পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○と。 অধ্যাত্ম-রামায়ণ | লোক পর্য্যটন করত অবস্থিত ছিল। মহারাজ ! করিয়াছিল। এইজন্যই কেবল তোমার হস্তে নিহত অতি বুদ্ধিমানূ রাবণ, এইজন্য তোমার হস্তে নিজ নিধন কামনা করিয়া জানকী দেবীকে হরণ করিয়াছিল । যে ব্যক্তি সর্ব্বদা এই কথা শ্রবণ বা পাঠ করে, অথবা শ্রবণেচ্ছু ব্যক্তিগণকে শ্রবণ করায়, সে দীর্ঘ মায়ু, আরোগ্য, অনন্ত সুখ অক্ষয় ধন এবং অন্যান্য সম্পত্তিলাভ করে । তৃতীয় অধ্যায় সমাপ্ত ! চতুর্থ অধ্যায়। রাবণ, ত্রিলোক পর্য্যটন করিয়া বেড়ায় ; একদা নারদমুনিকে ব্রহ্মলোক হইতে আসিতে দেখিয়া প্রণামপুর্ব্বক এই কথা বলিল ;–“ভগবন্‌ ! আপনি ত্রিজগতের অভিজ্ঞ ; আমার সহিত যুদ্ধ করিতে সমর্থ মহাবল পরাক্রান্ত ব্যক্তিগণ কোথায় আছে— বলিয় দিন । আমি বলশালী ব্যক্তিগণের সহিত যুদ্ধ করিতে ইচ্ছা করি"। মুনি অনেকক্ষণ চিন্তা করিয়া বলিলেন ;—“শ্বেতদ্বীপ-নিবাসিগণ মহাবলপরাক্রান্ত ও মহাকায় ; হে মহামতি ! তথায় গমন কর। যাহারা বিষ্ণুপুজনে নিরত এবং যাহারা বিষ্ণুকর্তৃক নিহত, সেখানে তাহারাই উৎপন্ন হয় । তত্রত্য লোক সকল মুরাসুরগণের অজেয়"। রাবণ, তাহ শুনিয় তাহাদিগের সহিত যুদ্ধ করিবার অভিলাষে বেগে মন্ত্রিগণের সহিত পুপকারোহণে, শ্বেতদ্বীপ, সমীপে গমন করিলে শ্বেতদ্বীপ-প্রভায় পুপকের তেজ বিনষ্ট হইল। পুষ্পক সেই স্থান হইতে আর অগ্রসর হইল না। তখন দশানন,—মন্ত্রিগণ ও পুপক পরিত্যাগ করিয়া পদব্রজে একাকী গমন করিল। রাবণ, দ্বীপে প্রবিষ্ট হইবা মাত্র, একজন রমণী তাহার হস্ত ধারণ করিল এবং জিজ্ঞাসা করিল ;—“তুমি কে ? কোথা হইতে আসিয়াছ ? কেই বা তোমাকে পাঠাইল ?" অনেক গুলি রমণী লীলাসহকারে হাসিতে হাসিতে পুনঃ পুনঃ বলিতে লাগিল “বল”। দশানন, অতি কষ্ট্রে সেই সকল । স্ত্রীলোকের হস্ত হইতে মুক্ত হইল। দুর্ম্মতি রাবণ, g i t o *

;

i i ! | | হইবার ইচ্ছায় হরণ করিয়াও সীতাকে মাতৃভাবে রক্ষা করিয়াছিল। রাম, তুমি বিজ্ঞান-চক্ষুঃ ত্রিকালদশী অভ্রান্ত পরমেশ্বর ; ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্ত্তমান সকলই অবগত আছ । হে ঈশ ! তুমি ত্রিলোক পূজিত হইয়াও ভক্ত গণের অনুসরণীয় পথ দেখাইবার জন্য মনুষ্যরূপে কর্ম্মসকল সম্পাদন এবং অম্মাদৃশ মুনিগণের বাক্য শ্রবণ করত বিরাজ করিতেছ” । কুন্তযোনি