ আদিষ্ট হইয়া প্তাহাই করিলেন এবং মহাতেজ রাত্ববানুজ ভরত সুগ্রীবকে বলিলেন;–"ক্ররামের অভিষেকার্থ— মঙ্গল-জনক চতুঃসমুদ্রজল আনয়ন করিতে দ্রুতগামী দূত সকল প্ররণ কর।” সুগ্রীব-জাম্ববান, পবন নন্দন, অঙ্গদ ও সুষেণকে পাঠাইল; তাহারা বায়ুবেগে গমনপূর্বক হুবর্ণ-কলশ সকল জলপূর্ণ করিয়া আনয়ন করিল। “রাধবের অভিষেক্ষার্থ তীর্থজল আনীত । হইয়াছে, মন্ত্রিগণের সহিত শক্রয় এই কথা বসি । ১কে নিবেদন করিলেন। অনন্তর, সংযমী বুদ্ধ বমিষ্ঠ, ব্রাহ্মণগণের সহিত মিলিত হইয় সীতা-সমেত রামকে রত্নময় পীঠে বসাইলেন। বসিষ্ঠ, বামদেব, অধাত্ম-রামায়ণ । জাবালি, গৌতম ও বাল্মীকি—ইইারা সকলে ঐরামের অভিষেক কার্য্য সম্পাদন করিলেন। বসুগণ, যেমন, বাসবকে অভিষিক্ত করিয়াছিলেন, সেইরূপ তাহার কুশাগ্র ও তুলসীদলযুত পবিত্র গন্ধজল ও সর্ব্বৌষধিজল দ্বারা রঘুবরকে সহৰ্ষে অভিষিক্ত করি লেন। ঋত্বিগ,গণ, শ্রেষ্ঠ-ব্রাহ্মণগণ, কুমারীগণ ও মন্ত্রিগণ,ৰ্তাহাদিগের সহকারী হইল ; তখন দেবগণ ও লোকপালগণ,অনুচরগণের সহিত আকাশে অবস্থিত হইয়া ঐরামের স্তব করিতে লাগিলেন। শত্রুঘ্ন, র্তাহার শুভ্রবর্ণ শুভচ্ছত্র ধারণ করিলেন ; সুগ্রীব ও রাক্ষসরাজ, শ্বেতচামরযুগল ধারণ করিল ; বায়ু, ইন্দ্রের প্রেরিত হইয়া কাঞ্চনময়ী মালা তাহীক অপর্ণ করিলেন ; আর স্বয়ং ইন্দ্র, সর্ব্বরত্ব-খচিত । মণিহেম-শোভিত একছড়া হার, নরনাথকে ভক্তিভাবে প্রদান করিলেন । দেবতা ও গন্ধর্ব্বগণ গান করিতে লাগিল ; অপরা বৃন্দ, নৃত্য করিতে লগিল ; দেবলোকে দেববৃন্দুভি বাজিয়া উঠিল ; গগনমণ্ডল হইতে পুষ্প-বৃষ্টি হইতে থাকিল। তখন নবদূর্ব্বাদলগুাম-কমলদল-বিশাল লোচনকোটি-সূর্য্য-সমুজ্জ্বল-কিরীট দ্বারা বিরাজমান, কোটি কন্দৰ্প কমনীয়, পীতাম্বর-পরিধান-উৎকৃষ্ট-ভূষণভূষিত, দিব্য-চন্দনে অনুলিপ্ত অযুত-ভাস্কর-জ্যোতি, দ্বিভূজ রঘুনন্দন-সর্ব্বালঙ্কার-শোভিত অরুণ-কর-কমলা নিরতিশয় শোভা-সম্পন্না নিজবাম-ভাগে সুন্দরক্রোড়ে আসীনা সুবর্ণবর্ণী সীতাকে বাম বাহুদ্বারা আলিঙ্গন করিয়া অবস্থিত রহিয়াছেন দেখিয়া সকল দেবগণে পরিবৃত শঙ্করী-মিলিত দেব শঙ্কর, রঘুনন্দন রামকে ভক্তিভাবে স্তব করিতে আরম্ভ করিলেন । মহাদেব কহিলেন ;–নীলোৎপল-স্যামল, কোমলকায়, কিরীট-হার-কেয়ুরু-ভূষিত, সিংহাসনে অবস্থিত, মায়া-শক্তি-সঙ্গত মহাপ্রভ রামকে নমস্কার । “আদিমধ্য-অন্তহীন একমাত্র তুমিই নিজ মায়াগুণে লোকসমুহের স্বজন পালন সংহার করিয়া থাক। কিন্তু মায়াগুণে লিপ্ত হওনা; কারণ তুমি বিশুদ্ধ স্বরূপ, নিরস্তর নিজ আনন্দে নিমগ্ন ; তুমি, শরণাগত ভক্তগণের মুক্তিদানের জন্য গুণসমূহে সংবৃত হইয়া দেব মনুষ্য প্রভৃতি নানাবিধ অবতারে লীলা প্রকাশ করিয়া থাক। কেবল জ্ঞানিগণ, নিত্যই তোমার স্বরূপ অবগত আছেন। নিজ অংশে লোক সকল বিধান করিয়া তাহার অধোদেশে অবস্থিত-ফর্ণিরাজ-রূপে তাহা ধারণ করিতেছ, চন্দ্র, স্বর্য্য, বায়ু, ওষধি ও মেম্বরূপে নানাপ্রকারে এই জগতের উৰ্দ্ধ অধোভাগ রক্ষা করিতেছ।