পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ーセー সমীপে গমন করিলেন সীতাও অতি অজ্ঞানের স্বায়ু দুঃখ-সন্তপ্ত চিন্তে বিলাপ করিতে লাগিলেন ; ; দিব্য-দশী বাল্মীকি শিষ্য-মুখে রমণীর বিলাপ-বার্তা শুনিয় তাহাকে সীতা বলিয়া বুঝিলেন ; এবং সেই জনক নন্দিনীকে অৰ্ঘ্যাদি দ্বারা পূজা করিয় ভবিষ্যৎ । তাহাকে আশ্বাসিত করি । o, বৃত্তান্ত অবগত থকাতে, লেন এবং মুনিপীগণের হস্তে কঁহাকে সমপর্ণ। করিলেন । সেই সমস্ত রমণীগণ, বাল্মীকির কথায় তাহাকে পরমায়ু বিষ্ণুর লক্ষ্মী জানিয়া দিন দিন । ভক্তি সহকারে পুজা ও সাদরে সবিনয়ে তাহার । সেবা করিতে লাগিল। মুনিগণ র্যাহা চরণ যুগল । বর্ত্তনশীল ;–ইহা পণ্ডিতগণ , বলিয়া অজ্ঞানই এই সংসারের মূল কারণ ; সংসার নিবৃত্তি সেবা করেন, সেই পরমায়, বিজ্ঞান-নেত্র, কেবল, আদি, দেব রাম সীতাবিরহবশত: বিরাগ যুক্ত হইয়া সমস্ত ভোগ পরিত্যাগ পুর্ব্বক মুনিগণের অজ্ঞান বিনষ্ট করিতে সবিশেয পটু ; কর্ম্ম হইতে অজ্ঞান বিনষ্ট হয় না; যেহেতু, কর্ম্ম অজ্ঞান হইতে উৎপন্ন এবং বিদ্যার বিরুদ্ধ বলিয়া কথিত । কর্ম্ম হইতে অজ্ঞান নাশও হয় না, রাগক্ষয়ও হয় না, কেবল তাহা হইতে নানাবিধ দোযাত্রান্ত কর্ম্মজাল উদ্ভূত হয়। তাহা হইতে আবার অনিবারিত সংসার ; শ্রীমহাদেব কহিলেন –অনন্তর রঘুর, ত্রিভু । ব্রত ধারণ করিলেন । , চতুর্থ অধ্যায় সমাপ্ত পঞ্চম অধ্যয় । রাম-গীত৷ বনের আনন্দ যাহার অধীন, সেই আনন্দ —স্বরূপ গণের আচরিত কার্য্য—শ্রেষ্ঠ রাজর্ষিগণ যেরূপে পালন করিয়া গিয়াছেন, তদনুসারে পালন করিতে লাগিলেন। রঘুনন্দন রাম, উদার-বুদ্ধি সেমিত্রিকর্তৃক জিজ্ঞাসিত হইয়া পুরাতন শুভকথা বলিলেন ; এবং প্রমন্ত নুগরাজের ব্রহ্মশাপে তির্য্যগ যোনি প্রাপ্তির কথা বলিলেন। লক্ষ্মী র্যাহার পাদপদ্ম সেব করেন, সেই প্রভু শ্রীরাম একদিন, নির্জনে উপবিষ্ট আছেন, এমন সময়ে বিশুদ্ধান্তঃকরণ সেমিত্রি, ভক্তি অধাতু-রামায়ণ তনয়ের সেই সকল কথা শুনিয়া অজ্ঞানান্ধকার-শাস্তির জন্তু প্রসন্নচিত্তে বেদবোধিত বিজ্ঞান উপদেশ করিতে লাগিলেন ;–“প্রথমে স্বীয় বর্ণ ও আশ্রমোচিত ক্রিয়-কলাপ করিয়া শুদ্ধচিত্ত হইলে পর এবং ঐ ক্রিয়াকলাপ অনুষ্ঠানপূর্বক শমদমাদি সাধন লাভ হইবার পর সন্ন্যাস করিয়া আত্মা-তত্ত্বজ্ঞানের