এইরূপে শ্রীরামের স্তব করি লেন। পরে শ্রীরামকর্তৃক পূজিত হইয়া মুনিগণের সহিত ঈষ্টচিত্তে স্বীয় আশ্রমে গমন করিলেন। রমাপতি রাম, ভ্রাতৃগণ ও মন্ত্রিগণে পরিবৃত হইয়া সংসারীর ন্যায় সীতার সহিত আমোদ প্রমোদ করত গৃহে বাস করিতে লাগিলেন। বিষয়ে আসক্ত না হইলেও হনুমৎপ্রমুখ সাধু বানরগণে পরিবৃত হইয়া প্রিয়ার সহিত বিষয় ভোগ করিতে লাগিলেন । একদা মহাপ্রভু ঐরামের নিকট পুষ্পক, পুর্ব্ববৎ উপস্থিত হইল, এবং বলিল ;–“দেব ! তুমি প্রথমে আমার নিকট হইতে রাবণের জয় লব্ধ হও, পশ্চাৎ রামের জয় লব্ধ হইয়াছ ; অতএব যত কাল ঐরাম ভূতলে অবস্থিতি করিবেন, ততকাল নিত্য তুমি র্তাহাকে বহন করিবে। পরে রঘুবর যখন বৈকুণ্ঠগমন করবেন,তখন আমার নিকট প্রত্যাগত হইও, কুবের আমাকে এই কথা বলিয় আপনার নিকট পাঠাইয়া দিয়াছেন”। রাঘব তাহ শুনিয়া সেই স্থর্য্য-সম-প্রভ পুষ্পককে বলিলেন ;—তোমার মঙ্গল হউক ; আমি যখন তোমাকে স্মরণ করিব, তখন আমার নিকট আসিও এখন আমার আদেশে অস্তহিত হইয়া অবস্থান কর; এবং ইচ্ছামত সকল স্থানে ভ্রমণ করিয়া বেড়াও", এই কথা বলিয়া তাহাকে বিদায় দিলেন। রামচন্দ্র, ভ্রাতৃগণ ও মন্ত্রিগণে পরিবৃত হইয়া ন্যায়ানুসারে পেীরগণের সমস্ত কার্য্য করিতে লাগিলেন । রমাপতি লোকনাথ রাঘব, পৃথিবী শাসন করিতে থাকিলে বসুমতী শস্যশালিনী এবং তরুনিকর ফল-পূর্ণ হইল। শ্রীরাম,রাজা হইলে জনগণ ধর্ম্ম-নিরত, রমণী গণ পতিভক্তিপরায়ণ হইল এবং কেহ পুত্রশোক পায় তখন অত্যন্ত আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া চিন্তা করিতে | নাই। সীতা-সমেত প্রভু রাখব, বানরগণ ও ভ্রাতৃ লাগিল; এবং নিশ্চয় করিল —“আমি বিষ্ণুকর্তৃক নিহত হইয়া বৈকুণ্ঠে গমন করিব, অতএব বিষ্ণু আমার প্রতি যাহাতে কুপিত হন, আমি সেই কার্য্য করিব ; ইহা নিশ্চয় করিয়াই সেই সুর-বৈরী অরণ্য মধ্যে বিদেহ নন্দিনীকে হরণ করে । সে, আপনাকে পরমাত্মাবলিয়া জানিয়াই ধরণি-সস্তৃতা সীতাকে হরণ গণের সহিত বিমানশ্রেষ্ঠ পুষ্পকে আরোহণ করিয়া পৃথিবী বিচরণ করতেন। তিনি পৃথিবীতে বহুতর অলৌকিক কার্য্য করিয়াছিলেন। এক ব্রাহ্মণের বালকপুত্র অস্কালে মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিল, তজ্জন্ত ব্রাহ্মণকে শোক করিতে দেখিয়া পর মহামতি রাম, বনমধ্যে শূদ্র তাপসকে নিহত করিয়া ব্রাহ্মণবালককে