জন্য সদৃ গুরু আশ্রয় করিবে । পুর্ব্বজন্মে অনুষ্ঠিত ধর্ম্মাধর্ম্ম, শরীরোৎপত্তির হেতু ; তাহাতে অনুরাগী ব্যক্তির শাস্ত্রপ্রসিদ্ধ সুখ-দুঃখ-জনক ধর্ম্মাধর্ম্ম হইয়া থাকে, তদ্বারায় পুনরায় শরীর গ্রহণ, পুনর্ব্বার ধর্ম্মাধর্ম্ম এইরুপ সংসার চক্রবং পরি থাকেন । , করিতে হইলে অজ্ঞানকে বিনষ্ট করা বিধি ; বিদ্যাই তাতএব পণ্ডিত ব্যক্তি জ্ঞান-বিচারে তৎপর হইবেন। বলি ;–বিদ্যা যেমন মুক্তির সাধন,বেদাদি শাস্ত্র বিহিত ক্রিয়াও ত তদ্রুপ । কেন پيتخت দ্বারা উত্তম রামায়ণ কীর্ত্তি স্থাপন করিয়া পূর্ব্বপুরুষ না ক্রিয়া শরীরগণের অবশ্য-কর্ত্তব্য বলিয়া নির্দিষ্ট ; অতএব তাহ বিদ্যার সাহায্য করিয়া থাকে । কর্ম্ম না করিলে যে দোষ হয়, একথা বেদে কথিত আছে। অতএব মুমুক্ষু ব্যক্তিও সর্ব্বদা কর্ম্ম করিতে থাকিবে। বলিতে পার ;–মুক্তিরূপ অক্ষয় ফলজনক বিদ্যা কাহারও অধীন নহে, মনে মনেও অন্য কাহারও অপেক্ষ রাখে না। কিন্তু তাহা ঠিক নহে ; কেন না যেমন যাগ যজ্ঞ অক্ষয়. ফলজনক হইলেও প্রযাঙ্গাদি অঙ্গ ও দেশকাদির অপেক্ষা করে, পূর্ব্বক তাহাকে প্রণাম করিয়া সবিনয়ে বলিলেন ;— সেইরূপ বিপি বাক্য দ্বারা প্রকাশিত-কর্ম্ম-সাহায্যেই “হে সর্ব্বজ্ঞ ! আপনি বিশুদ্ধ-বোধ-স্বরুপ; আপনি বিদ্যা মুক্তির উপযোগিনী হয়। কোন কোন সকল প্রাণীর আত্মা ; নিরাকার এবং সর্ব্বনিয়ন্ত বিতর্কবাদিগণ, এইরূপ বলিয়া থাকেন বটে, কিন্তু যাহারা আপনার চরণকমলে ভ্রমরের ন্যায় আসক্ত, কর্ম্ম ও বিদ্যায় প্রসিদ্ধ বিরোধ থাকায় সে কথা গ্রাহ সেই সকল জ্ঞানদর্শী ব্যক্তিগণ আপন হইতেই নহে। বিরোধ এই যে, দেহের প্রতি আত্মা বলিয়া আপনাকে জানিতে পারেন। প্রভু হে ! আমি, জ্ঞান থাকিলে ক্রিয়া কর্ম্মে আসক্তি হয় ; আর যোগিগণের চিন্তনীয় সংসার মোচক ভবদীয় পাদ যাহার সেই জ্ঞান—অহঙ্কার গিয়াছে, বিদ্যা তাহারই পদ্মের শরণাপন্ন হইলাম ; আমি যাহাতে অজ্ঞান, হইয়া থাকে। বিশুদ্ধ-জ্ঞানজনক শাস্ত্রালোচনায় রূপ অপার জলধি—অনায়াসে পার হইতে পারি, পরিস্ফুট চরম আত্ম-বৃত্তিই "বিদ্যা" নামে কথিত । তাহা আমাকে শিক্ষা দিন" ; তখন শরণাগত- কর্ম্ম, নিখিল কারকাদির সাহায্যে উদিত হয়, আর গণের দুঃখহারী ক্ষিতিপাল-ভূষণ রাম, মুমিত্রা বিদ্যা ঐ সকল কারকাদিকে বনষ্ট করে ! (কারক